শিরোনাম :

চসিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা, ৮১ প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র


২৬ মে, ২০২৪ ৫:১২ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার : ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (২৭ মে) একদিন চসিক পরিচালিত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহার হবে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। রবিবার (২৬ মে) চসিক কার্যালয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে এক জরুরি প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, সোমবার চসিকের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চসিকের ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। মেয়র বলেন, শনিবার সকালেই ঝুকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করার নির্দেশ দিয়েছি। দামপাড়ার চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজ-নিজ ওয়ার্ডের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে তদারক করতে নির্দেশ দিয়েছি। “চসিকের সবগুলো বিভাগ দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সক্রিয় আছে। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টও সহযোগিতা করছে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সাথেও যোগাযোগ করব যাতে ঝড়ে গাছ পড়লে বা দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে কোন সংস্থার গাফিলতির জন্য মানুষ কষ্ট না পায়৷” পাহাড়ের পাদদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, উপকূলীয় এলাকা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে হবে৷ প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে৷ ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের প্রতি আহ্বান আপনারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। এসময় কাউন্সিলররা ঘূর্নিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ওয়ার্ড পর্যায়ের কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়রকে অবহিত করেন৷ সভায় প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডে বৃষ্টির পানি যাতে নালায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য ছোট ছোট টিম গঠন করে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলছে৷ চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন রানা বলেন, কন্ট্রোল রুমের সাথে সমন্বয় করে ৩ শিফটে ৩টি মেডিকেল টিম ২৪ ঘন্টা সক্রিয় থাকবে৷ এছাড়াও ৬টি উপকূলীয় ও পাহাড়সমৃদ্ধ এলাকার জন্য গঠন করা হয়েছে স্পেশাল টিম৷ বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল বারী জানান, দুর্যোগে নগরীর বিদ্যুতায়ন ও আলোকায়ন অব্যাহত রাখতে চসিকের গঠিত রেসকিউ টিম সক্রিয় আছে৷
সিটি রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারি আবদুল জব্বার জানান, শনিবার সকাল থেকেই চসিকের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্টের ভলান্টিয়াররা৷ এছাড়া সরকারের গাইডলাইন বাস্তবায়নে কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ চসিক সচিব আশরাফুল আমিনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালামসহ কাউন্সিলরবৃন্দ ও বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ৷

আরো সংবাদ