শিরোনাম
চন্দনাইশ প্রতিনিধি : | ০৮:১৮ পিএম, ২০২১-০৬-২২
চন্দনাইশের পাহাড়ে পাহাড়ে কাঁঠালের আশাব্যঞ্জক ফলন হয়েছে। দামও ভালো থাকায় বাগানের মালিকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে এ কাঁঠাল। চন্দনাইশে ইতিমধ্যে বেশকিছু বাগান মালিক কয়েক দফায় কাঁঠাল বিক্রির টাকাও হাতে পেয়েছে। উপজেলার পাহাড়ী এলাকা ধোপাছড়ি, লর্ট এলাহাবাদ, কাঞ্চননগর, হাশিমপুর, রায়জোয়ারা, লালুটিয়া, ছৈয়দাবাদ, জামিজুরী এসব এলাকায় প্রচুর কাঁঠাল হয়। তাছাড়া চন্দনাইশের সমতল এলাকায় গৃহস্থের বাড়ী-ভিটায়ও কাঁঠাল গাছে এবারে প্রচুর ফলন হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে কাঁঠালের ফলন আশাব্যঞ্জক কারণ হিসেবে বাগান মালিকেরা জানান, কালবৈশাখী না হওয়ায় কাঁঠালের ফলন ভাল হয়েছে। তাদের মতে অন্যান্য বছরে কালবৈশাখীর তান্ডবে বাগানের ছোট কাঁঠাল নষ্ট হত। ধোপাছড়ি, ছৈয়দাবাদ, কাঞ্চননগরের বিভিন্ন পাহাড়ের টিলায় প্রচুর কাঁঠাল গাছ রয়েছে। এসব গাছে প্রচুর ফলন হয়েছে। কাঞ্চননগর ও লর্ট এলাহাবাদ সহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় কাঁঠালের বাগান গুলিতে থোকায় থোকায় কাঁঠাল ধরেছে। পাহাড়ী এলাকায় উৎপাদিত এসব কাঁঠাল নৌকায় শ্রমিকদের কাঁদে করে দোহাজারী, রওশনহাট, খানহাট, বাদামতল এলাকার বাজারে এনে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব এলাকা থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা কাঁঠাল কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রয় করছে। পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ কাঁঠালে রয়েছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিনসহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারি। কাঁঠালে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সি। এখন চন্দনাইশের প্রতিটি হাট-বাজারে কাঁঠাল ও আনারসের বাজারে ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশীয় ফল হিসেবে এ মৌসুমে কাঁঠাল খেলে শরীরের গঠন এবং ত্বকে গ্লিস বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাই কাঁঠাল খাওয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। চন্দনাইশের পাহাড়ী এলাকার মধুফল কাঁঠাল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় এবং বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাগান মালিক ও ক্রেতা উভয়ে মহা খুশিতে দিন অতিবাহিত করছে। সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁঠালের প্রচুর চাহিদা থাকে বাজারে। দামও ভালো পাওয়া যায় বলে জানালেন বাগান মালিকেরা। চন্দনাইশের ছৈয়দাবাদ এলাকার বাগান মালিক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, তার বাগানে এ বছর কাঁঠালের প্রচুর ফলন হয়েছে, বিক্রি ও হয়েছে ভাল। তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন প্রকৃত কৃষক। কাঁঠাল ছাড়াও আমি ধান লেবু পেয়ারাসহ বিভিন্ন ধরনের সব্জী চাষ ও করি। তবে সরকারিভাবে সার বীজ কিংবা প্রশিক্ষণ কোনটাই তিনি কখনো পাননি। তিনি আরো জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সার বীজ প্রশিক্ষণ ও প্রনোদনা পাওয়ার কথা তিনি শুনেছেন, তবে তিনি কখনো পাননি। এবং তিনি আরো বলেন, যারা পেয়েছেন তারা অধিকাংশই কৃষি কাজের সাথে জড়িত নন। এ ব্যাপারে চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রাণী সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের মাঠকর্মীরাই এ সব দেখাশুনা করেন। এ রকম কোন অভিযোগ থাকলে তারা আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি বিষয়টি দেখব। আর চন্দনাইশে কাঁঠালের কয়েক'শ বাগান থাকলেও তাঁর কাছে আপাততঃ কোন তথ্য নেই বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা ।
গুইমারা প্রতিনিধি :: : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
রামু প্রতিনিধি : : বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননী...বিস্তারিত
রাউজান প্রতিনিধি : : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মিরসরাই উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) রা...বিস্তারিত
পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধব...বিস্তারিত
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। অবস্থা এমন যে একটি গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর। আর এসব জ্বর ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited