শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : | ০২:২৮ পিএম, ২০২১-০৩-১৫
মিয়ানমারে সামরিক সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একদিনেই ৩৮ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
রোববার (১৪ মার্চ) দেশটির রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। এসময় শিল্প এলাকা বলে পরিচিত হ্লাইংথায়ায় চীনের বেশ কয়েকটি কারখানায় হামলা চালানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার শুধু হ্লাইংথায়ায় ২২ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের (এএপিপি) বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালালে তাদের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দেশটির অন্যান্য শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন ১৬ জন। আর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন একজন পুলিশ সদস্য।
দেশটির সরকারি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, শিল্প এলাকা হ্লাইংথায়ায় চারটি গার্মেন্টস কারখানা ও একটি সার কারখানায় আগুন দেওয়া হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সেদিকে যেতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা বাধা দেয়। প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারী ফায়ার সার্ভিসের পথ বন্ধ করে দেয়। সংঘর্ষের পর সামরিক সরকার চীনা কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকা এলাকাটিতে মার্শাল ল জারি করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক বলেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর। আমি চোখের সামনে গুলি করে বিক্ষোভকারীদের হত্যা করতে দেখেছি। এমন নৃশংস দৃশ্য জীবনে ভুলতে পারব না।’
চিকিৎসাকর্মীদের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাবাহিনী রাবার বুলেট ও তাজা গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ৩৯ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার নাউ ওয়েবসাইট। তবে স্থানীয় অপর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে।
চীনের দূতাবাস মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে তাদের সম্পত্তি ও নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। চীন অর্থায়ন করা দুটি পোশাক কারখানায় অজ্ঞাত হামলাকারীরা আগুন দেওয়ার পর এই আহ্বান জানানো হয়।
গত মাসে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে চলমান আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ১২৬ জনের বেশি মানুষের নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।
অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি পার্টির (এনএলডি) নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে যারা গ্রেপ্তার এড়িয়ে আত্মগোপন করতে সক্ষম হয়েছেন তারা একটি নতুন গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর নাম কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডাংসু লুত্তাও বা সিআরপিএইচ। মান উয়িন খাইং থান এর অস্থায়ী প্রধান নিযুক্ত হয়েছেন।
সিআরপিএইচ মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
শনিবার গোপন অবস্থান থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে খাইং থান বলেন, এটি জাতির সবচেয়ে অন্ধকার মুহূর্ত কিন্তু নিকটেই ভোর।
সিআরপিএইচ মিয়ানমারে একটি ফেডারেল গণতন্ত্র তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। এর নেতারা দেশটির বৃহত্তম নৃগোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করছে এবং ইতোমধ্যে কিছু গোষ্ঠী সিআরপিএইচের প্রতি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
এই বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠনগুলো মিয়ানমারের বিস্তৃত বহু অঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে রেখেছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ওয়েস্ট আজারবাইজান প্রদেশে বুধবার (৫ অক্টোবর) ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোর...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পদক জিতে নিয়েছেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সাভান্তে পাবো। সোমবার নোবেল কমিট...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : ইউক্রেনকে প্রথমবারের মতো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। জার্মানির প্রত...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে ডলারের বিপরীতে চীনের ইউয়ানের রেকর্ড দরপতন হয়েছে। ২০১১ সালে আন্তর্...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামার নাম নেই। বরং এটি আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ঘোষণা ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited