শিরোনাম
ইসলাম ডেস্ক : | ০৮:৫৮ পিএম, ২০২২-০১-২৪
আইয়ামে বিজের রোজা রাখা সুন্নত। সাহাবি আবদুল মালেক বিন কুদামা বিন মালহান (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আইয়ামে বিজ তথা চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন।
-সুনানে আবু দাউদ
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সফর ও মুকিম অবস্থায় কখনও আইয়ামে বিজের রোজা ভঙ্গ করতেন না। -সুনানে নাসাঈ
বর্ণিত হাদিস থেকে প্রমাণ হয়, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তার প্রিয় সাথীদের আইয়ামে বিজের রোজা রাখার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দিতেন; কিন্তু এই নির্দেশ আবশ্যকতার ভঙ্গিতে ছিল না বরং তা ছিল নফল তথা অতিরিক্ত আমল হিসেবে।
নবী করিম (সা.) সাহাবিদের এই রোজা রাখতে বলতেন, কিন্তু তাদের সবাই এ নির্দেশ পালন করতেন না; যা থেকে প্রমাণ হয়- তার
এ নির্দেশ নফল হিসেবে ছিল ওয়াজিব হিসেবে নয়।
আইয়ামে বিজ আরবি দু’টি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। আইয়াম অর্থ দিবসসমূহ। আর বিজ অর্থ শুভ্র, সাদা, শ্বেত, খাঁটি, নির্ভেজাল...। চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে আইয়ামে বিজ বলা হয়।
আইয়ামে বিজ তথা চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ চাঁদ পূর্ণতা পায়। এ জন্য এ সময়ে মাটি ও মানুষের ওপর এর প্রভাবও পড়ে সর্বোচ্চ। ফলে ভূপৃষ্ঠ ও মানুষের অভ্যন্তরে এ আকর্ষণের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। ভূভাগে এ আকর্ষণ প্রকাশিত হয় সাগর-নদীতে জোয়ার-ভাটার মাধ্যমে আর মানুষের মধ্যে এটির প্রকাশ ঘটে চঞ্চলতা, আবেগ-উদ্বেগ, গোঁড়ামি, দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা, মানবিক ও স্নায়ুবিক উত্তেজনা ইত্যাদি বৃদ্ধির মাধ্যমে, যার সর্বশেষ ফলাফল দাঁড়ায় অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধির মাধ্যমে।
ইবনে সীনা (৯৮০-১৩৭ খ্রি.) তার ‘আল-কানুন ফীত্-তীব’ গ্রন্থে বলেন, ‘মাসের প্রথম ভাগে শিঙ্গা লাগাতে নিষেধ করা হয়েছে, কারণ এ সময়ে মিক্সার ঠিকমতো প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। একইভাবে মাসের শেষ ভাগেও শিঙ্গা ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে। কারণ এ সময়ে এর কার্যকরণ ক্ষমতা হ্রাস পায়; বরং মাসের মধ্যার্ধে এর ব্যবহারের নির্দেশ এসেছে, যাতে চাঁদের আলো ও আকর্ষণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মিক্সারের কার্যকরণ ক্ষমতার পূর্ণতা পায়। ’
আইয়ামে বিজের সময়কালে ভূপৃষ্ঠের ওপর এই প্রভাবের প্রমাণ পাওয়া যায় এ দিনগুলোতে নদী-সাগর পাড়ে গেলে। কেননা এ সময়ে জোয়ার ও ভাটা সর্বোচ্চ সীমায় অবস্থান করে এবং পানির তীব্রতা বেড়ে যায়। দেখা যায় অন্য সময়ে জোয়ারে যত পানি থাকে এ সময়ে ভাটাতে সমপরিমাণ পানি থাকে।
একইভাবে মানুষের ওপর চাঁদের এ প্রভাবের প্রমাণ পাওয়া যায় ওই দিনগুলোতে আদালত, পুলিশ থানা বা বিচারালয়ে গেলে। দেখা যায়, বড় বড় অপরাধ, হত্যা, চুরি, বিচ্ছেদ, ধর্ষণ ইত্যাদি এ সময়কালে বৃদ্ধি পায়।
‘রোজা ঢালস্বরূপ’ হওয়ায় প্রবৃত্তির যাবতীয় খামখেয়ালিপনা থেকে নিজেকে বিরত রাখা সম্ভব হয়।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আইয়ামে বিজের রোজার অসিয়তের মধ্যে তাই নিহিত রয়েছে এক চিরন্তন মুজেজা। চাঁদের পূর্ণতা ও মানবীয় অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধির এ দিনগুলোতে রোজা মানবিক উৎকর্ষতা সাধন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের এক বিজ্ঞানময় পদ্ধতির বহিঃপ্রকাশ- যা একজন উম্মি নবীর গৃহীত বাস্তবমুখী এক কর্মসূচি।
অতএব মানুষের আত্মিক, মানবিক, পারিবারিক, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক জীবনের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণের ক্ষেত্রে আইয়ামে বিজের রোজা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আমাদের ডেস্ক : : লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় কা’বা তওয়াফের মাধ্যমে হজ কার্যক্রম শুরু করে...বিস্তারিত
ইসলাম ডেস্ক : : মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে সমাজকল্যাণমূলক কাজকে ইবাদত ও সওয়াবের কাজ হিসেবে আখ্যায়ি...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : চলতি বছরের হজযাত্রীদের বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা (আরটিপিসিআর টেস্ট) করা হবে। গত (১৮ মে) বুধবার ধর্...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল)। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে শবে কদরের রজনী। যথাযোগ্য...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭৫ সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা হারে ১৪৪৩ হিজরি সনের সাদকাতুল ফিতরের হার নির্ধারণ ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : রোজা রাখা অবস্থায় প্রচণ্ড ক্ষুধা অথবা পিপাসায় কাতর হয়ে প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কা হলে এবং বেহুঁশ হয়ে যাও...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited