ই-পেপার | শুক্রবার , ৩ মে, ২০২৪
×

‘শুদ্ধ যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে সুন্দর জীবন গঠন সম্ভব’ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তারা

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তারা বলেছেন, ‘সমাজবোধ ও সামাজিকতা- এই দুইয়ের সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের জন্য কল্যাণকর ও পথপ্রদর্শনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে বিতর্ক। যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে ইতিবাচক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে বিতর্ক ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশে সাক্ষরতা অর্জনে যে অন্তরায়গুলো আছে সে জায়গুলোতে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। বাল্য বিয়ে, সামাজিক উত্যক্তকরণ, কুসংস্কার ও আর্থিক সীমাবদ্ধতাকে এড়িয়ে আমাদের সাক্ষরতা অর্জনের যে লক্ষ্য তা পূরণ করতে হবে। শিক্ষিত জাতি গড়তে হলে প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন সাক্ষরজ্ঞান থাকা অতীব জরুরি। সর্বক্ষেত্রে সাক্ষরতা অর্জন করতে হলে পারস্পরিক সম্মানবোধ রাখতে হবে। দেশ ও জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হবে। ইতিবাচক যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে সমাজ ও দেশের কল্যাণে প্রস্তাবনা ও তা বাস্তবায়নের সূত্র হচ্ছে বিতর্ক। অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে পারাতেই বিতর্ক চর্চার সফলতা’।

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম নগরের উত্তর কাট্টলী এলাকার কাট্টলী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ এসব কথা বলেন। শিশু-কিশোর-কিশোরী ও যুবজনগোষ্ঠীর অধিকার বাস্তবায়ন ও স্থায়িত্বশীল জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ভোরের আলো আয়োজিত এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম কর্ণফুলী এরিয়া প্রোগ্রাম।

কাউন্সিলর মো. নুরুল আমিন বলেন, বিতর্ক মানুষকে পরিশুদ্ধ করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিতর্ক প্রতিযোগিতাতে পছন্দ করতেন। তিনি মনে করতেন- এই বিতার্কিকরা সমাজের অন্যতম দর্পন। তাদের যুক্তি-তর্ক সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে।অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা ও শেষে ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন ভোরের আলোর নির্বাহী প্রধান সায়মা ইসলাম খান জেরিন। ভোরের আলো পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ডা. শাহানা বেগমের সভাপতিত্বে এবং প্রতিষ্ঠাতা মো. শফিকুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নুরুল আমিন, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নাহিদ হাসিন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক গণযোগাযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) ও ভোরের আলো পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা সাইফুদ্দীন আহমদ সাকী, কাট্টলী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কর্ণফুলী এরিয়া প্রোগ্রাম অফিসার শারমীন আক্তার, ভোরের আলো’র পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ নুসরাত ইয়াসমীন, অপরাজেয় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম প্রধান মাহবুবুল আলম, সমন্বয়কারী জিনাত আলম, কলেজের শিক্ষক নাজমুল হাসান, মো. ওসমান গণি, দেবী চৌধুরী, মানস শ্যাম, লাভলী দে প্রমুখ।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ১২০ শিক্ষার্থীর সবাইকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। বিজয়ী এবং বিজিত দল- দুই দলে মোট ৮ জন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করে। এতে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় অর্পা চক্রবর্তী। দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ১৭১.৫০ নম্বর পেয়ে পক্ষ দল বিজয়ী হয়। ১৬৮.৫০ নম্বর পেয়ে রানারআপ হয় বিপক্ষ দল।