শিরোনাম
মুহাম্মদ রুশনী মোবারক, পটিয়া : | ০৬:৪৮ পিএম, ২০২০-০৯-২৩
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (জন্ম:৫ মে, ১৯১১ চট্রগ্রামের পটিয়ায়, মৃত্যু:২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩২), ডাকনাম রাণী, ছদ্মনাম ফুলতার, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা প্রীতিলতা এক সফল অভিযানের মাধ্যমে ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণের পর পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী নারী শহীদ বীরকন্যা প্রীতিলতার আত্নাহুতি দিবসে বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধায় স্বরন করছি। প্রীতিলতার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের বর্ণনাতে মাস্টারদা লিখেছেন “তার চোখেমুখে একটা আনন্দের আভাস দেখলাম। এতদূর পথ হেঁটে এসেছে, এর জন্য তার চেহারায় ক্লান্তির কোন চিহ্নই লক্ষ্য করলামনা। যে আনন্দের আভা তার চোখে মুখে দেখলাম, তার মধ্যে আতিশয্য নেই, Fickleness নেই, Sincerity শ্রদ্ধার ভাব তার মধ্যে ফুটে উঠেছে। একজন উচ্চশিক্ষিত cultured lady একটি পর্ণকুটিরের মধ্যে আমার সামনে এসে আমাকে প্রণাম করে উঠে বিনীতভাবে আমার দিকে দাঁড়িয়ে রইলো। মাথায় হাত দিয়ে নীরবে তাকে আশীর্ব্বাদ করলাম”। প্রীতিলতাকে নিয়ে আলাপচারিতা প্রসঙ্গে বিপ্লবী কল্পনা দত্ত ১৯৩০ সালে লিখেছেন, “কথা হচ্ছিল, পাঁঠা কাটতে পারব কি না। আমি বলেছিলাম, ‘নিশ্চয় পারব, আমার মোটেই ভয় করে না’। প্রীতি উত্তর দিয়েছিল ‘ভয়ের প্রশ্ন না, কিন্তু আমি পারব না নিরীহ একটা জীবকে হত্যা করতে’।একজন তৎক্ষণাৎ প্রশ্ন করল ‘কী, দেশের স্বাধীনতার জন্যও তুমি অহিংস উপায়ে সংগ্রাম করতে চাও?’ আমার মনে পড়ে প্রীতির স্পষ্ট জবাব, ‘স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতেও পারব, প্রাণ নিতে মোটেই মায়া হবে না। কিন্তু নিরীহ জীব হত্যা করতে সত্যি মায়া হয়, পারব না।’ ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইউরোপীয়ান ক্লাবে হামলা করার সিদ্ধান্ত নিলেন মাষ্টারদা। অভিযানে নেতৃত্বের ভার পড়ে একমাত্র নারী বিপ্লবী প্রীতিলতার উপর। বাকি ইতিহাস আমাদের সবারই জানা। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী সেদিনের আক্রমণে মিসেস সুলিভান নামে একজন নিহত হয় এবং চারজন পুরুষ এবং সাত জন মহিলা আহত হয়। মেয়েরা এগিয়ে না এলে যে অপূর্ণ থেকে যাবে মুক্তির আন্দোলন। সেই দৃষ্টান্তই তুলে ধরেছিলেন নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে। “মা, আমায় তুমি ক্ষমা করো—তোমায় বড় ব্যথা দিয়ে গেলাম। তোমাকে এতটুকু ব্যথা দিতেও তো চিরদিন আমার বুকে বেজেছে। তোমাকে দুঃখ দেওয়া আমার ইচ্ছা নয়। আমি স্বদেশ-জননীর চোখের জল মোছাবার জন্য বুকের রক্ত দিতে এসেছি। তুমি আমায় আশীর্বাদ কর, নইলে আমার মনোবাঞ্ছা পুর্ণ হবে না। মাগো, তুমি অমন করে কেঁদো না! আমি যে সত্যের জন্য-স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতে এসেছি, তুমি কি তাতে আনন্দ পাও না? কি করবো মা? দেশ যে পরাধীন! দেশবাসী যে বিদেশীর অত্যাচারে জর্জরিত! দেশমাতৃকা যে শৃঙ্খলভারে অবনতা, লাঞ্ছিতা, অবমানিতা! তুমি কি সবই নীরবে সহ্য করবে মা? একটি সন্তানকেও কি তুমি মুক্তির জন্য উৎসর্গ করতে পারবে না?” আত্মাহুতির আগের রাতে মায়ের উদ্দেশে প্রীতিলতার লেখা চিঠির কিছু অংশ।। তাঁর মৃত্যুবরণের পর মাষ্টারদা চিঠিটি প্রীতিলতার মায়ের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
ঢাকা অফিস : : আগামী ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনি পরিবেশ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : পঞ্চম ধাপে ২৯ পৌরসভার ভোটের নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। ২৮ ফেব্রুয়ারি রো...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের ...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি না- সেই সিদ্ধান্ত নিত...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক অঞ্চলভিত্তিক কৃষি বহুমূখীকরণ ও কৃষিকে আরো লাভজনক করতে মাঠ পর...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited