শিরোনাম
চৌধুরী মনি :: | ০৮:৫৮ পিএম, ২০২২-০৭-৩১
সংবাদপত্রের ইতিহাস এই অঞ্চলে অনেক দিনের পুরোনো হলেও সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা এখনো দাসত্বমুক্ত হতে পারেনি। সাংবাদিকতা অনেকটা কর্পোরেট হাউসের দাসত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশে। কর্পোরেট হাউসের কাছে বন্দি সাংবাদিকতায় চলেছে সংবাদপত্র। রাষ্ট্র ও রাজনীতিমুক্ত হতে পারছেনা সংবাদপত্র। বিশে^ আধুনিক সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ করছে পেশাদার সম্পাদকরা। আর বাংলাদেশের সংবাদপত্রের সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন কথিত কর্পোরেট হাউসের মালিকরা। বিগত দুই যুগের অধিক সময় ধরে এই রীতিতে চলা বাংলাদেশের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার পুরোটায় চলছে দাসত্বনীতি নিয়ে। কর্পোরেট হাউস থেকে মোটা অংকের বেতনে সাংবাদিকরা তাদের বিবেক ও চিন্তা বিক্রি করে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে তথ্য সন্ত্রাসের সাংবাদিকতার গতিকে বেগবান করছে। কর্পোরেট হাউস সাংবাদিকতা দেশের সকল রাজনীতির সমন্বয়ে গড়া মাফিয়াদের দেদারসে দালালি করছে। ফলে মাফিয়া সিন্ডিকেট এই দেশকে তাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। মাইফয়াদের কব্জায় চলে গেছে সুবিধাবাদী বিভিন্ন প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তারাও। এতে দেশের অর্থনীতিতে প্রায়ই ভারসাম্যহীন অবস্থা বিরাজ করছে। মাফিয়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের চট্টগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকরা বরাবরের মতোই নিয়মিত প্রতিবাদ করে আসেছে। মাফিয়া আর দাসত্বে চলা সাংবাদিকতা থেকে দেশের সংবাদপত্রকে বেরিয়ে আনতে হবে। চলমান সাংবাদিকতায় অবহেলিত জনগোষ্ঠি সাংবাদিকতার সুফল থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সাংবাদিকতা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে।
এ ধরনের নড়েবড়ে অবস্থানের সাংবাদিকতাকে সুদৃঢ় করতে পেশাদার সাংবাদিকতার মুর্তপ্রতিক মিজানুর রহমান চৌধুরী আমাদের চট্টগ্রাম নামে একটি দৈনিকের যাত্রা শুরু করেন দীর্ঘ এগারো বছর আগে। আজ আমাদের চট্টগ্রামের ১১ তম বর্ষপুর্তি। টানা এগারো বছর দাসত্বের সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে একটি একঝাঁক তরুণ এবং নির্লোভ সাংবাদিকদের নিয়ে এই যাত্রাকে অব্যাহত রেখেছে দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম। বাংলাদেশের বানিজ্যিক রাজধানী খ্যাত প্রাচ্যের রানী বন্দরনগরী চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের মাইলফলক। চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের প্রধান হাতিয়ার। চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করছে। এই বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হলেও সবসময় চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রতিটি সরকার উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে চট্টগ্রামের উন্নয়ন না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরও তার সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারেনি বিশে^র বাজারে। আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রথমে চট্টগ্রামও চট্টগ্রাম বন্দরকে আধুনিক করতে হবে। রাজনীতি নামের বেঈমানের কারণে যতই দিন যাচ্ছে, ততই চট্টগ্রাম পিছিয়ে পড়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে মনযোগী হওয়ায় কর্ণফুলী টানেলসহ চট্টগ্রামের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে। এই উন্নয়ন কার্যক্রম যথাসময়ে শেষ করা গেলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে। বাড়বে বিশ^বাজারের সাথে বানিজ্য।
দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম প্রকাশ হওয়ার পর থেকে এই দৈনিকটি চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিক ভাবে মতামত ও রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে। চট্টগ্রামেরে উন্নয়নের জন্য আমাদের চট্টগ্রাম সব সময় সজাগ থাকলেও কর্পোরেট তথা বড় সারির দাবিদার পত্রিকার মালিকদের প্রভাবে আমাদের চট্টগ্রাম তার সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে নানা ধরনের বিজ্ঞাপন পত্রিকায় প্রকাশের সুযোগ। দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম পত্রিকাটি পেশাদারিত্বের একটি পত্রিকা হওয়া সত্বেও আশানুরুপ বিজ্ঞাপন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বিজ্ঞাপন হচ্ছে পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের বেতন ভাতা প্রদানের অন্যতম হাতিয়ার। বড় সারির পত্রিকার মালিকদের সাথে বিজ্ঞাপন পাওয়ার প্রতিযোগিতায় দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম এখনো অনেক পিছিয়ে। তাই মাস শেষ সাংবাদিকদের বেতন ভাতা প্রদানে সম্পাদককে পোহাতে হয় ভোগান্তি। পত্রিকার ১১তম বর্ষপূর্তিতে এসে বিজ্ঞাপন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে বিজ্ঞাপন তালিকায় দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামকে বিশেষ বিবেচনায় রাখার। বিজ্ঞাপন প্রদান করে আমাদের চট্টগ্রামকে আপনার পাশে রাখলে আগামীতে দেশের উন্নয়ন, অবহেলিত জনগোষ্ঠিার স্বার্থ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌম রক্ষায় আমাদের সাংবাদিকতা হবে আরো কঠিন ও বস্তুনিষ্ঠ।
সাম্প্রদায়িকতা আর ধর্মীয় রাজনীতিকে পুঁজি করে বাংলাদেশে একটি চক্র কর্পোরেট হাউসে থাকা সাংবাদিকাকে অবাধে ব্যবহার করে দেশের রাজনীতিকে ঘোলাটে করে নিজেদের পকেট ভারী করছে। এর বিরুদ্ধে বিগত বছর গুলোতে রাষ্ট্রের সরকার তেমন কোন উদ্যোগী না হওয়ায় এদের শিঁকড় অনেকদূর পৌঁছেছে। এসব সাম্প্রদায়িক সাংবাদিকতার বিরুদ্ধেও আমাদের চট্টগ্রাম সবসময় সজাগ দৃষ্টি রেখে রিপোর্টিংসহ সকল প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য রোহিঙ্গা সমস্যা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের অনেকদূর এগিয়ে যেতে হবে। রোহিঙ্গাদের তাদের ভূমিতে ফেরৎ পাঠানোর জন্য সংবাদপত্র সাংবাদিকদের অভিন্ন নীতি আদর্শে থেকে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করতে হবে। এই নীতিতে দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম সরকারের সাথে থাকার দৃঢ়তা প্রকাশ করছি আমাদের ১১তম বর্ষপুর্তিতে।
আমাদের ডেস্ক : : দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদক প্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার ...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : পটিয়া উপজেলাধীন কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নয়াহাটে এবি ব্যাংক লিমিটেড এর এজেন্ট আউটলেটে গ্রাহক মত বিনিময় ...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড মুদারাবা শিক্ষা সঞ্চয় প্রকল্প(আমানত), প্রবাসী গৃহায়ন সঞ্চয় প্রকল্...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : চাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি, মসুর ডাল, ডিম, সিমেন্ট, রড এই নয়টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেবামূলক সংগঠন আঞ্জুমনে খুদ্দামুল মুসলেমিন বাংলাদেশ (একেএমবি) ওমান শাখার প্রতিনিধি সম্মেলন ২০২২ ...বিস্তারিত
আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: : আলীকদম সেনানিবাসে উজ্জীবিত একত্রিত বীর এর আয়োজনে ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited