শিরোনাম
লোহাগাড়া প্রতিনিধি : | ০৬:৪৬ পিএম, ২০২২-০৬-১৫
লোহাগাড়া উপজেলার পশ্চিম আমিরাবাদ ২নং ওয়ার্ড আলুরঘাট সংলগ্ন ও সাতকানিয়া দুই উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দুই সীমানার প্রাচীর এলাকায় ডলু নদী থেকে স্কেভেটর দিয়ে ক্রমাগত মাঠি কাটার ফলে ডলু খালের পশ্চিম তীরের জনবসতি ও খালের পাশ দিয়ে আলুরঘাট- সেনের হাট সংযোগ সড়কটি হুমকির মুখে পড়েছে। এমনি বিগত কয়েক বছরে ডলুর ভাঙ্গনে ২০টি বসতঘর ও কবরস্থান সম্পুর্ন বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের ঝুকিতে আছে ৩০ বসতবাড়ি। ইতোমধ্যে ঐ খালের পাড় সাইড ভেঙ্গে মাঝখানে যে মাঠি পড়েছিল তা উত্তোলনের কারনে সড়ক ধ্বসে দীর্ঘদিন আমিরাবাদ - আলুরঘাট- সেনের হাট সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ সময় ওই সড়কে যোগাযোগকারী হাজারো মানুষের দূর্গতি চরম আকার ধারণ করেছিল।
সরকারীভাবে খালের বালু বা মাঠি মহাল ইজারার মাধ্যমে বৈধভাবে উত্তোলনের শর্ত থাকলেও নেই কারো যথাযথ সনদ। খাল পাড়ের জনবসতি ও কবরস্থানের পাশ ঘেষে নির্বিচারে মাঠি উত্তোলন করছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী একটি মহল।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেছেন, ওই সিন্ডিকেট নদীর আলুরঘাট এলাকা থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম আমিরাবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা হতে নির্বিচারে মাঠি উত্তোলন করছে। ফলে খালের দু'তীর ধ্বসে ইতোমধ্যে ২০ পরিবারের বসত ভিটে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে তারা খোলা আকাশের নীচে গাছ তলায় মানবেতর দিনাতিপাত করছে। শুধু তাই নয়, নির্বিচারে স্কেভেটর দিয়ে মাঠি উত্তোলনের কারনে সোনাকানিয়া এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তীর রক্ষা বঁাধের সিসি ব্লক ধ্বসে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে। এছাড়া যে কোন সময়ে আবার ভেঙ্গে পড়তে পারে আমিরাবাদ - আলুরঘাট-সেনের হাট সড়কটি।
এলাকার বৃদ্ধ নুর আহমদ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, নুর আয়েশা, আবদুর আলীম জানান, বিগত কয়েক বছরে ডলুর ভাঙ্গনে ২০টি বসতঘর ও কবরস্থান সম্পুর্ন বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের ঝুকিতে আরো ৩০ বসতবাড়ি। এখনই যদি ডলু খাল থেকে মাঠি উত্তোলন বন্ধ করা না হয় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অবশিষ্ট কবরস্থান, ফলজ ও বনজ বাগান, ফসলি জমি, চলাচলের রাস্তাসহ ঐ ৩০ পরিবারের বসত ভিটে খালের পেটে বিলীন হয়ে যাবে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী আরও জানান, এ বিষয়ে আমরা আইন প্রয়োগকারী লোকদেরকে অনুরোধ করে কোনো সুরাহা পাইনি। দুই উপজেলার সীমানা হওয়ায় অনেকেই এসে দায়সারা হয়ে চলে যায়।ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামীণ জনপদ।
মাটি উত্তোলনকারী এক সদস্য মেম্বার এহসান বলেন, চরগুলো লিজ হয়েছে। সেখান থেকে আমরা বালু ও মাটি কাটছি। তাছাড়া চিহ্নিত দরপত্রের বাইরে যেগুলো কাটা হয়েছে,তার ক্ষতিপূরণও জায়গার মালিককে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমার এলাকায় ডলুর তীরে যে মাটি কাটা হচ্ছে তা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তবে কিভাবে কাটছে আমি জানিনা। কিন্তু টপ সয়েল লিজ নেওয়ার বিষয়টা আমার বুঝে আসে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ উল্লাহ বলেন, দরপত্রে চিহ্নিত মাপের বাহিরে মাটি কাটা হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গুইমারা প্রতিনিধি :: : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
রামু প্রতিনিধি : : বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননী...বিস্তারিত
রাউজান প্রতিনিধি : : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মিরসরাই উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) রা...বিস্তারিত
পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধব...বিস্তারিত
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। অবস্থা এমন যে একটি গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর। আর এসব জ্বর ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited