শিরোনাম
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : | ০৫:২৪ পিএম, ২০২২-০১-২৫
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ঝাড়ু প্রয়োজনীয় বস্তু । সম্প্রতি ফুলঝাড়ু চাহিদাও বেড়েছে ঘরে ঘরে। গৃহিণীদের নিত্যদিনের সঙ্গী এ ফুলঝাড়ু।
পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় ভাষায় ফুলঝাড়ুকে উলুফুল বলে নামে পরিচিত। উলুফুল চাহিদা পাহাড় বাড়তে থাকায় পর্বতের ছাড়িয়ে ফুলঝাড়ু সংগ্রহ বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাণিজ্যিক চাষাবাদ না হলেও পাহাড়ের জঙ্গলে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেওয়া এ ফুলের রয়েছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে।
পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে থেকে স্থানীয় মানুষ তা সংগ্রহ করে বাজারে এনে বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের কাছে। ব্যবসায়ীরাও ফুলঝাড়ুর ব্যবসায় লাভের মুখ দেখছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ব্যবসায়ীর সংখ্যা।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রোয়াজারহাট মুরাদ নগরের ফুলঝাড়ু ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আকতার হোসেন বলেন, বিশ বছরের অধিক সময় ধরে আমি এই ফুলঝাড়ু ব্যবসার সাথে জড়িত।
রাঙ্গামাটি, রাজস্থলী পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা এই ফুলঝাড়ু সংগ্রহ করি। শীতের একটু আগে এবং শীতের শেষে বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা সংগ্রহ করে থাকে। ফুলঝাড়ু ১৫ থেকে ২০ দিন রোদে শুকানোর পর গুদামজাত করি। পরে
যে কোন সময় তা বিক্রি করি।
তিনি আরো বলেন , বিশ দিন শুকানোর কাজে দুই থেকে তিন জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। দৈনিক ৭শত থেকে ৯শত টাকা পারিশ্রমিক দিতে হয়। বিশেষত মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ১৮ থেকে ২০টি ফুলঝাড়ুর কাঠি দিয়ে একটি আটি বাধেঁন আর এক জোড়া দাম ১০০ বিক্রি হয়। পরে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের জিপ বা ট্রাকের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান।
বাণিজ্যিক ভাবে ফুলঝাড়ুর সুফল দেখে অনেকেই নিজের অব্যবহৃত টিলা-পাহাড়ে ফুলঝাড়ু আবাদের সম্ভাবনা দেখছেন। পাহাড়ের মাটি আর প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকা ফুলঝাড়ুর মাধ্যমে বদলে যেতে পারে প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এটি সরবরাহ নানান সমস্যা পড়তে হয় । পাশাপাশি রাস্তায় -রাস্তায় চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ঝাড়ু ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়িকভাবে সফল হওয়ায় অনেকেই নতুন যুক্ত হচ্ছে । কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অনেকে আসতে পারছে না। যদি সরকার এই খাতে ক্ষুদ্রঋন দেওয়ার ব্যবস্থা করে ,তাহলে সরকার এ ব্যবসা থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
রাঙ্গুনিয়া বন কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন, পাহাড় থেকে ফুলঝাড়ু সংগ্রহ থেকে শুরু করে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত বহু লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। লাভজনক এ ব্যবসা থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে । পুরো মৌসুমে রাজস্ব আদায় করা গেলে,গত বছরকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ছোটখাটো সিএনজি নসিমন গাড়ি করে নেওয়া ফুলঝাড়ু থেকে রাজস্ব আদায় করা হয় না। শুধু বড় ট্রাক বা ছোট ট্রাক থেকে রাজস্ব আদায় করা হয়।
পোমরা ইউনিয়নের সৌদিয়া গেইটের বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ খন্দকার আরিফুল হক বলেন, ফুলঝাড়ু রাঙ্গামাটি, রাজস্থলী, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসার সময় রাজস্ব আদায় শেষে ,পাস নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায়। আমরা এই বিটে শুধু দেখি পাস নিয়েছে কি না। এখানে অর্থের কোন প্রকাশ লেনদেন হয় না।
গুইমারা প্রতিনিধি :: : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
রামু প্রতিনিধি : : বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননী...বিস্তারিত
রাউজান প্রতিনিধি : : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মিরসরাই উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) রা...বিস্তারিত
পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধব...বিস্তারিত
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। অবস্থা এমন যে একটি গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর। আর এসব জ্বর ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited