ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২ মে, ২০২৪
×

সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে, দাফন হবে পারিবারিক কবরস্থানে

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। পিরোজপুরে বাইপাস সড়কের পাশে সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে ছেলের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। সেজন্য ইতোমধ্যে কবর প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি মো. জহিরুল হক।

একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের তখনকার নায়েবে আমির সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে ২০১৪ সালে আপিল বিভাগ সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।কাশিমপুর কারাগারে বন্দি সাঈদী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। সোমবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

সাঈদীর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ‘হার্ট অ্যাটাকে’ তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. রেজাউর রহমান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, সাঈদীর স্বজনরা ভোরে হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে পিরোজপুরের পথে রওনা হন।“পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ গ্রহণের আবেদন করা হলে সর্বোচ্চ মহল থেকে তা অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত করার নিয়ম রয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যরা লিখিতভাবে আবেদন করায় তাদের মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

একাত্তরে ‘দেইল্লা রাজাকার’ হিসেবে পরিচিত সাঈদী পরে ইসলাম ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিতি কুড়ান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জামায়াতের মনোনয়নে পিরোজপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন।

ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে পারিবারিক কবরস্থানে কবর প্রস্তুত করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে তার মরদেহ পৌঁছালে আত্মীয় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিপুল সংখ্যক ভক্ত-সমর্থক সেখানে জড়ো হয়। এ সময় তাদের স্লোগান দিতেও দেখা যায়। জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি মো. জহিরুল হক বলেন, জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে পারিবারিক কবরস্থানে বড় ছেলের পাশে দাফন করা হবে তাদের প্রয়াত নেতাকে।