শিরোনাম
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : | ০৮:৪০ পিএম, ২০২০-১১-০৪
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় যক্ষা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জেলা কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার(৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি(নাটাব) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব সম্মেলন কক্ষে “যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি(নাটাব) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জীতেন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডা: নুপুর কান্তি দাশ। উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সহকারী সিভিল সার্জন ডা: মিটন চাকমা।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন খাগড়াছড়ি জেলা হতে প্রকাশিত দৈনিক অরণ্যবার্তার সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান রানা, প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক আবু তাহের মোহাম্মদ, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আজম, সাপ্তাহিক আলোকিত পাহাড় পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ সাজুসহ কর্মরত ইলেক্ট্রনিক্স, প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদ কর্মীরা অংশ নেন।
সভায় প্রধান আলোচক খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন বলেন, যক্ষ্মা ছোঁয়াচে হলেও সচেতনতার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে সাংবাদিক সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
আলোচনায় যক্ষারোগ বিষয়ে আলোকপাত করেন, সাধারণত বদ্ধ, স্যাঁতস্যাঁতে, ঘনবসতিপূর্ণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝেই যক্ষা বা টিবি রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। যক্ষা বা টিবির জীবাণুর সংক্রামণ বৈশিষ্ট্যের কারণেই এমনটি হয়। এ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতার মাত্রা কম থাকায় এ রোগের বিভিন্ন লক্ষণ বা উপসর্গ ধাপকে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর সিংহভাগেরই তেমন ভালো কোনো ধারণা নেই।
মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবার কিউলোসিস নামের এক ধরনের জীবাণু থেকে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত রোগীর কফ থেকে এ রোগের জীবাণু একজনের দেহ থেকে অন্যজনের শরীরে প্রবেশ করে। এ রোগের কোন নির্দিষ্ট সুপ্ত কাল নেই। যেসব রোগী ৩ সপ্তাহের বেশি জ্বরে ভোগে তাদের ৩৩ শতাংশ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভাবনা থাকে। যাদের কাছ থেকে যক্ষ্মা রোগ ছড়াতে পারে তাদের বলা হয় ‘ওপেন কেস’। এদের কফ থেকে সব সময় জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। তাই এদের সাথে চলাফেরা করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। রোগীর হাঁচি কাশির সাথে সাধারণত রোগ জীবাণু বাইরে আসে। রোগীর অন্য কোনো জিনিস যেমন থালা বাটি গ্লাস পরিধেয় বস্ত্রাদির মধ্যে দিয়ে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বুকের এক্স-রে রক্তের ইএসআর, কফ পরীক্ষা এবং টিউবার কিউলিন বা মনটেংটেস্ট করে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়। বিসিজি ভ্যাকসিন ৮০শতাংশ ক্ষেত্রে যক্ষ্মা প্রতিরোধ করতে পারে। রোগের লক্ষণ ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে সংবাদকর্মীরা সমাজে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পারে। যদি সাধারন মানুষের মাঝে যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে সাংবাদিক সমাজের নেতৃবৃন্দরা কথা বললে মানুষ তা সহজেই গ্রহণ করতে পারে এবং বিশ্বাস করে। এভাবে সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে দিয়ে যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
পরে করোনা সচেতনা বাড়াতে নাটাবের উদ্যোগে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সচেতনতার পাশাপাশি নিয়ম মেনে চিকিৎসা নিলে এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই ভয় না পেয়ে সরকারিভাবে সেবা নিয়ে সুস্থ থাকার আহবান জানান তারা।
গুইমারা প্রতিনিধি :: : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
রামু প্রতিনিধি : : বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননী...বিস্তারিত
রাউজান প্রতিনিধি : : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মিরসরাই উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) রা...বিস্তারিত
পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধব...বিস্তারিত
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। অবস্থা এমন যে একটি গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর। আর এসব জ্বর ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited