শিরোনাম
আমাদের ডেস্ক : | ১২:৪৪ পিএম, ২০২১-০৭-২৪
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের জেলেরা। কিন্তু উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল।
তাই আপাতত অপেক্ষাই করতে হচ্ছে তাদের। শুক্রবার (২৩ জুলাই) মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ শিকারে যেতে জাল মেরামত ও ফিশিং ট্রলার তৈরি করে রাখা হয়েছিল। নতুন ফিসারিঘাটে ২২০টি এবং পুরনো ফিসারিঘাটে ৬৮টি আড়তেও নেওয়া হয় প্রস্তুতি। নগরের মাঝিরঘাট, চাক্তাই, ফিসারিঘাট, ফিরিঙ্গিবাজার, পাথরঘাটা, কাট্টলী, পতেঙ্গা ও জেলার বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড এবং আনোয়ারা উপকূলে মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন জেলেরা। কয়েকটি ট্রলার যাত্রা করলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে আবারও ঘাটে ফিরে এসেছে। ফিরিঙ্গিবাজারের ফিশিং ট্রলারের মাঝি আইয়ুব আলী বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে ১০ হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার মাছ শিকার করে। এছাড়া কয়েকশ ফিশিং জাহাজও রয়েছে। শনিবার (২৪ জুলাই) সকালে সাগরে যেতে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ। তাই ভালো আবহাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, জেলায় মোট ২৫ হাজার ৬৭৫ জন জেলে রয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে আছেন প্রায় ৩ হাজার জেলে। ২৬শ জন সাগরে মাছ ধরেন এবং প্রায় ৪শ জন মোহরা এলাকায় মাছ ধরা জেলে। মহানগরে ফিরিঙ্গিবাজার, পতেঙ্গা, আকমল আলী রোড, উত্তর কাট্টলী, দক্ষিণ কাট্টলীসহ মোট ৯টি ওয়ার্ডে ৩ হাজার জেলে আছেন। মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলে তাদেরকে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়। আনোয়ারা উপকূলে প্রায় সাড়ে ৬০০টি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে ১০ হাজার জেলে সাগরে মাছ ধরার অপেক্ষায় আছেন। এর মধ্যে গলাকাটা ঘাটে ৩৫টি, সাত্তার মাঝির ঘাটে ৪৫টি, বাছা মাঝির ঘাটে ৪০টি, ফকিরহাটে ১৭০টি, পিচের মাথায় ৩৫টি, উঠান মাঝির ঘাটে ২৮০টি, পারকি এলাকায় ২৫টি ও জুঁইদণ্ডী এলাকায় ২০টি ট্রলার প্রস্তুত আছে। সীতাকুণ্ডের ৯টি ইউনিয়নে সাত হাজারের বেশি জেলে পরিবার রয়েছে। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪ হাজার ৮০৫ জন। সাগর উপকূলে কুমিরা, ভাটিয়ারী, ইমামনগর, ছলিমপুরে নোঙর করে আছে মাছ ধরার ইঞ্জিনচালিত ট্রলার। বাঁশখালী বোট মালিক কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, এখানকার প্রায় দুই হাজার নৌকা সাগরে মাছ ধরতে যায়। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় মাছ ধরতে যেতে না পারছেন না ২০ হাজার জেলে। ছনুয়া-কুতুবদিয়া ঘাট, শেখেরখিল ফাঁড়ির মুখ, সরকার বাজার, মৌলভীবাজার বাজার, গণ্ডামারা খাটখালী, চাম্বল বাংলাবাজার এলাকায় মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করে আছে। ফিসারিঘাটে এমভি মোহছেন আউলিয়া ট্রলারের মাঝি মো. আলম বলেন, এক মাসের টার্গেট নিয়ে সাগরে যাওয়ার কথা। এবার জালে অনেক ইলিশ পড়বে বলে আশা করছি। কিন্তু ৩ নম্বর সিগন্যাল জারি হওয়ায় মাছ ধরতে পারছি না। এমভি রহমত ট্রলারের জিল্লুর মাঝি বলেন, ‘ঈদের সময় কষ্টে ছিলাম, ঋণ করে চলেছি। মাছ শিকার করে গত ২ মাসের ধার-দেনা পরিশোধের আশা করছি। সিগন্যাল নামলেই সাগরে রওনা দেবো’। সোনালি যান্ত্রিক মৎস্যশিল্প সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাবুল সরকার বলেন, ‘গত বছর মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সুফল আমরা পেয়েছি। করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায় এবার আরও লাভবান হবো। কর্ণফুলী পাড়ের জেলেরা সবাই সাগরে যাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। কয়েকটি ট্রলার এরই মধ্যে সাগরে গেছে। কয়েকটি ইলিশ নিয়ে ফিরেও এসেছে’।
নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা পাঁচ দিনের ছুটির ফাঁদে আটকা পড়েছে দেশ। বুধবারের সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতি তৈর...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় গ্রিডে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়। দুপুর ২টা থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। এ প...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাটের কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু কর...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : ২০২৩ সালে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ এবং অর্থনৈতিক মন্দা আরও ব্যাপকভাবে দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জান...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ ...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্ষমতাসীন আ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited