শিরোনাম
কক্সবাজার প্রতিনিধি: | ০৫:৫৮ পিএম, ২০২১-০১-২৮
কক্সবাজারের ঘিঞ্জি শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে স্বেচ্ছায় তৃতীয় দফায় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে রোহিঙ্গাদের আরেকটি দল।
বৃহস্পতিবার ১২টা ২৫ মিনিটে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে চট্টগ্রামের পথে তাদের নিয়ে রওনা দিয়েছে ১৬টি বাস। পথের নিরাপত্তায় বিকল্প হিসেবে আরও একটি খালি বাস এই বহরে সংযুক্ত আছে। মালপত্র বহন করছে আরও কয়েকটি ট্রাক। সরেজমিন উপস্থিত থেকে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে বাসগুলোতে ঠিক কতজন রোহিঙ্গা উঠেছেন তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের একটি সূত্রের দাবি, স্বপরিবারে আনুমানিক ৫০০ রোহিঙ্গা উঠেছেন বাসগুলোতে। তবে আজ আরও বাস যাবে এবং মোট সংখ্যা এ প্রক্রিয়া শেষে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে।
রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ছেড়ে ভাসানচরের পথে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
তিনি বলেন, বেলা ১২টার দিকে রোহিঙ্গাদের একটি দল বাসে করে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্ট ত্যাগ করেছে। সেখানে কতজন রোহিঙ্গা আছে সেটা এখন বলা মুশকির। দিন শেষে মোট কতজন যাচ্ছে সেটা বলা যাবে। ধাপে ধাপে রোহিঙ্গাদের যারা যেতে ইচ্ছুক তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত রাত থেকেই রোহিঙ্গারা স্বপরিবারে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকে। সকালের মধ্যে সেখানে হাজার খানেক রোহিঙ্গাকে দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, তাদের নাম নিবন্ধন চলছে। যাদের নিবন্ধন সম্পন্ন হচ্ছে তাদের মালপত্র ট্রাকে তুলে পরিবার সদস্যদের বাসে ওঠানো হচ্ছে। প্রথমে ১৬টি বাসে তাদের ওঠানো হয়। এগুলোর কোনও বাস ভরা আবার কোনোটাতে কম যাত্রী দেখা গেছে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপে আবারও বাস সাজানো হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের তোলার জন্য নিবন্ধনের কাজও চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে, সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে বাসে ওঠা নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানিজট ক্যাম্পে পৌঁছাবেন। সেখানে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষে নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল তাদের জাহাজে তোলা হবে। ২৯ জানুয়ারি তারা ভাসানচরে পৌঁছাবেন।
ভাসানচরে রওনা হওয়া মো. ইব্রাহিম নামে এক রোহিঙ্গার কাছে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার পরিবার সদস্যরা আগে সেখানে গিয়েছেন। সেখান থেকে তারা ভাসানচরের যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে আমারও যেতে ইচ্ছা করছে। এখানে ঘিঞ্জি, নোংরা, ঝুপড়ি ঘরের চেয়ে ওখানে উন্নত জীবন আছে। সেখানে কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে শুনেছি। তাই সেখানে চলে যাচ্ছি।
গত ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৪ জনের দ্বিতীয় দলটিকে ভাসানচরে নেওয়ার ঠিক এক মাস পরে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দলটি সেখানে যাচ্ছে। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা হাসিমুখে ভাসানচরে পৌঁছায়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে আশ্রয় নেওয়াসহ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করছেন।
বান্দরবান প্রতিনিধি : : বান্দরবান সদর থানাধীন ডুলু পাড়া চেক পোস্ট থেকে অস্ত্রসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবা...বিস্তারিত
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : : রাঙামাটির দেপ্পোছড়ি এলাকায় ফলবাহি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৫শ ফুট নীচে গভীর খাদে পড়ে চালক সবুজ হোস...বিস্তারিত
বান্দরবান প্রতিনিধি : : পার্বত্য জেলা শিশু উন্নয়ন প্রকল্প-বান্দরবান কমিউনিটি ডেভালপমেন্ট কনর্সান (সিডিসি) এর উদ্যোগে নিব...বিস্তারিত
কক্সবাজার প্রতিনিধি: : কক্সবাজার বিমানবন্দর এলাকা থেকে ২ হাজার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১১ এপ্রিল) দিবাগ...বিস্তারিত
বান্দরবান প্রতিনিধি : : বান্দরবান পৌরসভার সভা কক্ষে আজ (১০ এপ্রিল) বান্দরবান পৌরসভা ২০২১ এর নির্বাচিত সকল ওয়ার্ড কাউন্সিল...বিস্তারিত
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : : চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে নিন্ম আয়ের মানুষজন যখন ন্যায্যমূল্যের দ্রব্যাদির জন্য হাহাকার করছে ঠি...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited