শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৪:৪৩ পিএম, ২০২০-১১-২৬
কানাডায় টাকা পাচারকারি আমলাদের নামের তালিকার খোঁজ নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তালিকা হাতে পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে দুর্নীতি দমনকারী সংস্থাটি।
গত ১৮ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কানাডায় খবর নিয়েছি, প্রাথমিকভাবে কিছু সত্যতা পেয়েছি। মনে করছিলাম রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু দেখা গেলো রাজনীতিবিদ চারজন। সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। এছাড়া কিছু ব্যবসায়ীও আছে। বিদেশে যদি কেউ বৈধভাবে টাকা নেয়, তাহলে কোনো আপত্তি নেই। তবে অবৈধভাবে পাচার করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মূলত এর পর থেকেই আলোচনা চলে আসে কানাডার বেগমপাড়া। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সরকারের কাছে এরই মধ্যে ২৮ জনের তালিকা চেয়েছে দুদক।
জানা যায়, কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার বিষয় বেগমপাড়া। তবে এটি কোনো নির্দিষ্ট এলাকার নাম নয় বা নির্দিষ্ট কোনো এলাকাতেও অবস্থিত নয়। এর বেশিরভাগই টরেন্টো, মন্ট্রিয়ল, অটোয়া শহরে অবস্থিত। মূলত দেশের ধনী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের স্ত্রী-সন্তানরা, যারা বিনিয়োগ ভিসায় কানাডায় অভিবাসী হয়েছেন, তাদের এলাকা। স্বামীরা দেশে থেকে অর্থের জোগান দেন, আর স্ত্রীরা সন্তানদের নিয়ে সেই টাকায় কানাডায় থাকেন, সন্তানদের লেখাপড়া করান। এসব এলাকায় যারা বাড়ি করছেন, তারা প্রত্যেকেই অবৈধভাবে অর্থপাচার করেছেন বলে জানা গেছে।
এসব এলাকায় স্বামীরা স্থায়ীভাবে থাকেন না, বেড়াতে যান, এজন্য এসব এলাকাকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডাকেন বেগমপাড়া বলে। হঠাৎ করে আলোচনায় বেগমপাড়া আসার আরেকটি কারণ হলো কানাডার সরকারি সংস্থা দ্য ফিন্যান্সিয়াল ট্রানজেকশন অ্যান্ড রিপোর্ট অ্যানালাইসিস সেন্টার ফর কানাডা (ফিনট্র্যাক) গত এক বছরে তাদের দেশে এক হাজার ৫৮২টি অর্থ পাচারের ঘটনা চিহ্নিত করেছে। তবে এ তালিকায় বাংলাদেশি কেউ আছে কি-না সে বিষয়ে এখনও কানাডা সরকার কিছু জানায়নি।
এ বিষয়ে দুদক সচিব দিলওয়ার বখত বলেন, কানাডার বেগমপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের ২৮টি বাড়ির বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। সরকারের কাছে ওই তালিকাও চেয়েছি। তালিকা পাওয়া গেলে কাজ শুরু করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের অর্থ পাচারের বিষয়ে গত সোমবার (২৩ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশের বাইরে অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য তদন্ত সংস্থা কাজ করছে।
এদিকে, এ বিষয়ে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের যাবতীয় তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ২২ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
এ রুল বিবেচনায় থাকা অবস্থায় বিদেশে টাকা পাচারকারীদের নাম ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য (মামলাসহ, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা) প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
এদিকে, বেগমপাড়ার বিষয়টি আলোচনায় আসার আগেই গত ২২ অক্টোবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে দুদক কমিশনের মহাপরিচালক (অর্থপাচার) আ ন ম আল ফিরোজ এক চিঠিতে বিভিন্ন দেশে পাচারকৃত অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের তালিকা চান।
‘বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব থাকা বাংলাদেশিদের তালিকা প্রসঙ্গে’ শিরোনামের ওই চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও পত্রিকায় প্রকাশিত আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মিস-ইনভয়েসিং, হুন্ডি, বাল্ক ক্যাশ ট্রান্সফার ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে থাকে। এর ফলে, বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত তার মূলধন হারানোয় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। বাংলাদেশকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য যে পরিমাণ দেশীয় বিনিয়োগ করা প্রয়োজন, তা নিশ্চিত করতে হলে অর্থ পাচার রোধ করা একান্ত দরকার। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের নাগরিকদের একাংশ এদেশে থেকে অর্থ পাচার করে বিদেশে বিনিয়োগের (ইনভেস্টমেন্ট কোটা) মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের নাগরিত্ব নিয়েছেন।
চিঠিতে আরো বলা হয়, বহুল আলোচিত পানামা পেপার্স, প্যারাডাইস পেপার্স ইত্যাদি কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন বাংলাদেশি নাগরিকের নামও উঠে এসেছে। এ ধারা রোধ করা সম্ভব না হলে আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ভবিষ্যতে থমকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে নাগরিকত্ব নেওয়া রোধের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই। এটি একদিকে অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করবে, অন্যদিকে দেশীয় সম্পদ ফেরত আনা অন্যান্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে, যা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবেও কাজ করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা পাঁচ দিনের ছুটির ফাঁদে আটকা পড়েছে দেশ। বুধবারের সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতি তৈর...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় গ্রিডে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়। দুপুর ২টা থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। এ প...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাটের কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু কর...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : ২০২৩ সালে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ এবং অর্থনৈতিক মন্দা আরও ব্যাপকভাবে দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জান...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ ...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্ষমতাসীন আ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited