চট্টগ্রাম   শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪  

শিরোনাম

কোন পথে আগামীর কিশোর'রা ?

উখিয়া প্রতিনিধি ::    |    ০৩:৫৬ পিএম, ২০২০-০৯-১২

কোন পথে আগামীর কিশোর'রা ?

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারনে বেশ কিছু ঘটনার শিরোনামে ' কিশোর ' শব্দটি শুনা বা দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত – প্রশ্ন জাগছে, কিশোর তরুণরা কেন বিপথগামী হচ্ছে ? তাদের সামনে সম্মানিত, মার্জিত, ব্যক্তিত্ববান আদর্শ কারা ? 
কাদেরকে অনুসরণ বা অনুকরণ করে একটি প্রজন্ম গড়ে উঠছে। আবার একথাও ঠিক, প্রজন্ম বলতে পুরো একটি প্রজন্মের সবাই নয়। এর মধ্যে ভালো উদাহরণেরও অনেক নজির বিরাজমান আছে।
কিন্তু যে তরুণরা ক্রমে ক্রমে ভয়ংকর হয়ে উঠছে, তারা কারা? আগে পাড়ার মোড়ে মোড়ে যাদের অপরাধ সীমাবদ্ধ থাকতো তারা কেন ছিনতাই, সন্ত্রাস, জমি দখল, হুমকি, ধমকি, চুরি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসার মতো অপকর্মে জড়াচ্ছে? তাদের পথ প্রদর্শক কারা? 
আমরা জানি, ব্যক্তিত্বের উন্মেষ শৈশবে হলেও কিশোর বয়সেই ঘটে জাগরণ। যাকে বলা হয় বয়ঃসন্ধিকাল। এ সময় কিশোরের শরীরে-মনে যে আলোড়ন উঠে সেই সময় তারা চায় সবকিছু ছাপিয়ে যেতে। তারা ভাবে গণ্ডিছাপানো কোনও কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে।
সুকান্তের কবিতায় বলা হয়েছে, ‘আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ, স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি/আঠারো বছর বয়সেই অহরহ, বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।’ 
ছুটি গল্পে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন বলেছিলেন, ‘তেরো-চৌদ্দ বছরের ছেলের মতো পৃথিবীতে এমন বালাই আর নাই। তাহার মুখে আধো-আধো কথাও ন্যাকামি, পাকা কথাও জ্যাঠামি এবং কথামাত্রই প্রগলভতা।’ 
কিন্তু এসব ছাপিয়ে যাওয়ার উদাহরণ তো হতে পারতো বিপ্লবী ক্ষুদিরামের মতো কেউ।
যে কিনা দেশের স্বাধীনতার জন্য হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েছিল। আর সেই কিশোরকে স্মরণ করতে পারি, যার কথা পাকিস্তানি এক সামরিক কর্মকর্তা লিখেছিলেন তার বইয়ে। সেই কিশোরকে কোনও টোপই গলাতে পারেনি পাকিস্তানি হায়েনারা। বরং জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সে প্রাণ দিয়েছিল। কিন্তু পাড়ায় পাড়ায় গ্যাং কালচারে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া এখনকার কিশোররা হিরো বা নায়ককে আদর্শ না মেনে মানছে ভিলেন বা খলনায়ক'কে। তারা কিশোর গ্যাংস্টার হতে গিয়ে সিনেমার খলনায়কের মতো বাহাদুরি দেখাতে যায়, আর ক্রমেই জড়িয়ে পড়ে একের পর এক অপরাধে। এদের মধ্যে তখন মারামারি করা বা জখম, আঘাত করা অপরাধ না হয়ে মনে হয় হিরোইজম। এসব করতে গিয়ে তারা একের পর এক রাষ্ট্রের নিয়ম ভাঙাতে আনন্দ লাভ করে।
বছর তিনেক আগে উত্তরায় ডিসকো বয়েজ ও নাইন স্টার গ্রুপের অন্তর্দ্বন্দ্বে খুন হয় ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান কবির। আদনান হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়েই প্রথম আলোচনায় আসে কিশোর গ্যাং।
এরপর একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে ‘গ্যাং কালচার’ এবং তাদের সংঘবদ্ধ অপরাধের ভয়ংকর সব চিত্র। এই চিত্র শুধু ঢাকা, চট্রগ্রাম শহরে নয়, প্রায় সমস্ত জেলা, উপজেলা, পৌরসভায় গ্যাং কালচার যেন প্যাশনে পরিণত হয়।
পুলিশের ক্রাইম অ্যানালাইসিস বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, পৌর সদরের কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে নিজ এলাকা, পাড়া বা মহল্লা ভিত্তিক নানারকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। এই সময়গুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শত শত কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। অনেক কিশোর গ্যাং ভেঙে দিয়েছে, এরপরও থামানো যাচ্ছে না অপরাধ। আগে যেখানে ভয়ংকর অপরাধী নিয়ে ব্যতিবস্ত থাকতে হতো, এখন এরাই সমাজের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
সম্প্রতি টিকটক খ্যাত অপুর কথাই যদি বলি, বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, নোয়াখালী থেকে ঢাকা আসা অপু ভাই নামক এই কথিত টিকটক সেলিব্রেটির আশ্রয়দাতা ছিল ঢাকার কিশোর গ্যাং-এর  কয়েকজন নেতা।
অপু একসময় সেলুনে কাজ করতো, পরে লাইকি এবং টিকটক ভিডিওর প্রতি আসক্ত হয় এবং ঢাকা এসে প্রকৃত নাম- ইয়াছিন আরাফাত থেকে ‘অপু ভাই’ নামে পরিচিতি লাভ করে। 
ছোট বেলাতেই তার বাবা-মা আলাদা হয়ে যায়, ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তান, দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে লেখাপড়ার ইতি টানে। অথচ তার ফলোয়ার কয়েক মিলিয়ন। তো যে কিশোররা অপুর মতো ছেলেকে ফলো করে তাদের কাছে সমাজ আগামীতে কীইবা আশা করবে ! 
আমেরিকান বিখ্যাত সাইকোলজিস্ট ডারা গ্রিনউড ও তার সহযোগীরা ২০১৩ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় উল্লেখ করেন, 
মানুষ মূলত তিনটি কারণে বিখ্যাত হতে চায়,
অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, বাস্তব জীবনে অতিরিক্ত কিছু সুযোগ-সুবিধা আদায়ের জন্য এবং বৃহত্তর কল্যাণে নিজের খ্যাতিকে কাজে লাগানোর জন্য। গবেষণায় বেরিয়ে আসে তৃতীয় উদ্দেশ্যে খ্যাতি লাভ করতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা খুবই কম।
কিশোরদের গ্যাং কালচার এবং কিশোর অপরাধ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই সমস্যা নিরসনে দরকার সর্বসম্মতিক্রমে সামাজিক আন্দোলন। উপদেশ,  আইন, নীতিবাক্য, শাস্তি দিয়ে বা শাস্তির ভয় দেখিয়ে এদের দমানো যাবে বলে আপতদৃষ্টিতে মনে হয় না। এতে আরও বিপথগামিতা বাড়বে। বিচার কখনও মুক্তির পথ দেখাতে পারে না, বিশেষ করে কিশোরদের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে সমাজ ও পরিবারকে। অনেক সময় দেখা যায়, সন্তান কী করছে, কার সঙ্গে মিশছে পরিবার জানেই না। সবাই যার যার কাজ অফিস নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু পরিবারই মানুষের আদি সংগঠন সহমর্মিতা, আদব, কায়দা, রুচি, ভদ্রতা, সম্মান, শ্রদ্বা, ধৈর্য, সততা, সামাজিকতা, পরিবার থেকেই মানুষ সচারআচর শিখে এবং তা সমাজ জীবনের মূলভিত্তি। 
পরিবারের চেষ্টা করতে হবে কিশোরদের সমাজের ইতিবাচক কাজে সম্পৃক্ত রাখতে। স্কুলে তাদের আনন্দময় সৃজনশীল চর্চার অবকাশ দিতে হবে। সুস্থ বিনোদন, নির্মল আনন্দ ও সৃজনশীল দলীয় কাজে উৎসাহ দিতে হবে। পড়ার যে বিশাল জগৎ, জানার যে কোনও সীমা পরিসীমা নেই। আনন্দময় দরজাটা তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। পড়ার বিষয়টা যে কতটা আনন্দের, সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, এখন স্কুলে খেলার পর্যাপ্ত মাঠ নেই। তাহলে ছেলেমেয়েরা যাবে কোথায়? খেলার মাঠ নেই, পাঠাগার নেই, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নেই !  খোলা মাঠ, খোলা আকাশ, মুক্ত সুন্দর, নির্মল স্নিগ্ধ বাতাস, সমৃদ্ধ পাঠাগার, দৈনিক পত্রিকা পড়ার অভ্যাস, ভদ্রতা, আদব, বড় দের সম্মান, ছোট দের স্নেহ, বাবা মা শিক্ষকদের আদেশ পালন সহ শিক্ষনীয় পরিবেশ তৈরি করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা পূরন করা , এসব বিষয়েও রাষ্ট্রের ভাবনায় নেয়ার সময় এসেছে কারন আজকের শিশু কিশোরাই আগামীর ভবিষ্যৎ কর্ণধার। 
কিশোর গ্যাং কালচার প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছাও জরুরী। কারণ তারা তাদের সামনে দেখছে, বড় ভাইয়েরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ার থেকে কীভাবে অবৈধভাবে উপার্জন করছেন, কীভাবে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসে জড়াচ্ছেন। কীভাবে মেয়েদের নাজেহাল করছেন, কীভাবে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন!  এটাও কিশোরদের কাছে হিরোইজম দেখানোর জায়গা হয়ে পড়েছে। কথিত রাজনীতিবিদরা যেমন তাদের ব্যবহার করতে না পারে তেমনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজেও যেন হস্তক্ষেপ না করে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। 
কিশোর তরুণেরাই পরিবর্তন আনে, যুগে যুগে, কালে কালে। সেই আগুয়ান তরুণদের চেতনার ক্যানভাস রাঙিয়ে দিতে এমন মানুষের আদর্শের গল্প তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। যাতে তাদের মনে হয় দেশের জন্যও ভালো কিছু করার থাকতে পারে। এলাকার, পাড়ার মাস্তান বড় ভাই বা কথিত রাজনৈতিক পরিচয়ধারী চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যূ, মাদক ব্যবসায়ী যেন তাদের আদর্শ না হয়।
আদর্শ হতে পারে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাদার তেরেসা, নেলসন ম্যান্ডেলা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ কিংবা জ্যাক মা এর মতো কোনও ব্যক্তিত্ব।
এ প্রসঙ্গে প্রয়াত প্রকৌশলী ও শিক্ষাবিদ জামিলুর রেজা চৌধুরীর একটা লেখা থেকে বলতে পারি, ‘আমরা তো ছেলেবেলা থেকে পরিবার, সমাজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পছন্দের মানুষকে অনুসরণ করি। তিনি হতে পারেন বাবা, শিক্ষক বা দেশ-বিদেশের বিখ্যাত কেউ। তাই আমার মনে হয়, কোনও একক ব্যক্তি কারও অনুপ্রেরণা হতে পারেন না। একেকজন মানুষের একেক ধরনের ভালো গুণ আমাদের আকৃষ্ট করে। তরুণদের বলবো, কোনও একক ব্যক্তির জীবনের সবদিক অনুসরণ না করে কয়েকজন মানুষকে অনুসরণ করতে পারো। সবার ভালো গুণাবলির সমষ্টি নিজের পথচলায় কাজে লাগাতে পারো’। যেই কিশোর আদর্শ মেনে, রাষ্ট্রকে গঠনের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবে সে-ই হবে আগামী সমাজের নেতা।
শুধুমাত্র পাড়ায় মাস্তানি বা চাঁদাবাজি করে ততোটাই বড় হওয়া যায়, যা নিজ এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকে, যার শেষ ঠিকানা সংশোধনাগার বা জেল জীবন। আর দেশপ্রেমিক মেধাবী কিশোর তরুণদের দেখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বলতে ইচ্ছে করবে, ‘ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা/ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা’। বিপথগামী কিশোর তরুণদের সঠিক ও সৎ পথে বাঁচানোর দায়িত্ব কিন্তু পরিবার, সমাজ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সবার।

রিটেলেড নিউজ

পাঁচ দিনের ছুটির ফাঁদে দেশ

পাঁচ দিনের ছুটির ফাঁদে দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা পাঁচ দিনের ছুটির ফাঁদে আটকা পড়েছে দেশ। বুধবারের সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতি তৈর...বিস্তারিত


বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে দোকানে মোমবাতি সংকট

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে দোকানে মোমবাতি সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় গ্রিডে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়। দুপুর ২টা থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। এ প...বিস্তারিত


বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করেছে

বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাটের কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু কর...বিস্তারিত


২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে বিশ্ব: প্রধানমন্ত্রী

২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে বিশ্ব: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অফিস : : ২০২৩ সালে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ এবং অর্থনৈতিক মন্দা আরও ব্যাপকভাবে দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জান...বিস্তারিত


দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী

দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অফিস : : যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ ...বিস্তারিত


আওয়ামী লীগ স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়

আওয়ামী লীগ স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়

ঢাকা অফিস : : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্ষমতাসীন আ...বিস্তারিত



সর্বপঠিত খবর

নেশনস কাপের ফাইনালে মুখোমুখি সালাহ-মানে

নেশনস কাপের ফাইনালে মুখোমুখি সালাহ-মানে

স্পোর্টস ডেস্ক : : ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট লিভারপুলের জার্সিতে খেলেন দুজনেই। আক্রমণভাগে দুজনের রসায়নে অলরেড...বিস্তারিত


ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে পশ্চিমাদের আবারও রাশিয়ার হুশিয়ারি

ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে পশ্চিমাদের আবারও রাশিয়ার হুশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : রাশিয়ার মাটিতে আঘাত হানতে পারে— এমন সব অস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে হু...বিস্তারিত



সর্বশেষ খবর