শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৭:২৪ পিএম, ২০২০-১০-২৭
ই-অকশনের আওতায় আসল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে হল রুমে এ পদ্ধতির উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মাসুদ সাদিক।
এ সময় কাস্টমস কর্মকর্তা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, নিলাম শাখায় প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে ই-অকশন পদ্ধতি। এতে যে কোনো স্থান থেকেই আগ্রহীরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে নিলামে অংশ নিতে পারবেন। ফলে একদিকে সময় বাঁচবে সময়, অন্যদিকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে জব্দ পণ্যের নিলাম প্রক্রিয়া ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং সময়সাপেক্ষ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, ‘ই-অকশন হচ্ছে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি পদ্ধতি। এতে কাস্টমসে অনিয়ম অনেকটা কমবে। কাস্টমসের কার্যক্রম আরও তরান্বিত হবে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এলে পণ্য আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং করে দেশ থেকে মুদ্রাপাচার রোধ করা যাবে। পাশাপাশি আগামীতে ই-পেমেন্ট পদ্ধতি শতভাগ চালু করা হবে। আগামীকাল সকাল থেকে যে কেউ ই-অকশনের মাধ্যমে নিলামে অংশ নিতে পারবে।’
জানা যায়, ই-অকশন চালু হলে নিলামে অংশগ্রহণকারীরা পণ্যের দর, তালিকা, পণ্যের ছবি দেখতে পাবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পূরণ করে ঘরে বসেই নিলামে অংশ নেয়া যাবে। একইভাবে ঘরে বসেই দেখতে পারবেন, কোন ক্যাটালগের সর্বোচ্চ বিডার কে হয়েছেন। এতে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই নিলাম কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
কাস্টম কর্মকর্তারা জানান, আটক পণ্য নিলামে তোলার ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। বাংলাদেশ কাস্টমস আইনে একটি নীতিমালাও রয়েছে। এ ছাড়া কিছু কিছু পণ্য নিলামে তোলার ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। এতে সময়ক্ষেপণ হয়। নিলামে অংশগ্রহণকারীকে কাস্টমসের নিলাম শাখায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। এতে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। পুরো নিলাম প্রক্রিয়া অনলাইনে হলে সেই ভোগান্তি থাকবে না।
সূত্র জানায়, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে খালাস না নিলে আমদানিকারককে নোটিশ দেয় কাস্টম কর্তৃপক্ষ। এর ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টম। এ ছাড়া মিথ্যা ঘোষণা এবং ঘোষণার বেশি আনা জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। আবার মামলাসহ নানা জটিলতায় বন্দর ইয়ার্ডে বাড়ে কনটেইনারের সারি। তৈরি হয় কনটেইনার জট। দিনের পর দিন কনটেইনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ চার্জ পায় না।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান বলেন, ‘আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে ই-অকশন চালু হবে। ই-অকশন উদ্বোধনে ব্যবসায়ীদের বোঝানোর জন্য গত ২২ অক্টোবর একটি সেমিনার করা হয়েছিল। এরপরও যদি ব্যবসায়ীদের বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে কাস্টমসের নিলাম শাখার একজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে দিয়ে হটলাইন চালু রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় ফোন করে বিস্তারিত জানতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।’
নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরের বন্দর থানাধীন স্ট্র্যান্ড রোডের সাগরিকা এলাকায় আগুনে পুড়েছে ঝুট কাপড়ের গুদাম, গাড়ির গ্যারে...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১ হাজার ৬১৭টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬৮ জনের। এ নিয়ে চট্টগ্রাম...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরের ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সালাউদ্দিনের বা...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : গণতান্ত্রিক সরকারের আবরণে স্থানীয় সরকারের টুঁটি চেপে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে চট্টগ্রাম সিটি করপ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেছেন, যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, যাদের কোনো জনসম্পৃক্ত...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited