চট্টগ্রাম   মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪  

শিরোনাম

ন্যাচারাল ডেমোক্রেসী - নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক দর্শন

বরকল (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি ::    |    ০৯:৫৭ পিএম, ২০২২-০৭-১৪

ন্যাচারাল ডেমোক্রেসী - নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক দর্শন

 

শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ

 

কেন বিশ্বের বর্তমান হতাশা?

পৃথিবী এখন এক যুগ সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। মানব সমাজ এক চরম হতাশার মধ্য দিয়ে সময় অতিক্রম করছে। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, ক্ষমতাধর সরকার, দেশ, কর্পোরেট দুনিয়ার দাপটে মানব সমাজ এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এই সংকট উত্তোরণের জন্য হাজার বছর ধরে বিরাজমান এবং প্রয়োগ করা রাজনৈতিক দর্শনগুলো সমগ্র বিশ্বকে স্বস্তি দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশ্ব ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক, ন্যায় বিচার আর অস্তিত্ব রক্ষার নিরাপত্তা দিতে। কিন্তু কেন এই ব্যর্থতা?

 

সামন্তবাদঃ

বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে সামন্তবাদ অস্তিত্ব সংকটে পরার পর থেকেই বিশ্বব্যাপী সবাই কমবেশি স্বস্তিবোধ করেছিল এই ভেবে যে, মানব সমাজের দাসত্বের শিকল ভাঙার সময় হয়ে গেছে। আগামীর পৃথিবী হবে মানুষের পৃথিবী। কোন গোষ্ঠী বা পরিবারের হাতে মানুষ আর শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকবে না। কিন্তু নামে বেনামে বিভিন্ন মতবাদের অনুশীলনের আড়ালে সামন্তবাদ পৃথিবী থেকে কখনোই উচ্ছেদ না হওয়াতে মূলত কোন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কনসেপ্ট বিশ্বকে একটি স্বস্তিদায়ক গ্রহে পরিণত করতে ব্যর্থ হয়। সাবেক সামন্তবাদী পদ্ধতিতে মানুষের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও অস্তিত্বের ওপরে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা হতো, আধুনিক বর্তমানকালে সেই কাজগুলো পঁজিবাদী গণন্ত্রের লেবাসে করা হয়। জমিদারীর বদলে কর্পোরেট বিশ্ব গড়ে উঠেছে। তারাই বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি, পলিসি নিয়ন্ত্রণ করছে না হয় প্রভাবিত করছে।

পুঁজিবাদী গণতন্ত্রঃ

এই পদ্ধতি বিশ্বকে বিকশিত করেছে বলা হলেও মূলত এই ব্যবস্থার আওতায় কোথাও কোথাও মানুষকে তার শ্রমের বিনিময়ে প্রয়োজন মোতাবেক বিনিময় মূল্য দিয়ে (ন্যায্যটুকু নয়) কতিপয় কর্পোরেট/বহুজাতিক গোষ্ঠী নিজেদের সমৃদ্ধ করছে। এদের আওতায় গড়ে উঠেছে আরো কতিপয় সুবিধাভোগী গোষ্ঠী এবং সর্বপরি মধ্যসত্বভোগীদের দল। এই অর্থব্যবস্থার আড়ালেই গড়ে উঠেছে মাফিয়া সাম্রাজ্য এবং মানুষের মনণ নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় টেকনোলজি। টেকনোলজি উন্মুক্ত হবার পরিবর্তে হয়েছে মনোপলি ও নিয়ন্ত্রিত। এমনকি টেকনোলজির দ্বারাই এখন মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে শারীরিক, মানসিক এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিকভাবে। বর্তমান বিশ্বের ক্রমাগত যুদ্ধাবস্থাও এই পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সৃষ্টি। বাজার ও সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার লক্ষ্যে কর্পোরেট বিশ্ব পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিকতার নামে বিশ্বব্যাপী মানুষ হত্যাযজ্ঞে ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে।

সমাজতন্ত্রঃ

সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মানুষ হয়ে পড়ে যান্ত্রিক। পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে মোকাবেলা করতে গিয়ে এই ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণকারীরা অভ্যস্থ হয়ে পড়েছিল ভিন্ন এমন এক একনায়কতান্ত্রিক পদ্ধতির উদ্ভাবক ও লালনকারী যা সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হবার কারণে মানুষ হাপিয়ে উঠেছিল। মানবিকতা ও আধ্যাত্বিকতা চাপা পড়েছিল যান্ত্রিকতার আড়ালে। ফলে মানুষ তার মানবীয় স্বত্তায় বিদ্রোহ করে আর সেই বিদ্রোহের আগুনে পেট্রোল ঢেলে দেয় পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিকতার নিয়ন্ত্রণকারীরা। লক্ষ্য নতুন বাজার তৈরি আর মুনাফা লাভ।

 

ধর্মীয় রাজনীতিঃ

ধর্মীয় রাজনীতি বলতে মূলত বর্তমান বিশ্বে ইসলামী রাজনীতিকেই টার্গেট করা হয়। কিত্তু শতাব্দি পূর্বেও রাষ্ট্র আর চার্চের সম্মিলনে শাসনকার্য চলত। এখনো পাশ্চাত্যে চার্চকে কাগজে কলমে অস্বীকার করা হলেও, পদ্ধতিগতভাবে রাষ্ট্রের, সমাজের ও ব্যাক্তির ওপরে চার্চের অলিখিত এক প্রভাব রয়েছে। ধর্মীয় রাজনীতি এখন অতিমাত্রায় রাজনীতি নির্ভর হয়ে পড়েছে এবং পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও সমাজতান্ত্রিক পদ্ধতির সাংঘার্ষিক পরিস্থিতিতে নিজেদের ভিন্ন অবস্থানকে সুসংহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রপাগান্ডাসহ নানান প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে ধর্মীয়বাদীরা পুঁজিবাদীরা গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণে না হয় সমাজতান্ত্রিকদের নিয়ন্ত্রণে নিজেদের বাঁচাতে চেষ্টা করেছে। যে কারণে ধর্মীয় রাজনীতির মূল শক্তি আধ্যাত্মিকতা অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে এবং এই কারণেই ধর্মীয় রাজনীতি পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক বিশ্বের ন্যায় সফলতা লাভ করেনি। তারা পূঁজিবাদী গণতান্ত্রিকদের না হয় সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের স্যাটেলাইট অংশ হিসেবেই অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যস্ত রয়েছে।

 

কেন নতুন কনসেপ্ট?

এই বিভিন্ন কনসেপ্ট বা রাজনৈতিক দর্শনের বর্তমান অচলাবস্থা মানুষকে ধীরে ধীরে হতাশ করছে। মানুষ জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে না হয় ধর্ম চর্চায়। ঘৃণিত হচ্ছে রাজনীতিকরা। কিন্তু সব কিছুর বাইরে রয়ে যাচ্ছে সেই পুঁজিবাজারের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রকেরা যারা আসলেই পুঁজিবাজারের মালিক নন। আমাদের এই গ্রহের নিয়ন্ত্রণকারী প্রাণীর/সৃষ্টির নাম হলো মানুষ। মানুষ কিভাবে পৃথিবী নামক গ্রহে এসেছে তার বিতর্কে এই মুহূর্তে না গিয়ে আমরা মানুষ নামক এই প্রাণীর বর্ননা করতে পারি এইভাবে যে, মানুষ নিজেকে গড়ে তুলতে পারে, অপরকে সহযোগিতা করতে পারে, নিজেরা সংগঠিত হতে পারে, ভলো-মন্দ বিচার করতে পারে, এবং সর্বোপরি তার রয়েছে আধ্যাত্মিক/অবচেতন মনের এক বিশাল আধার । আমরা যতই অস্বীকার করিনা কেন, আধ্যাত্মিক চেতনা ধারণ করা মানুষের সংখ্যা কোন ক্রমেই কম নয়। সমাজতান্ত্রিক পদ্ধতি মানুষের আধ্যাত্মিকতাকে কঠোর হস্তে পাথর চাপা দিয়ে রাখে। আর পুঁজিবাদী গণতন্ত্র মানুষের মানবিকতাকে ও আধ্যাত্মিকতা করে দুষিত এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে দুর্নীতিগ্রস্থ। ধর্মীয় রাজনৈতিক বা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব আর পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক বিশ্বের উভয়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতার কারণে হয়েছে এক খিঁচুড়ি অবস্থা। যে কারণে শত কলেমা লেখা থাকা সত্বেও সাদ্দাম হোসেন বা হোসনী মোবারক বা আসিফ জারদারীকে ইসলামী চেতনার প্রতিনিধি হিসেবে মানুষ মেনে নেয় না। এই সময়ে আমাদের এমন এক পদ্ধতির রাজনৈতিক কনসেপ্টকে বেছে নিতে হবে যেখানে পুঁজির একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবেনা, যেখানে সমাজতান্ত্রিক যান্ত্রিকতা থাকবেনা, যেখানে ধর্মের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। পুঁজির বিকাশ হবে মানুষের জন্য তাদের নিয়ন্ত্রণে, সমাজতান্ত্রিক সামাজিক ব্যবস্থাও থাকবে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে এবং সর্বোপরি মানুষের আধ্যাত্বিক বিকাশকে বাধাগ্রস্থ না করে মানবিক উন্নয়নে সংযুক্ত করা হবে এই নতুন কনসেপ্ট এর লক্ষ্য। কেবলমাত্র আধ্যাত্মিকতার অনুশীলনই মানুষের মধ্যে মরাল বা মূল্যবোধ সৃষ্টি করে। প্রকৃতি কখনোই অনাচার সহ্য করে না, শূন্যতা বহাল রাখে না। প্রকৃতি অনিয়ম পেলে প্রতিশোধ নেয়। যেমন আমরা আজ প্রকৃতিকে তার মত করে চলতে না দিয়ে মোকাবেলা করছি চরম প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো। এর সংখ্যা আরো বাড়বে নিশ্চিত যদি না আমরা সচেতন হই। তাই প্রকৃতির সবচেয়ে নিকটজন মানুষকে যদি প্রকৃতিক নিয়মে বিকশিত হতে না দেই তা প্রতিশোধের কারণ হবেই। মানুষকে তার নিজেকে শাসন নয় সেবা করার প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রাকৃতিক পদ্ধতিকে যেতে হবে। কোন মানুষকেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার অজুহাতে তার প্রতিনিধিত্বের বাইরে রাখা প্রকৃতি বিরোধী কাজ। এই জন্য ‘‘ন্যাচারাল জাস্টিসের দ্বারা সাম্য, বন্টন, দায়িত্ববোধ এবং প্রগতি নির্ধারণ করতে হবে।’’

 নতুন এই কনসেপ্টের নাম হলো ‘‘ন্যাচারাল ডেমোক্রেসি’’।

 

কারা এই কনসেপ্টের কর্মী হবে?

বিশ্বব্যাপী মধ্যবিত্ত ও কর্মজীবি মানুষের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারনে সামন্ত যুগের পরে তাদেরই প্রাধান্য ছিল। রাজনীতিতে এই মানুষগুলোর প্রয়োজনকে ঘিরেই নীতি নির্ধারিত হতো। কিন্তু এই ত্যাগী শ্রেনীর মানুষগুলোকে পুঁজিবাদের প্রতি মোহাবিস্ট করে রাজনীতি বিমুখ করে দিয়েছে অর্থনৈতিক/বানিজ্যিক স্বার্থ সংশ্লিস্ট ব্যক্তিরা। এই বিশেষ শ্রেনীই এখন দেশে দেশে রাজনীতির চালকের আসনে বসেছে। এদেরকে হটিয়ে আবারো গণমানুষের ত্যাগী নেতৃত্ব দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তবে তা হবে আধুনিক এই তথ্য প্রযুক্তির যুগের সাথে তাল মিলিয়ে, উনবিংশ বা বিংশ শতাব্দীর আদলে বা মোড়কে নয়। ন্যাচারাল ডেমোক্রেসীর বাস্তবায়নের পূর্ব শর্ত হিসেবেই দেশে দেশে গড়তে হবে ত্যাগী পেশাজীবি প্রশিক্ষিত কর্মী ও নেতৃত্ব। যেকোন মূল্যে একটি মানবতাপূর্ন বাসযোগ্য বিশ্ব গড়াই হবে লক্ষ্য।

রিটেলেড নিউজ

চট্টগ্রাম ওয়াসাকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন ।

চট্টগ্রাম ওয়াসাকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন ।

সম্পাদকীয় ডেস্ক :: : চট্টগ্রাম নগরীতে ওয়াসা ৮শ’ কিলোমিটার সঞ্চালন পাইপ লাইনের মাধ্যমে নগরের ৮০ হাজার গ্রাহকের কাছে &l...বিস্তারিত


যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নতুন অর্থনৈতিক জোটের লক্ষ্য আসলে কী, কী সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ?

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নতুন অর্থনৈতিক জোটের লক্ষ্য আসলে কী, কী সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ?

নাসির আহমাদ রাসেল :   ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অর্জনের লক্ষ্যে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোট...বিস্তারিত


কিশোর গ্যাং এখন বড় চ্যালেঞ্জ

কিশোর গ্যাং এখন বড় চ্যালেঞ্জ

মুহাম্মদ আমির হোছা্ইন :: : শিশু-কিশোররাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। শিশু-কিশোররা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠলেই দেশ ও জ...বিস্তারিত


ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা দেশের  অর্থনীতিতে  ভুমিকা রাখেছে

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা দেশের  অর্থনীতিতে  ভুমিকা রাখেছে

আমাদের ডেস্ক : : সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের সোপানের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। করোনা মহামারির  না হলে বাংলাদ...বিস্তারিত


  জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এগিয়ে আসি 'পরিবেশ সংরক্ষণের জ্ঞানার্জন করি 

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এগিয়ে আসি 'পরিবেশ সংরক্ষণের জ্ঞানার্জন করি 

ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ : আজ আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস ২০২২।বিশ্বব্যাপী আজ রবিবার  (২২ মে) পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক জী...বিস্তারিত


৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস 

৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস 

ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ : আজ রবিবার   ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস ২০২২ পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর ৮ মে সারাবিশ্বে থ্যালাসেমিয়...বিস্তারিত



সর্বপঠিত খবর

নেশনস কাপের ফাইনালে মুখোমুখি সালাহ-মানে

নেশনস কাপের ফাইনালে মুখোমুখি সালাহ-মানে

স্পোর্টস ডেস্ক : : ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট লিভারপুলের জার্সিতে খেলেন দুজনেই। আক্রমণভাগে দুজনের রসায়নে অলরেড...বিস্তারিত


ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে পশ্চিমাদের আবারও রাশিয়ার হুশিয়ারি

ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে পশ্চিমাদের আবারও রাশিয়ার হুশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : রাশিয়ার মাটিতে আঘাত হানতে পারে— এমন সব অস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে হু...বিস্তারিত



সর্বশেষ খবর