শিরোনাম
মুজিব উল্ল্যাহ্ তুষার | ০৫:৪১ পিএম, ২০২২-০৭-২৮
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর দৃষ্টিনন্দন বায়েজিদ লিংক রোড। গত কয়েক মাসে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে অন্তত আটজনের। ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটিতে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। দুই পাহাড়ের মাঝখানে বয়ে চলা সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করেছে নগরকে। তবে দৃষ্টিনন্দন এই সংযোগ সড়কটি যেন এখন এক আতঙ্কের নাম। রোডটি চালুর পর থেকেই প্রতিনিয়তই ছোট-বড় দুর্ঘটনার জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছে সড়কটি।
গত শনিবার ২৩ জুলাই বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে কলেজে যাবার সময় দ্রুতগতির কাভার্ডভ্যানের চাপায় প্রাণ যায় এক শিক্ষার্থীর। সন্তান হারিয়ে বাবার আহাজারিতে কাঁদিয়েছে বহু মানুষকে। ঠিক তেমনি গত ২৭ এপ্রিল দ্রুতগতির বাস এক পথচারিকে চাপা দেয়ার ঘটনাও নাড়া দিয়েছিলো সবাইকে। এর আগে এক অটোরিকশাকে চাপা দিলে প্রাণ হারান এক প্রতিবন্ধী সহ দুইজন।
একের পর এক দুর্ঘটনার পেছনে মিলেছে বেশ কিছু কারণ। যার অন্যতম দুপাশে পাহাড় থেকে মাটি পড়ছে সড়কে, বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে যা তৈরী করছে ঝুঁকি। এছাড়াও ফুটপাত চলার উপযোগী না হওয়ায় পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে হাঁটছে মূল সড়কে। পাশাপাশি গতিনিয়ন্ত্রক না থাকায় গাড়ি দ্রুতগতিতে চলতে গিয়েও ঘটছে দুর্ঘটনা। তাছাড়া ছিনতাইকারীরা ওতপেতে থাকে সর্বদা। সুযোগ পেলেই হাতিয়ে নিচ্ছে ঘুরতে আসা লোকজনকে। ছুরিকাঘাত করে সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বেশকটি।
স্থানী বাসিন্দারা জানান, এখানে পাহাড়ের মাটিগুলো ধসে রাস্তায় পড়ে থাকে। আর ফুটপাতে অনেক জায়গা থাকলেও ময়লা আবর্জনা ও গাছে ঢেকে গেছে।সড়কে গাড়িগুলো অনেক দ্রুত চলাচল করে। ড্রাইভাররা যখন গাড়িগুলো চালায় মনে হয় তাদের ব্রেক নেই। আর এটা দেখতে হাইওয়ে রোডের মতো কিন্তু কোনো গতিনিরোধক নেই।
সীতাকুণ্ড ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তৌহিদুল করিম বলেন, এই সড়কটিতে নেই আলোর ব্যবস্থা এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। দেখা যায় এখানে ওই ধরনের ইলিগেটর নেই। আর রাতের বেলায় বিশেষ করে যদি লাইটিংয়ের ব্যবস্থাগুলো হয় তাহলে মনে এ রাস্তায় অনেকটা ঝুঁকি কমে আসবে।
নগরবিদরা মনে করেন, ফুটপাতটা রেলিং যুক্ত হওয়া উচিত। যাতে হুট করেই রাস্তায় চলে আসতে না পারে। গতিসীমা নিয়ন্ত্রণের দরকার। পাহাড় থেকে কোনও মাটি যাতে রাস্তায় না আসতে পারে সে ব্যবস্থাটা করতে হবে।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি পেলে সড়কটির ব্যবস্থাপনা পুনর্নির্মাণ করার কথা বলছে সিডিএ।
সিডিএ উপপ্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আবু ঈসা আনছারী বলেন, যে কোনও হাইওয়েতে সার্ভিস লেনটা আসলে জরুরি। হয়তো আমাদের ফিউচার প্ল্যানে থাকবে। এখানে পাহাড় কাটার বিষয়ে আইনগত একটি বিষয় রয়েছে। এটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে অনুমতি সাপেক্ষে আমরা দ্রুততম সময়ে পাহাড় রিটেইন করতে পারবো।
স্টাফ রিপোর্টার : : নতুন করে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না। সলিমপুরে পাহাড় ব্যবস্থাপনার জন্য, কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খ...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি সিএনজি অটোরিকশা, মিনিবাস ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। ব...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ১...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ৩৮৮তম শাখার উদ্বোধন করা হয়ে...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার ৪০তম বার্ষিক সভা ও নির্বাচিত বেসরকারী মাদ্রা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited