শিরোনাম
রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:: | ০৭:২৬ পিএম, ২০২২-০৬-০৪
দেশের অন্যতম ও প্রথম মৈত্রী সেতু বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ সেতু ঘিরে যে কর্মযজ্ঞ প্রত্যক্ষ চলমান ছিল , তা বর্তমানে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।
২০১৭ সালে সরকার ১৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই স্থলবন্দর নির্মাণের কাজ অনুমোদন করেন বাংলাদেশ সরকার। এরইমধ্যে ৫বছর অতিবাহিত হলেও মূল সেতু ছাড়া অন্যসকল অবকাঠামো নির্মাণকাজের বাস্তব অগ্রগতি দেখা মিলেনি।কিছুদিন পূর্বে সরকারের বেশ কয়েকজন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল, বরাবরই সবাই দ্রুত কাজ শেষ হবে জানান। অথচ অনুমোদনের পাঁচ বছর পার হলেও দ্রুত কাজ শেষ করার কার্যত কোন দৃশ্য চোখে পড়েনি।
কিছুদিন আগে কথা হয় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এর সাথে তিনি এই বিষয়ে জানান, রামগড় সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু, এটির ফলে দু'দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ অর্থনৈতিক বিপ্লবের হাতছানি দেখছি। মৈত্রী সেতুর বাংলাদেশ অংশে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে।এরপর স্থলবন্দরের জন্য প্রায় ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখনো অনেক ভূমিতে সমস্যা আছে, তিনি বলেন, দ্রুত সব কিছু মিটে যাবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘২০২৪ সালের মধ্যে এই বন্দরের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে সম্ভব হয়নি বলে জানান,
অপর দিকে ভূমি জটিলতা ও দুই দেশের সীমান্তবর্তী জায়গায় স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ হওয়াতে বন্দরের নকশা অনুমোদনের জন্য দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় বিজিবি, বিএসএফ পর্যায়ের পতাকা বৈঠক করতে হচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এখনও পর্যন্ত বন্দরের কাজ শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১ এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সারোয়ার আলম জানিয়েছেন, প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড় স্থলবন্দর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বন্দরটিতে চার তলা পাসেঞ্জার টার্মিনাল ও পোর্ট ভবন নিমার্ণসহ নানা অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মোট দুই পর্যায়ে শেষ হবে বন্দরের কাজ। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করেছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ভূমি উন্নয়নসহ সব অবকাঠামো নির্মাণ কাজ করা হবে।
রামগড় ৪৩ বিজিবির জোন কমান্ডার (সিও) ল্যাফট্যানেন্ট কর্নেল মো. আনোয়ারুল মাজহার জানিয়েছেন ‘নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো দেশের আন্তর্জাতিক সীমানার দেড়শ গজের মধ্যে কোনও স্থাপনা করতে হলে, সেই স্থাপনার নকশায় অবশ্যই দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর অনুমোদন নিতে হয়। ২০১৭ সালে সরকার রামগড় স্থলবন্দরের অনুমোদন দিয়েছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) দিয়ে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) কাছ থেকে নকশার অনুমোদন নেয়া দ্রুত গেলে কাজ সম্পন্ন হবে। অন্যথায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে বলে মনে হয়না। এদিকে কয়েক মাস হয়ে গেল
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বন্দর পরিদর্শন করেছেন, সে সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন ‘বাংলাদেশ-ভারত ভাতৃপ্রতিম দেশ। দুই দেশ সব ক্ষেত্রে পরস্পরের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য কাজ করছে। সবকিছু ঠিক হওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রামগড় স্থলবন্দরের কাজ শেষ হলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে খাগড়াছড়িসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্যে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে, সবই ঠিক আছে, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রামগড় মহামনির বন্দরের কাজ পুরোদমে বন্ধ হয়ে আছে, অবকাঠামো নির্মাণকাজের দায়িত্বে আছেন মনিকো কনেক্ট্রাকশন, তাদের সাইড ম্যানেজমেন্ট অফিসারের কথা বলতে চাইলে খুজে পায়নি, জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে কাজ বন্ধ থাকলে ২৪ সালের মধ্যে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু পূর্ণরুপে চালু হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থাকবে।।
নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা পাঁচ দিনের ছুটির ফাঁদে আটকা পড়েছে দেশ। বুধবারের সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতি তৈর...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় গ্রিডে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়। দুপুর ২টা থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। এ প...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাটের কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু কর...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : ২০২৩ সালে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ এবং অর্থনৈতিক মন্দা আরও ব্যাপকভাবে দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জান...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ ...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্ষমতাসীন আ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited