শিরোনাম
মীরসরাই প্রতিনিধি : | ০২:০১ পিএম, ২০২০-০৯-২১
উপজেলার ১৮ হাজার হেক্টর অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনতে মীরসরাইয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে মহামায়া সেচ প্রকল্প। প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হওয়া এ প্রকল্প গত ১০ বছর সময়ে বদলে দিতে শুরু করেছে কৃষকের ভাগ্য। পাশাপাশি দেশের পর্যটন শিল্পে নতুন এক দিগন্ত সূচিত হয়েছে এ প্রকল্পের ১১ বর্গ কিলোমিটার লেকজুড়ে। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে বোটানিক্যাল গার্টেন ইকো-পার্ক।
জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী উপ-নির্বাচনে মীরসরাই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। ১৯৯৭ সালে তিনি তৎকালীন সরকারের বেসরকারী বিমান চলাচল, পর্যটন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। ওইসময় মীরসরাই অ লের দৃশ্যমান বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হয়। সরকারের শেষের দিকে মহামায়া ছড়া খননের মধ্য দিয়ে তিনি মহামায়া সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন। পরে ২০০১ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে প্রকল্পটির কাজ অনেকটাই থেমে যায়। ২০০৮ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মীরসরাই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তাঁর লালিত স্বপ্নের প্রকল্প ‘মহামায়া’ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করেন। ২০০৯-১০ অর্থ বছরে প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হয় মহামায়া সেচ প্রকল্প। ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর এটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মহামায়া সেচ প্রকল্পের উপকারভোগী ঘড়িয়াইশ গ্রামের কৃষক স্বপন নাথ বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি এ মহামায়া সেচ প্রকল্প পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়েছে। বর্তমানে আমরা পাহাড়ি ঢলের হাত থেকে পরিত্রাণ পেয়েছি। আমাদের এলাকার কৃষকেরা প্রতিবছর সময় মত প্রকল্পের পানি দিয়ে বোরো চাষ করছে।’
মীরসরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ জানান, মহামায়া সেচ প্রকল্পের কারণে এলাকায় বোরো আবাদে উৎসাহিত হচ্ছে কৃষকেরা। প্রতি বছর আমরা বোরো আবাদে আমাদের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাচ্ছি। উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকেরাও খুশি।
মীরসরাইয়ের দুর্গাপুর ইউনিয়নের পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, মহামায়া প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে আমাদের এলাকায় অন্তত শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বর্ষা মৌসুমে পানিতে ঢুবে থাকতো। বর্তমানে আমাদের গ্রামের মানুষ এ প্রকেল্পর সুবিধা ভোগ করছে। এলাকার ছড়াগুলো একাধিকবার খনন করায় এটির সুফল আরো বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
গুইমারা প্রতিনিধি :: : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
রামু প্রতিনিধি : : বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননী...বিস্তারিত
রাউজান প্রতিনিধি : : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মিরসরাই উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) রা...বিস্তারিত
পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধব...বিস্তারিত
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। অবস্থা এমন যে একটি গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর। আর এসব জ্বর ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited