শিরোনাম
স্টাফ রিপোর্টার : | ০৫:৪৩ পিএম, ২০২২-০৩-২১
বৃহত্তর চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পগুলোর কারণে উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
২ বছরের কোভিড এবং বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাহিদা ও পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাশাপাশি সাপ্লাই চেইন এবং সক্ষমতা কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের নীতি নির্ধারণের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয়সাধনপূর্বক বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নেওয়া উচিত।
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়লে দেশের রফতানিতে প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতাও বাড়ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন মধ্যম আয়ের দেশ এবং উন্নত রাষ্ট্রে বাংলাদেশকে রূপান্তর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন আনুষঙ্গিক ইউটিলিটিজ নিয়ে ব্যবসায়ী সমাজকে সোচ্চার হতে হবে।
শুধু উন্নয়ন নয়, টেকসই উন্নয়নের জন্য সবার একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। রাজস্ব প্রদান ইতিবাচক। ব্যবসার পরিসর বৃদ্ধি পাওয়া মানে রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়া। বর্তমানে যারা আয়কর দিচ্ছে শুধু তাদের ওপর না চাপিয়ে করের আওতা বাড়ানো দরকার। গ্রামীণ অর্থনীতি বর্তমানে অনেক শক্তিশালী। তাই উপজেলা পর্যায়েও রাজস্ব আহরণ করা যেতে পারে।
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনার জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার (২১ মার্চ) সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বার সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, বিজিএমইএ’র ১ম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, পরিচালক একেএম. আক্তার হোসেন ও মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ও এসএম আবু তৈয়ব, বিএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহুসেইন, বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী ও জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল।
মাহবুবুল আলম বলেন, করোনা মহামারিতে সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধা যাতে এসএমই খাত পায় সেই লক্ষ্যে এফবিসিসিআই সভাপতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধা ও অসুবিধা অনুধাবনপূর্বক সরকারের সঙ্গে নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে কাজ করে থাকেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই চট্টগ্রামকে ঘিরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তা সময়মতো সম্পন্ন করা হলে আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে যা এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে।
তবে এক্ষেত্রে চট্টগ্রামে সরকারের দফতরগুলোর আরও বেশি ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। বেশির ভাগ চেম্বারেরই আর্থিক সঙ্গতি নেই। তাই চেম্বারগুলোকে করের আওতামুক্ত রাখা উচিত। চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের মাধ্যমে ১৩ টনের বেশি মালামাল বহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমেই দেশের সিংহভাগ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয় এবং চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে পণ্য পরিবহন করা হয়।
তিনি ব্যবসায়ীদের এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য এফবিসিসিআই সভাপতিকে বিশেষ অনুরোধ জানান।
সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হওয়া ও তা সমাধানের লক্ষ্যে এফবিসিসিআই সভাপতির এ উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। তিনি ভবিষ্যতে এ প্রক্রিয়ায় সারাদেশের ব্যবসায়ী সমাজ উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বক্তারা কাঁচামাল ও ফিনিশড প্রোডাক্ট আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কের যৌক্তিক পার্থক্য নিশ্চিত করা, লোকাল এলসির ক্ষেত্রে উৎসে কর প্রত্যাহার, আগামী ৬ মাসে সম্ভাব্য ভোগ্যপণ্যের চাহিদা প্রাক্কলন করে আমদানি, চাহিদা, জোগান ইত্যাদির মধ্যে সমন্বয় করা, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি না করা, ডলারের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ, অগ্রীম কর ফেরত প্রদান, ইকনোমিক জোনে ভূমির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে এলসি খোলার ব্যাপারে সহায়তা প্রদান, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন, চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক সম্প্রসারণ, নৌ-বন্দর সৃষ্টির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধি, ঢাকার পরিবর্তে চট্টগ্রাম থেকে কোয়ারেন্টাইন আইপি নবায়ন ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে এফবিসিসিআই সভাপতির প্রতি আহবান জানান। সভা শেষে এফবিসিসিআই সভাপতি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পারমানেন্ট এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম, চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, মো. শাহরিয়ার জাহান, সাকিফ আহমেদ সালাম, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এসএম তাহসিন জোনায়েদ ও মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআইর পরিচালক ডা. মুনাল মাহবুব, এফবিসিসিআই পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী, মো. শাহাবুদ্দিন ও ড. যশোদা জীবন দেবনাথসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী নেতারা।
স্টাফ রিপোর্টার : : নতুন করে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না। সলিমপুরে পাহাড় ব্যবস্থাপনার জন্য, কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খ...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি সিএনজি অটোরিকশা, মিনিবাস ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। ব...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ১...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ৩৮৮তম শাখার উদ্বোধন করা হয়ে...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার ৪০তম বার্ষিক সভা ও নির্বাচিত বেসরকারী মাদ্রা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited