শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৭:১৯ পিএম, ২০২১-০২-০৮
চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ডিবি পরিচয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয় সদস্য।
আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বৈরাগ এলাকায় আব্দুল মান্নান নামের এক ব্যক্তির করা মামলায় তাদের রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সিএমপির সহযোগিতায় দামপাড়া পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেপ্তার করে আনোয়ারা থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৭০, ৩৬৫, ৩৪ ধারায় অভিযোগ এনে আনোয়ারা থানায় মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের বডিগার্ড মোরশেদ বিল্লাহ, নগর পুলিশের উপ কমিশনার গোয়েন্দা (পশ্চিম ও বন্দর) মনজুর মোরশেদের বডিগার্ড মো. মাসুদ, দামপাড়া রিজার্ভ ফোর্স অফিসে কর্মরত শাকিল খান ও এস্কান্দর হোসেন, সিএমপির সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মনিরুল ইসলাম ও ডিবিতে (উত্তর) কর্মরত আবদুল নবী। তারা সকলেই কনস্টেবল পদে কর্মরত।
তাদের মধ্যে মোর্শেদ বিল্লাহ সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের বডিগার্ড হিসেবে কর্মরত আছেন বলে স্বীকার করেছেন পুলিশ কমিশনারও।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘আনোয়ারায় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন পুলিশ পরিচয়ে তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকজন চাঁদা নিয়েছিল। তিনি আনোয়ারা থানায় এরকম একটি অভিযোগ করলে আনোয়ারা থানা পুলিশের তদন্তে পুলিশ লাইন্সের ৬ সদস্যের নাম উঠে আসে। বিষয়টি আমরাও তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাই। পরে আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করি।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘আনোয়ারা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক, আকাম করে পার পাবে না।
আনোয়ারা থানায় করা আব্দুল মান্নানের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ২ টার দিকে চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে ৮ জন ব্যক্তি বাড়িতে গিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নেয়। এরপর পটিয়ার ভেল্লাপাড়া সেতুর পূর্ব পাশে কৈয়গ্রাম রাস্তার মাথার একটি দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অভিযুক্তকে আব্দুল মান্নানকে জানান, তার নামে ডিবিতে অভিযোগ আছে। অভিযোগ থেকে নাম কাটাতে হলে ১০ লাখ টাকা লাগবে। এ সময় আত্মীয়-স্বজনকে ফোন দিয়ে টাকা এনে দিতে বলা হয় মান্নানকে।
দর কষাকষির পর অবশেষে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা এনে দিলে ভোর ৫টার দিকে মান্নানকে ছেড়ে দিয়ে পটিয়ার দিকে চলে যায় অভিযুক্তরা। উক্ত আটজনের মধ্যে একজনের জ্যাকেটে ডিবি লেখা ছিল।
হাটহাজারী প্রতিনিধি : : পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে হাটহাজারীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্যায় অত্যাচার জুলুমের বিরদ্ধে আজ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আসুন লাভ বাংলাদেশের পতাকাতলে সেই প্রত...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় জাপানের দেওয়া ৪০ লাখ ৮০০ ডোজ অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা দেশ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মীরসরাইয়ের করেরহাটে চট্টগ্রাম উত্তর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরীর নির্দেশনায় জ...বিস্তারিত
ঢাকা অফিস : : নির্বাচনে সংঘাত বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন ন...বিস্তারিত
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : : দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন নির্বাচনে আজ রাঙামাটির ৩টি উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। সকাল ৮...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited