শিরোনাম
স্টাফ রিপোর্টার : | ০৩:২৪ পিএম, ২০২০-০৮-২৫
গুলনাহার বেগমের মেয়ে ময়ুরী সকালে গার্মেন্টসে গিয়েছিলেন। সকালে মা-ভাইকে রেখে গিয়েছিলেন বাসায়। রাত ৮টার দিকে গার্মেন্টস থেকে ফিরে মা-ভাইয়ের কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না ময়ুরী। পরে মাকে বাথরুমে ও ভাইকে বাথরুমের বাইরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। ময়ুরীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন।
সোমবার (২৪ আগস্ট) রাতে নগরের চান্দগাঁও থানাধীন পুরাতন চান্দগাঁও রমজান আলী সেরেস্তাদারের বাড়ি এলাকার একটি বাসা থেকে মা ও ছেলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার দুইজন হলেন- গুলনাহার বেগম (৩৩) ও তার ছেলে রিফাত (৯)। গুলনাহার বেগম তার মেয়ে ময়ুরী ও রিফাতকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। গুলনাহার বেগমের স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন। তিনি অপর স্ত্রীসহ নোয়াখালীতে বসবাস করেন।
গুলনাহার বেগম ও রিফাত হত্যাকাণ্ডের পেছনে ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে সন্দেহ করছে ময়ুরী। ফারুক গুলনাহার বেগমের ‘পাতানো ভাই’ বলে জানিয়েছে ময়ুরী।
অভিযুক্ত ফারুক বহদ্দারহাট খাজা রোডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ফারুক বহদ্দারহাটে একটি দোকান পরিচালনা করতেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার গুলনাহার বেগমের মেয়ে ময়ুরী বলেন, আমার মাকে বোন ডেকেছে ফারুক। ফারুক আমাদের বাসায় আসা যাওয়া করতো। পাঁচ বছর ধরে ফারুকের সঙ্গে আমাদের পরিচয়। কিছুদিন আগে ফারুকের সঙ্গে আমার মায়ের ঝগড়া হয়। তারপর থেকে আমার মায়ের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল ফারুক। ফারুকই আমার মা ও ভাইকে খুন করেছে।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ফারুক। তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ফারুকের বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্তে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এসএম মোস্তাক আহমেদ খান।
এসএম মোস্তাক আহমেদ খান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়ই আমরা তদন্ত করছি। ভিকটিমের মেয়ের অভিযোগ মাথায় রেখে কাজ করছি আমরা।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, গুলনাহার বেগমের মরদেহ বাসার বাথরুমের ভেতরে পড়ে আছে এবং ছেলে রিফাতের মরদেহ বাথরুমের বাইরে পড়ে আছে। তাদের দুইজনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। গুলনাহার বেগম ও রিফাতের গলাকাটা ছিল।
গুলনাহার বেগমের মেয়ে ময়ুরী বলেন, আগে আমরা বাস টার্মিনাল এলাকায় ভাড়া থাকতাম। সে বাসায়ও ফারুক আসা যাওয়া করতো। নতুন বাসায় এসেছি সাত মাস হলো। এখানেও নিয়মিত আসা যাওয়া করতো ফারুক। ফারুক বিভিন্ন সময় আমাদের হত্যার হুমকি দিত।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আশিকুর রহমান বলেন, ফারুক নামে একজনের বিষয়ে আমাদের তথ্য দিয়েছে নিহতের মেয়ে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাকলিয়ার বলিরহাট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। সং...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুতে ও...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিসিএসআইআরের গবেষণা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। টে...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ জন। এ নিয়ে চ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ নেতা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিমের জানাজা অনুষ্ঠ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited