শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৩:০৬ পিএম, ২০২২-০২-০২
কৃষি আবাদে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য গুমাই বিল। এই বিলকে বলা হয় চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার।
কালের বিবর্তনে সম্প্রসারিত হয়েছে কৃষিচাষ। পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে বেশিরভাগ জমিতেই হয় ধান চাষ। প্রধান শস্য হিসেবে ধানের আবাদ হলেও বর্তমানে বাড়ছে মসলা জাতীয় ফসলের আবাদ।
গত কয়েক বছর ধরে দামের ঊর্ধ্বগতি পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়াচ্ছে কৃষকের। ব্যাপক আকারে না হলেও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এর চাষ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, এবছর চট্টগ্রাম জেলায় প্রায় ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে ‘তাহেরপুরী’ জাতের পেঁয়াজ। এর মধ্যে কৃষি অধিদফতরের উদ্যোগে ১৪ উপজেলার ১২৫ বিঘা জমিতে করা হয়েছে এই পেঁয়াজের চাষ। কৃষি অধিদফতর থেকে সরবরাহ করা বীজে চাষ হয় এসব জমিতে।
রহমত উল্লাহ নামের এক কৃষক বাংলানিউজকে বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ দেওয়া হয়েছে। দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছি। কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা আমাদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই মোতাবেক আমরা পরিচর্যা করেছি। আশা করছি ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারবো।
শীতকালীন রবিশস্য চাষ করেন পটিয়ার নূর আহমদ। এসব রবি শস্যের চারার ফাঁকে ফাঁকে পেঁয়াজ চাষ করেছেন তিনি। কিন্তু তেমন ফলন না হওয়ায় পেঁয়াজ চাষে তেমন আগ্রহ নেই তার।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাপক আকারে কখনও পেঁয়াজ চাষ করা হয়নি। কৃষি অফিসের কারও পরামর্শও পাইনি। কিভাবে ফলন বেশি হবে তা জানলে চাষ করা যেতো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রামের উপ পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে মরিচ ছাড়া অন্য কোনও মসলা জাতীয় ফলন চাষে আগ্রহী ছিলেন না কৃষকরা। কিন্তু এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। পেঁয়াজের দাম পাওয়ায় এ চাষের দিকে ঝুঁকছে কৃষক। পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরেরও কিছু প্রদর্শনী প্লট রাখা হয়েছে। যা দেখে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। গত বছর আমরা ৮৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করেছিলাম। এতে প্রতি হেক্টরে ফলন পেয়েছি ৮ থেকে ১২ টন। আশা করছি, এবারও ভালো ফলন পাবো।
পেঁয়াজকে সাধারণত ঠাণ্ডা জলবায়ু উপযোগী ফসল বলা হয়। বর্তমানে গ্রীষ্মকালেও এই ফসলের চাষ হচ্ছে। উর্বর মাটি এবং সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে হয়। ১৫-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পেঁয়াজের জন্য সর্বাপেক্ষা উপযোগী। অধিক এঁটেল মাটিতে পেঁয়াজের চাষ না হলেও দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে পেঁয়াজ ভালো হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান বলেন, পেঁয়াজ চাষের জন্য যে উপযোগী পরিবেশ দরকার তা চট্টগ্রামে নেই। তারপরও ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক কৃষক বিভিন্ন সবজির ফাঁকে পেঁয়াজ চাষ করে থাকেন। যা তাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে কাজে লাগে। আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রেখে যদি পেঁয়াজের কোনও জাত উদ্ভাবন করা যায় তাহলে চট্টগ্রামেও পেঁয়াজের চাষ বাড়ানো সম্ভব।
আমাদের ডেস্ক : : দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদক প্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার ...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : পটিয়া উপজেলাধীন কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নয়াহাটে এবি ব্যাংক লিমিটেড এর এজেন্ট আউটলেটে গ্রাহক মত বিনিময় ...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড মুদারাবা শিক্ষা সঞ্চয় প্রকল্প(আমানত), প্রবাসী গৃহায়ন সঞ্চয় প্রকল্...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : চাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি, মসুর ডাল, ডিম, সিমেন্ট, রড এই নয়টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেবামূলক সংগঠন আঞ্জুমনে খুদ্দামুল মুসলেমিন বাংলাদেশ (একেএমবি) ওমান শাখার প্রতিনিধি সম্মেলন ২০২২ ...বিস্তারিত
চৌধুরী মনি :: : সংবাদপত্রের ইতিহাস এই অঞ্চলে অনেক দিনের পুরোনো হলেও সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা এখনো দাসত্বমুক্ত হতে ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited