শিরোনাম
আনোয়ারা প্রতিনিধি : | ০৩:১২ পিএম, ২০২২-০২-০৭
চট্টগ্রাম আনোয়ারায় কয়েক গ্রামে সন্ধ্যা নামতেই তাণ্ডব চালাচ্ছে পাহাড় থেকে নেমে আসা বন্য হাতির পাল। হাতির দল গম, ধানের বীজতলা,খেত নষ্ট করছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান ,হাতির আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শতশত কৃষক টর্চলাইট লাঠি, মশাল, পটকা ও বাঁশি নিয়ে নেমে পড়েন।
কারো বসতবাড়ি,দোকানপাট,ফসল খেয়ে ফেলছে ,গাছপালা, বিনষ্ট করছে। এভাবে সন্ধ্যা নামলেই প্রতিদিন হাতির আতঙ্কে জানমাল নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ, বারশত, বটতলী ও বারাখাইন ইউনিয়নের মানুষেরা।
শিল্পকারখানা তৈরি করে প্রতিনিয়ত গিলে খাচ্ছে পাহাড়। ফলে সংকুচিত হয়েছে পশুদের বসবাসের স্থান, বেড়েছে খাদ্য সংকট। এই কারণেই সন্ধ্যা নামলেই উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের দেওয়ান বাজার, গুয়াপঞ্চক, খানবাড়ী, মোহাম্মদপুর, বদলপুরা, বন্দর, বারশত ইউনিয়নের কবিরের দোকান, পশ্চিমচাল, কান্তিরহাট, বটতলী ইউনিয়নের জয়নগর, ছিরাবটতলী, গুচ্ছগ্রাম, জয়নালপাড়া ও বারখাইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও গ্রামে অবাধে হানা দেয় হাতির দল। মাঝেমধ্যে দিনের আলোতেও এসব এলাকার ফসলি জমিতে বিচরণ করতে দেখা যায় তাদের।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর পাঁচেক আগে বাঁশখালীর পাহাড় থেকে বন্যহাতির একটি দল দেয়াং পাহাড় এবং আশপাশের পাহাড়ে অবস্থান নেয়। সন্ধ্যা হলেই তারা খাদ্যের সন্ধানে কর্ণফুলী উপজেলার বেশকটি এলাকা এবং আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ, বারশত, বটতলী এবং মাঝেমধ্যে বারখাইন ইউনিয়নে নেমে এসে মানুষের ঘরবাড়ি, দোকানপাট, গাছপালা নষ্ট করে।
গবাদি পশু এমনকি মানুষের ওপরও হামলা করে। গত পাঁচ বছরে মসজিদের ইমাম, পাহারাদার, প্রতিবন্ধীসহ আনুমানিক কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলার ১৭ জনের প্রাণহানি এবং অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। হাতি তাড়ানোর জন্য পাহারাদার দেওয়া হলে তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। হাতির পাহারা দিতে গিয়ে হাতির আক্রমণের শিকার হয়েছে অনেকেই। গত বছর হাতি তাড়াতে গিয়ে গুয়াপঞ্চক গ্রামের হাতি তাড়ানো টিমের নেতা আবু বক্কর হামলা শিকার হয়েছেন। সেখান থেকে প্রতি রাতে কোনো না কোনো গ্রামে হামলা চালাচ্ছে হাতিগুলো। হাতির আতঙ্কে রাত কাটাছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে আমাদের চট্টগ্রামকে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, বন্যহাতির দল গত কয়েক বছর ধরে আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হানা দিচ্ছে । এই বিষয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি বন বিভাগকে জানিয়েছি। তিনি বলেন, খাদ্য সংকটে হাতিগুলো লোকালয়ে নেমে আসছে। হাতির খাবার জোগান দিতে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়ত বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় হাতির আবাসস্থলে ও খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে খাবারের সন্ধানে তারা লোকালয়ে নেমে আসায় জনগনের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে ।
গুইমারা প্রতিনিধি :: : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
রামু প্রতিনিধি : : বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননী...বিস্তারিত
রাউজান প্রতিনিধি : : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মিরসরাই উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) রা...বিস্তারিত
পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধব...বিস্তারিত
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। অবস্থা এমন যে একটি গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর। আর এসব জ্বর ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited