শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০২:১৪ পিএম, ২০২০-১২-২৪
রেল মানে লুটপাটের কারখানা। এমন কোন খাত নেই যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না। কেনায় দুর্নীতি, সংস্কারে দুর্নীতি, নিয়োগ পদোন্নতিতে দুর্নীতি। কোন কাজ না করেও ঠিকাদাররা বিল নেয়। এবার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১৫০টি রেলকোচ (ক্যারেজ) কেনার প্রকল্প প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে। অনিয়মের আড়ালে হয়েছে বড় দুর্নীতি।
সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নির্দেশের পর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তদন্তে তা ধরাও পড়েছে। এই অনিয়ম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও এবার দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে এ বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়তে যাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বিষয়টির তদন্তে গুরুত্ব দিচ্ছে। যদিও রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি চক্র এই অনিয়ম লুকিয়ে রাখতে এরই মধ্যে নানা প্রভাব খাটিয়েছে। রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন অবশ্য বার বার বলছেন, রেলে দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, রেলকোচ কেনার আগেই অনিয়ম হয়েছে। দুদকে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। আশা করছি বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এই অভিযোগ পৌঁছে যাবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণিত হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১৫০টি রেলকোচ কেনার প্রকল্পে অনিয়ম করেছেন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হাসান মনসুর। তিনি এক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘন করেছিলেন। সরকারি নিয়ম অনুসারে, ১৫০টি রেলকোচ কেনার দরপত্র সংবাদপত্রে আহ্বানের আগেই ‘অফিশিয়াল এস্টিমেট’ সিলগালা করে প্রকল্প পরিচালকের নিজের হেফাজতে রাখার কথা। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট দরপত্র আহ্বানের দুই মাস পর এস্টিমেট সিলগালা করেন। এক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালক দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হাসান মনসুর এ ব্যাপারে বলেছেন. এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলবো না।
চলতি বছরের গত ২৪ জুন অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব প্রক্রিয়ায় বিধি না মানার অভিযোগ স্পষ্ট ধরা পড়ে। ওই সভায় বিষয়টির তদন্তে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) প্রণব কুমার ঘোষকে প্রধান করে গঠন করা হয় কমিটি। ওই সভায় দরপত্র প্রক্রিয়ার অনিয়মে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয় তদন্ত করে প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে বিধি না মানার অভিযোগের সত্যতা পায়। তবে প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১৫০টি রেলকোচ কিনতে ২০১৭ সালের ১ জুলাই প্রকল্প অনুমোদিত হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১৫০টি রেলকাচ কেনার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় চলতি বছর গত ২৯ জুলাই। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ১৮ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে কোচগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে সরবরাহের কথা। প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ৬৫৮ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
স্টাফ রিপোর্টার : : নতুন করে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না। সলিমপুরে পাহাড় ব্যবস্থাপনার জন্য, কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খ...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি সিএনজি অটোরিকশা, মিনিবাস ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। ব...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ১...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ৩৮৮তম শাখার উদ্বোধন করা হয়ে...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার ৪০তম বার্ষিক সভা ও নির্বাচিত বেসরকারী মাদ্রা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited