শিরোনাম
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : | ০৪:১০ পিএম, ২০২২-১০-০৫
সীতাকুণ্ডের কুমিরায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। অবস্থা এমন যে একটি গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর। আর এসব জ্বর আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে ইতিমধ্যে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন। ফলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বেশ কিছু নির্দেশনা দিলেও পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের কয়েকটি এলাকায় হটাৎ ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে কুমিরা ইউনিয়নে এই রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক। আবার এই ইউনিয়নের একটি গ্রামেই আক্রান্তের সংখ্যা এক’শ ছাড়িয়েছে। যারমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি। তবে হাসপাতাল থেকে বেশিরভাগ রোগীই সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। আরো কিছু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রহমতপুর গ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে প্রায় এক মাস আগে। কিন্তু তখনো কেউ বুঝতে পারেননি যে এখানে এত দ্রুত ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়বে। এখন তো রীতিমত ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এক’শ ছাড়িয়েছে। তিনি সরেজমিনে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব দেখে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। এরপর চিকিৎসকেরা এসেছেন। কিন্তু ডেঙ্গু বেড়েই চলেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, কুমিরা ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে জানতে পেরে আমি বিআইটিআইডি থেকে তথ্য নিয়ে যাছাই করে সত্যতা পাওয়ার পর আমাদের চিকিৎসকদের একটি দলকে সেখানে পাঠাই। এরপর চিকিৎসকরা প্রত্যেক রোগীদের অবশ্যই মশারির ভেতরে থাকতে বলেন। এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বলেছেন। তাছাড়া বৃষ্টির পানি যেন কোথাও তিন দিনের বেশি জমে না থাকে। কারো জ্বর নতুন করে দেখা দিলে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অথবা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, এখন সারাদেশেই ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে। তার মধ্যে সীতাকুণ্ডের কুমিরায় আক্রান্ত হয়েছে বেশ কয়েকজন। কিন্তু এই মুহূর্তে ঐ গ্রামে ৬-৭ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগেও অনেকে আক্রান্ত হয়েছিলো। তারা সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। আমরা সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি এবং ডেঙ্গু হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে জানিয়েছি। তবে এই মুহূর্তে যে কুমিরায় এক’শ রোগীর কথা স্থানীয়ভাবে প্রচার হয়েছে তা সঠিক নয়। রোগীর সংখ্যা আরো অনেক কম বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিআইটিআইডি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মামুনুর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, এ হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে আসা রোগীদের বেশিরভাগই বড়কুমিরা ও ছোট কুমিরা থেকে আসা রোগী। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় আরও অসুস্থ রোগী আছে।
মঙ্গলবার (গতকাল) পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ২২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। বেশিরভাগই কুমিরা থেকে আসা। একটি এলাকা থেকে এত রোগী আসা উদ্বেগজনক। ওই এলাকার দিকে নজর দেওয়া উচিত সংশ্লিষ্টদের।
গুইমারা প্রতিনিধি :: : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
রামু প্রতিনিধি : : বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননী...বিস্তারিত
রাউজান প্রতিনিধি : : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মিরসরাই উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) রা...বিস্তারিত
পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধব...বিস্তারিত
রামু প্রতিনিধি : : রামুতে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্লাস ( ইজিপিপি+)এর কাজ বাস্তবা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited