শিরোনাম
মোহাম্মদ কমরুদ্দিন, চন্দনাইশ : | ০৬:০৭ পিএম, ২০২০-০৯-২৭
মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় উপাদানের অন্যতম উপাদান হচ্ছে চিনি। আর এই চিনির উৎপাদনের অন্যতম উৎস হচ্ছে আখ। আখ চাষ করে দেশে বড় ধরনের চিনিশিল্পে পরিবর্তন আনছে এ চাষীরা। বছরের পর বছর আখ চাষ করে মূলত এমন ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন এ এলাকার কৃষকেরা। অল্প পুঁজি, সহজ চাষাবাদ, হওয়ায় অন্য ফসলের তুলনায় চলতি মৌসুমে আখ চাষে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকেরা ভেজায় খুশি। চন্দনাইশে ২ জাতের আখ চাষ হয়। লাল আখ থেকে তৈরী হয় চিনি। আর সাদা আখ সু-স্বাদু হওয়ায় সাধারণ মানুষ আখের রস পান করে থাকে। ইতোমধ্যে অনেক কৃষক শঙ্খনদীর চরাঞ্চল, শঙ্খ তীরবর্তী জমিতে, পাহাড়বেষ্টিত সমতল এলাকা জুড়ে আখ চাষ করেছেন, ফলন ও ভাল হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শঙ্খনদীর চরে, নদীর তীরবর্তী জমিতে, পাহাড়ের সমতল ভূমিতে ধোপাছড়ি, চাগাচর, জামিজুরী, বৈলতলী, সাতবাড়িয়া, হাশিমপুরের বরুমতি খালের তীরে , নাসির মোহাম্মদ পাড়া, বরমা, বরকল, কাঞ্চনাবাদ, জোয়ারা, চন্দনাইশ পৌর এলাকার হারলাসহ পুরো উপজেলার অসংখ্য কৃষক আখ চাষের সাথে জড়িত । এখানকার চাষিরা রং বিলাস জাতীয় আখ চাষ বেশি করেন। রং বিলাস জাতীয় আখ থেকে চিনি তৈরী করেন প্রক্রিয়াজাত করে। উপজেলার বৈলতলী ও হাশিমপুর এলাকায় সব চেয়ে আখ চাষ বেশি হয়। নাসির মোহাম্মদ পাড়ার কৃষক ফয়েজুল ইসলাম বলেন, তাদের এলাকায় আখ চাষ ভালো হওয়ায় প্রতি বছর আখ চাষীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিগত ৪০ বছর ধরে আখ চাষে জড়িত মোহাম্মদ আলী বলেছেন, প্রতি মৌসুমেই তিনি আখ বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন। এখানে বাড়তি সুবিধাটা হল আখ ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে মুলা, ফুলকপি, বাধাকপি, আলুসহ কয়েক প্রকার সবজির চাষ করা যায়। এতে কৃষকরা অধিক লাভবান হয়। উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নে ধান ক্ষেতের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ আখ চাষ করেছেন কৃষকরা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকে আখ কিনে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনযোগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যায়। চন্দনাইশে উৎপাদিত আখ অধিক মিষ্টি ও সু-স্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন বাজারে এর চাহিদা প্রচুর। আখের আগা কেটে রোপনের মধ্য দিয়ে আখ চাষ করা হয়। হলুদ রঙের গেন্ডারি, বোম্বাই, গেন্ডারি, মিশ্রি দানা, চায়না বোম্বাই, লাল দানা জাতের আখই বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। প্রতিটি আখ প্রকারভেদে ৫০ থেকে ১২০ টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হয়। চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেছেন, কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায় আখ চাষিদের নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। ফলে কৃষকরা আখ চাষে লাভের মুখ দেখছেন। তিনি বলেন, আখ উৎপাদনে ঝুঁকি কম, এছাড়া আখ চাষিরা সাথী ফসল হিসেবে আলু, মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ কয়েক প্রকার ফসল উৎপাদন করে বাড়তি টাকা আয় করার সুযোগ পায়। চলতি মৌসুমে ১শ ৩০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১৫ হাজার ৮শ ৬০ মেট্রিক টন আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান । গত বছরের তুলনায় এবার আখ চাষ বেশি হওয়ার পাশাপাশি ফলনও ভাল হয়েছে। তাই কৃষকেরা খুবই খুশি। আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। তবে পর্যান্ত শেষে প্রয়োজন হয়। আর্শি¦ন মাসে আখ চাষ শুরু হয়। জমিতে চাষ দিয়ে বিভিন্ন রকম সার মিশিয়ে চারা রোপন করা হয়।
হাটহাজারী প্রতিনিধি : : পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে হাটহাজারীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্যায় অত্যাচার জুলুমের বিরদ্ধে আজ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আসুন লাভ বাংলাদেশের পতাকাতলে সেই প্রত...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় জাপানের দেওয়া ৪০ লাখ ৮০০ ডোজ অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা দেশ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মীরসরাইয়ের করেরহাটে চট্টগ্রাম উত্তর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরীর নির্দেশনায় জ...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : নির্বাচনে সংঘাত বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন ন...বিস্তারিত
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : : দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন নির্বাচনে আজ রাঙামাটির ৩টি উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। সকাল ৮...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited