শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৬:৩৫ পিএম, ২০২১-০১-১১
আগামী ১৪ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনাল থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজ এম ভি বে ওয়ান। ভ্রমণে নাম্বার ওয়ান হয়ে বে ওয়ান তার যাত্রাপথ পরিবর্তন করে পতেঙ্গা থেকে সেন্টমার্টিনের পথে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে তাদের এই যাত্রার ম্যাসেজ পাঠাতে গতকাল বে ওয়ান কর্তৃপক্ষ মিট দ্য প্রেস আয়োজন করে এই জাহাজে ভ্রমণে কি কি সুবিধা রাখা হয়েছে, তার বর্ননাসহ বক্তব্য পেশ করেছেন কর্নফুলী শীপ বিল্ডার্স লিমিটেডের কর্ণদ্বার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ।
প্রেস ব্রিফিংএ ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমি একজন জাহাজ প্রস্তুতকারক। ইতিমধ্যে হাজারের অধিক জাহাজ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানী করেছি। আগামীতেও আরো উন্নত জাহাজ প্রস্তত করবো ইনশাআল্লাহ। জাহাজ তৈরির পাশাপাশি ড্রেজার তৈরিতে আমার প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সুনামের সাথে ড্রেজার রপ্তানী অব্যাহত রেখেছে।
আমার ধারণা বাংলাদেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষগুলো অবশ্যই সমুদ্র ভ্রমণে সবচেয়ে বেশী আগ্রহী। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে চলাচল করা ছোট ছোট জাহাজ গুলোতে পর্যটকরা বাদুরঝোলা হয়ে ভ্রমণ করার কথা আপনারা যেমন জানেন, তেমনি আমিও জানি। পর্যটকরা কষ্ট এবং ঝুঁকি কাঁদে নিয়ে সেন্টমার্টিনে যাতায়াত করেন। নিরাপদ ভ্রমণ করার নিশ্চয়তা নিয়েই আমি বে ওয়ান ক্রুজ জাহাজটি আমদানি করেছি। এধরনের জাহাজে ভ্রমণের জন্য আমাদের দেশের অনেক লোক বিগত দিনে বিদেশে গিয়ে স্বাদ নিয়েছেন জাহাজ ভ্রমণের। বে ওয়ান একটি অভিজাত ক্রুজ জাহাজ। দেশী বিদেশী পর্যটকরা এখন কম খরচে চট্টগ্রাম টু সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন সমুদ্র পথে। এই জাহাজটি উত্তাল সমুদ্রেও চলাচল করার ক্ষমতা রাখে। সমুদ্রে ৩ থেকে ৪ নং সতর্কতা সংকেত থাকলেও এই উত্তাল সমুদ্রে এই জাহাজ যাত্রী নিয়ে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন। পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে যা যা দরকার, সবই রয়েছে এই জাহাজে। পর্যটকদের একটি নির্দিষ্ট মওসুম থাকে। এই মওসুম ছাড়া অন্য মওসুমে এই বিশাল জাহাজে প্রতিদিন গুণতে হবে বড় লোকসান। তাই ওই সময়ে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে হাজী পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ থেকে দুরবর্তী এলাকা অথবা দেশে পর্যটক পরিবহনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলেচানা চলছে। প্রাথমিক ভাবে চট্টগ্রাম থেকে সমুদ্র পথে ভারতের কলকাতা এবং আন্দামানে পর্যটক পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিষয়ে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে। দূরপথের সমুদ্র ভ্রমণের আগ্রহী অনেক পর্যটক রয়েছেন। চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা পর্যন্ত এই জাহাজ চলাচল করলে অনেক যাত্রী এই জাহাজে ভ্রমণ করে কলকাতা যেতে পারবেন।
পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনালে বে ওয়ান ক্রুজ জাহাজের পার্টি মঞ্চে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের স্বপ্নদ্রষ্টা ইঞ্জিসিয়ার এম এ রশিদ বলেন, জাপানের কোবে শহরের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাষ্ট্রিজে তৈরি করা বিলাসবহুল প্রমোদতরি আগামী বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। এই জাহাজে দুই হাজার যাত্রী বহনের ক্ষমতা রয়েছে। রাতে ছেড়ে গিয়ে জাহাজটি সকালে পৌঁছাবে সেন্টমার্টিনে। শুরুতে সপ্তাহে তিন দিন বে ওয়ান পতেঙ্গা ওয়াটার বাস থেকে ছেড়ে যাবে। পরের দিন আবারো সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনালে নোঙর করবে। এই জাহাজে ১৭ জন ক্রু রয়েছেন। এছাড়া দুই হাজার যাত্রীর সার্বিক সেবার জন্য রয়েছেন আরো ১৫০ জন ক্রু।
যাত্রীদের জন্য জাহাজে রাত্রি যাপনের সুবিধায় জাহাজের অভ্যন্তরে রয়েছে ভিভিআইপি কেবিনসহ ৩২ টি অভিজাত কেবিন। এছাড়া জাহাজের ডেক এ রাখা হয়েছে বিলাস বহুল সিট। এসব সিটে কম খরচে চট্টগ্রাম টু সেন্টমার্টিনের ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। মাত্র ৩০০০ টাকায় একজন সেন্টমার্টিনে আসা যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ৪০০০ টাকায় একজন যাত্রী আসা যাওয়া করতে পারবেন এই জাহাজে। বাঙ্কার সিটে ঘুমিয়ে এই জাহাজে ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা। বাংকার বেটে ছড়ে এই জাহাজে ভ্রমণে একজন পর্যটককে আসা যাওয়া বাবদ পে করতে হবে মাত্র ১০ হাজার টাকা। ভিভিআইপি কেবিনে দুইজনের রাত্রী যাপন ও চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিনে আসা যাওয়া, রাতের খাবার, সকালের নাস্তাসহ পে করতে হবে ১০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক বিদেশী পর্যটক ভ্রমণে আসেন। এদের মধ্যে অনেকে সেন্টমার্টিনে যাতায়াত করেন। এধরনের জাহাজে এসব বিদেশী পর্যটকগণ ভ্রমণের সুযোগ পেলে, আমাদের দেশের ভাবমুর্তি বাড়বে বিদেশী পর্যটকদের কাছে। বলতে গেলে এই জাহাজের মধ্য দিয়েই আমাদের দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের অনেক সুযোগ রয়েছে। তাই এই জাহাজ নিয়ে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে বিশাল ব্যয়ের এই জাহাজ অবশ্যই তার পথে সঠিক ভাবে যাতায়াত করতে পারবে বলে আমার (ইঞ্জিনিয়ার রশিদ) বিশ^াস। ইতিমধ্যে ভ্রমণ পিপাসুদের বেশ সাড়া মিলছে। এটাকে বেগবান করতে হলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের কাছে বে ওয়ানের যাত্রার ম্যাসেজ পৌঁছাতে হবে। ম্যাসেজ পৌঁছানার প্রধান হাতিয়ার হলেন সাংবাদিক বন্ধুরা। তাই আমি আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রেস বিফ্রিংয়ের সাবিৃক তত্ত্বাবধান করেন কর্ণফুলী শীপ বিল্ডাসের পরিচালক নাসিম আনোয়ার। এছাড়া বে ওয়ানের ক্যাপ্টেনসহ বে ওয়ান ও কর্ণফুলী শীপ বিল্ডার্স লিমিটেডের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নসহ জাহাজের সার্বিক বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দেন ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ।
স্টাফ রিপোর্টার : : নতুন করে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না। সলিমপুরে পাহাড় ব্যবস্থাপনার জন্য, কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খ...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি সিএনজি অটোরিকশা, মিনিবাস ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। ব...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ১...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ৩৮৮তম শাখার উদ্বোধন করা হয়ে...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার ৪০তম বার্ষিক সভা ও নির্বাচিত বেসরকারী মাদ্রা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited