শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৬:৩৯ পিএম, ২০২২-০৯-১৭
অনলাইন জুয়া এবং মাদকের বিরুদ্ধে জোরদার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান সুজন।
এসময় তিনি বলেন চট্টগ্রাম নগরীতে খুব দ্রুত মাদকের বিস্তার ঘটছে। গভীর উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে যে, নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের কিছু কিছু এলাকা সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি মাদক ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাচ্ছে। উঠতি বয়সের তরুণ থেকে শুরু করে যুব সমাজ এসব মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। সন্ধ্যা নামতেই প্রকাশ্যে এসব মাদকের জমজমাট আসর বসে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় চট্টগ্রাম নগরীর প্রায় ৫০০ স্থানে প্রতিদিন মাদক বেচাকেনা হয়। গাঁজা- ইয়াবা ফেনসিডিলের পাশাপাশি নতুন নতুন মাদকও পাওয়া যাচ্ছে এসব এলাকায়। এছাড়া মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবার পাশাপাশি ভয়ংকর মাদক আইসের নিরাপদ রুট হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে চট্টগ্রাম। ফলত যুব সমাজ হাত বাড়ালেই ভয়ংকর মাদকের সন্ধান পাচ্ছে এবং এসব মাদকের উপর আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের কুপ্রভাবে সমাজে নানা ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড সংগঠিত হচ্ছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, নির্যাতন ও খুন খারাপির মতো নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে উঠতি যুব সমাজ। পাশাপাশি মাদকের অর্থ যোগান নিয়ে পারিবারিক কলহে স্বামী- স্ত্রীর সংসার ভেঙ্গে সামাজিক অস্তিরতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এভাবে চলতে থাকলে তা দ্রুত সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হবে। তাই এখনই মাদকের ভয়ংকর ছোবল থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করা একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। তবে মাদকের সাথে যেহেতু টাকা পয়সার লেনদেন সম্পর্কিত সেক্ষেত্রে এসব অপরাধ প্রতিরোধে আইনশৃংখলা বাহিনী এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে সর্বাগ্রে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে বলেও অভিমত সুজনের। তিনি আরো বলেন মাদকের পাশাপাশি বিভিন্ন পাড়ায় মহল্লার
মোড়ে মোড়ে উঠতি তরুণ থেকে শুরু করে যুব সমাজ মোবাইলে নিষিদ্ধ গেম এবং জুয়ার প্রতি অনেকটা ঝুঁকে পড়ছে। বাজি ধরার নামে এসব জুয়া ইতোমধ্যে সারা দেশে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। বাজার, মহল্লা, চায়ের দোকান ও খোলা মাঠে অনেকটা প্রকাশ্যে এসব জুয়ার আসর বসছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনলাইন জুয়া পরিচালনার জন্য এজেন্টও নিয়োগ
দেয়া হচ্ছে অত্যন্ত সুকৌশলে। এ নিয়ে চলছে সামাজিক ও পারিবারিক অশান্তি। অনেকেই না বুঝে এসব জুয়ার খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন এবং হচ্ছেন। অনেক যুবক দৈনন্দিন আয়ের একটি বড় অংশ এসব গেমের আড়ালে জুয়া খেলে হারিয়ে ফেলছেন। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সামাজিক অপরাধ। বিশেষ করে আইপিএল ক্রিকেট খেলা ও অ্যাপসভিত্তিক গেম খেলা নিয়ে সর্বসান্ত হয়ে পড়ছে ছাত্র, তরুণ ও যুব সমাজ।
এছাড়া বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির মাধ্যমে এসব জুয়া থেকে আয়কৃত টাকার একটি অংশও বিভিন্ন উপায়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। এখনই সমাজ থেকে অনলাইন জুয়া এবং মাদকের করাল গ্রাস বন্ধ করতে হবে। নচেৎ তরুন ও যুব সমাজের একটি বৃহৎ অংশ এসব কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়ে দেশের বিরাট বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই অচিরেই কঠোর হস্তে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে জোরদার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট অনুরোধ জানান খোরশেদ আলম সুজন।
স্টাফ রিপোর্টার : : নতুন করে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না। সলিমপুরে পাহাড় ব্যবস্থাপনার জন্য, কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খ...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি সিএনজি অটোরিকশা, মিনিবাস ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। ব...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ১...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ৩৮৮তম শাখার উদ্বোধন করা হয়ে...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার ৪০তম বার্ষিক সভা ও নির্বাচিত বেসরকারী মাদ্রা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited