শিরোনাম
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : | ০৭:০৯ পিএম, ২০২০-১১-০৭
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার শতবর্ষে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম য়ংড বৌদ্ধ বিহারের শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনাকালীন দুরত্ব বজায় রেখে শুক্রবার(০৬ই নভেম্বর) দিনব্যাপী নানান কর্মসূচী মধ্য দিয়ে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়। য়ংড বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত উপসেন স্থবিরসহ বিভিন্ন বিহারে অধ্যক্ষরা ধর্মদেশনা দেন। য়ংড বৌদ্ধ বিহারের মেইন গেইট ফটকে কড়া পুলিশী পাহাড়ায় দায়িত্বরত ছিল।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন য়ংড বৌদ্ধ বিহারের পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা ও মং সার্কেল চীফ রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা, ভূমিদাতা কংহাচাই চৌধুরী, বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা ভ্রাসাথোয়ায় মারমাসহ এলকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোর ৪টায়-বিশ্ব শান্তি কামনায় মংগল সূত্র পাঠ, সকাল ৬টায় ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ৯টায় সম্মিলিত বুদ্ধ পুজা, সাড়ে ৯টায় পজ্ঞ্চশীল গ্রহন, বুদ্ধমুর্তি দান, অষ্টপরিখারা দান, সংঘ দানসহ সকল দানীয় বস্তুু দান, ১০টায় ভিক্ষু সংঘের ধর্ম দেশনা ও উদসর্গ, ১১টায় ভিক্ষু সংঘের পিন্ড দান, ১২টায় সম্মিলিত বুদ্ধ স্নান, ১টা ৪৫মিনিটে য়ংড বুদ্ধকে কঠিন চীবর পরিক্রমা, ২টায় ভিক্ষু সংঘের মঞ্জে আসন গ্রহন, ২টা ১০মিনিটে পঞ্জশীল গ্রহন, কঠিন চীবর দান, কল্প তরু দান, হাজার প্রদীপ দান, আকাশ প্রদীপ দানসহ দানীয় বস্তুুদান, আড়াই টায় ভিক্ষু সংঘের ধর্ম দেশনা ও উৎসর্গ, সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব শান্তি কামনায় হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও আকাশ প্রদীপ উত্তেলন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বি চাকমা ও মারমা এবং বাঙ্গালী বড়ুয়া সম্প্রদায়ের জন্য এটি একটি অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছরই নানা আয়োজনে উদযাপিত হয় কঠিন চীবর দানোৎসব।
বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের(ভান্তে) পরিধানের কাপড় দান করাই এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। মারমা ভাষায় কাপড়কে সাংগ্রেইং/চীবর বলা হয়। এক সময় ২৪ঘন্টার মধ্যে তুলা দিয়ে সুতা তৈরি করে সেই সুতায় তাঁতে কাপড় বুনে ধর্মগুরুদের দান করা হত। কাজটি অতি কষ্টকর বিধায় একে কঠিন চীবর দান বলা হয়। অবশ্য এখন বাজার হতে ক্রয় করেই তা দান করা যায়।
রামগড় উপজেলা: আনন্দ বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় মর্যাদা ভাবগম্ভীর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে কঠিন চীবর দানোৎসব। রামগড় পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত মাস্টারপাড়া আনন্দ বৌদ্ধ বিহারে শুক্রবার(৬ই নভেম্বর) ভোর থেকেই শুরু হয় কঠিন চীবর দানোৎসবের কর্মসূচি। ভোরে বিহার প্রাঙ্গনে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নানা কর্মসূচির সুচনা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় হয় পিন্ডদান, ৭টা হতে ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চশীল প্রার্থনা। সকাল ৯টা হতে ১১টা পর্যন্ত চলে উৎসবে মূল পর্ব চীবর দান। বেলা ২টা হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ধর্মীয় দেশনা। সন্ধ্যার পর উড়ানো হয় ফানুসবাতি।
মাস্টারপাড়া আনন্দ বৌদ্ধ বিহারের এ চীবর দানোৎসবে সভাপতিত্ব করেন রামগড়ের মহামুনি বৌদ্ধ বিহারের প্রধান ভান্তে উসোভনা মহাথেরো। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মারমা উন্নয়ন সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মংপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মংশেপ্রু চৌধুরী অপু, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী, রামগড় পৌরসভার নারী কাউন্সিলর কনিকা বড়ুয়া, গুইমারার হাফছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী প্রমুখ।
চীবর দানোৎসবে চট্টগ্রামের মীরেরসরাইর মায়ানী সুদর্শন বৌদ্ধ বিহারের ভান্তে প্রিয়ানন্দ মহাথেরোসহ খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বনভান্তে শিস্যগণ অংশ গ্রহণ করেন। চীবর দানোৎসবে অসংখ্য দায়ক-দায়িকারা উপস্থিত ছিলেন।
গুইমারা প্রতিনিধি :: : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
রামু প্রতিনিধি : : বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননী...বিস্তারিত
রাউজান প্রতিনিধি : : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মিরসরাই উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) রা...বিস্তারিত
পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধব...বিস্তারিত
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। অবস্থা এমন যে একটি গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর। আর এসব জ্বর ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited