শিরোনাম
ঢাকা অফিস : | ০৭:২৮ পিএম, ২০২০-১১-২১
অনুসন্ধানকালে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এই পরিচালকের নাম শেখ মো. ফানাফিল্যা। তিনি অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ (রাজশাহী)-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার এই অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার বিষয়টিকে ‘কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, চাকরি ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী’ উল্লেখ করে তাকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য একজন মহাপরিচালককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এটাকে ‘ইন্টারনাল ম্যাটার’ আখ্যায়িত করে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
দুদক থেকে প্রাপ্ত নথি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে তলব করেন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। তাকে নির্ধারিত সময় দেওয়া হয় সকাল সাড়ে ১০ টায়। ওই ব্যবসায়ী সকাল সাড়ে ৯ টায় দুদকে হাজির হন। তিনি অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ না করে পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন শেখ মো. ফানাফিল্যা দুদক কার্যালয়ের অভ্যর্থনা কক্ষে হাজির হয়ে ওই ব্যবাসায়ীকে নিজের কক্ষে নিয়ে যান। এসময় তিনি টেলিফোনে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিনকে তার কক্ষে ডাকেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, তরফদার রুহুল আমীনকে কমিশনের নির্ধারিত কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ না করে ফানাফিল্যা তার নিজের কক্ষে করার জন্য মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে নির্দেশ দেন। কিন্তু অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে অপারগতা প্রকাশ করে বিষয়টি কমিশনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের জানান। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই ব্যবসায়ীকে নির্ধারিত কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদের পরামর্শ দেন। পরে জয়নাল আবেদীন ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্ধারিত কক্ষে নিয়ে যান।
দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালে ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে পরিচালক ফানাফিল্যা জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষে প্রবেশ করেন। তিনি ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে নিয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। সহকারী পরিচালক পুরো বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি সম্পর্কে তাকে লিখিত দিতে বলেন। তখন সহকারী পরিচালক বিষয়টি লিখিত আকারে জানান। পরে এ বিষয়ে পরিচালক শেখ. মো. ফানাফিল্যাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে পরিচালক ফানাফিল্যা যে জবাব দাখিল করেন, তা সন্তোষজনক না হওয়ায় কমিশনের মহাপরিচালক জাকির হোসেনকে এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলওয়ার বখতকে এ বিষয়ে তদারকী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
হাটহাজারী প্রতিনিধি : : পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে হাটহাজারীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্যায় অত্যাচার জুলুমের বিরদ্ধে আজ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আসুন লাভ বাংলাদেশের পতাকাতলে সেই প্রত...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় জাপানের দেওয়া ৪০ লাখ ৮০০ ডোজ অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা দেশ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মীরসরাইয়ের করেরহাটে চট্টগ্রাম উত্তর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরীর নির্দেশনায় জ...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : নির্বাচনে সংঘাত বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন ন...বিস্তারিত
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : : দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন নির্বাচনে আজ রাঙামাটির ৩টি উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। সকাল ৮...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited