ই-পেপার | শনিবার , ৪ মে, ২০২৪
×

থানচিতে ২ ইউনিয়নের ভ্রমণে মানা, নৌ-পথে যোগাযোগ বন্ধ

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ

টানা ভারী বর্ষনে বৃষ্টিপাতের সাঙ্গু নদীর উজানে ভয়াল স্রোত পানি ও প্রচন্ড স্রোতের গতিবেগ বৃদ্ধির কারণে বান্দরবানে থানচিতে উপজেলা সদর হতে দুর্গম দুই ইউনিয়নের সড়ক ও নৌ-পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এবং ভারী বৃষ্টিতে সাঙ্গু নদীর পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় যোগাযোগের বিচ্ছিন্নতার তিন্দু ও রেমাক্রীর দুই ইউনিয়নের পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহী করেছে উপজেলা প্রশাসন।

রবিবার (৬ আগষ্ট) সকালে দুই ইউনিয়নের নৌ-যোগাযোগ বন্ধের ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার হলে তথ্যনিশ্চিত করে রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা (রনি) বলেন, বর্ষায় চলতি মৌসুমে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের সাঙ্গু নদী উজানে নদীর পানি বেড়ে যায়। পানি স্রোতের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় তিন্দু ও রেমাক্রী দুই ইউনিয়নের নৌ-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটে। বিচ্ছিন্নতার এলাকায় মানুষের নিরাপদ স্থানে সরানো’সহ জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষার্থে ব্যবস্থা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সুত্রে জানা যায়, টানা কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রেমাক্রী তিন্দু থেকে ধেয়ে আসছে পানি। তিন্দু বড় পাথর এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কায় নৌ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাহাড়ের বিভিন্ন ঝিরি-ঝর্না, খাল নদীতে প্রচুর পানির বৃদ্ধি ও মারাত্মক স্রোতের কারণে থানচি সদরে যাতায়াত করার সম্ভব হচ্ছে না। ডিমপাহাড় হয়ে তিন্দু যাওয়ার সড়কের পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপুর্ন হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ’সহ নৌ-পথে যাতায়াতের বন্ধ রয়েছে।

আরো জানা গেছে, ভারী বৃষ্টিপাতের পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় ও সাঙ্গু নদীতে ভয়াল স্রোতের গতিবেগ বৃদ্ধি কারণে থানচির পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। আবহাওয়া স্বাভাবিক এবং সাঙ্গু নদীর পানির প্রবাহ কমে না যাওয়া পর্যন্ত সব নৌপথের চলাচল ও পর্যটকদের জন্য এই সতর্কবার্তা চলমান থাকবে। পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপুর্ন এলাকাগুলোতে ৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে তিন্দু ইউনিয়নের নৌ-পথ ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিন্দু ইউপি চেয়রাম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলা সদর হতে থানচি আলিকদম সড়কের (ক্রাউডং) ডিমপাহাড় এলাকা হতে তিন্দু ইউনিয়নে যাওয়ার সড়ক যোগাযোগ ও সাঙ্গু নদীর নৌ-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাঃ আবুল মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে সাঙ্গু নদীতে ভয়াল স্রোতের গতিবেগ ও পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় নৌ-পথে স্থানীয় ও পর্যটকদের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সাময়িকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ার পর্যন্ত এই নিরুৎসাহিত চলমান থাকবে।

তিনি আরো বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপুর্ন এলাকাগুলোতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে ৬টি নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা আছে। ঝুঁকিপুর্ন স্থানে বসবাসকারী মানুষের নিরাপদ স্থানে সরানো কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রের অবস্থান করার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।