ই-পেপার | শনিবার , ২০ এপ্রিল, ২০২৪
×

এনবিআর কর্তৃক কালো আইন বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামে আয়কর আইনজীবীদের মানববন্ধন

দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার অপপ্রয়াসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড(এনবিআর) কর্তৃক এস.আর.ও নং-১৬৮ আইন/আয়কর/২০২৩ কালো আইন বাতিলের দাবিতে ‘চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতি’র উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। আজ বুধবার (৭ জুন) সকাল ১১:৩০ মিটিটে, চট্টগ্রাম কর কমিশনারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে ‘চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতি’র আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়।

সমিতির সভাপতি এডভোকেট নূর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফিরোজ ইফতেকারের নেতৃত্বে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, টিআরপি বিধিমালা হচ্ছে একটি কালো আইন। যা আয়কর অদ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ১৭৪ (২) (এফ) এর সাথে সাংঘর্ষিক। এই কালো আইন সরকারের রাজস্ব আহরণে কোনরূপ সহায়ক হবে না। বরং আয়কর আদায়ে বাধাগ্রস্থ হবে। তাছাড়া কর অঙ্গনে দূর্নীতি ও অবৈধ প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টি হবে, যা রাজস্ব আহরনে প্রতিবন্ধকতা হবে বলে মনে করছি।

বক্তারা আরো বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর রির্টান প্রস্তুতকারী বিধিমালা ২০২৩-এর যে খসড়া সংসদে পাস করবে বলে প্রস্তুত করেছে, তা এককথায় বিধিমালা de bes এস.আর.ও. ১৬৮ এবং সেকশন ১৭৪ এর মধ্যে সাংঘর্ষিক ও বাংলাদেশে বিদ্যমান ৫৯ বালানেরও বেশি আয়কর সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সাথে মতাদর্শিক বিরুদ্ধাচরণ।

কেননা, প্রস্তাবিত আইনে যা বলা হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে সম্মানিত করদাতাদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে বরং কমবে না। যদিও সরকার প্রাথমিকভাবে আশ্বাস দিচ্ছে এ আইন দুর্ভোগ কমানোর আইন। সত্যি বলতে কি, আমাদের পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এটি অযৌক্তিক আইন যা করদাতাদের জন্য সরকার প্রস্তুত করছে।

মাঠ পর্যায়ে কর আদায় বাড়াতে সরকার,বেসরকারি ব্যক্তি নিয়োগ করবে। নিয়োগকৃত সেই ব্যক্তিগণ, শুধুমাত্র করদাতাদের রিটার্ন প্রস্তুত ও জমার কাজে সহায়তা করতে পারবে। করদাতাদের নিকট থেকে কর আদায় করার ক্ষমতা ওই বেসরকারি ব্যক্তিগণের থাকবে না ও করদাতাদের আইনি প্রতিনিধিও হতে পারবে না।

এই বেসরকারি ব্যক্তিগণ কাজ করবেন এনবিআর এর নিয়োগকৃত এলাকাভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক প্রণয়নকৃত ‘মানুষ ভোগান্তি’ নামক এমন আইনের তীব্র প্রতিবাদ জানচ্ছি। এনবিআর প্রদত্ত আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী বিধিমালা ২০২৩-এর যে খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে তা বাতিলের আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি।

এদিকে মানববন্ধন শেষে চট্টগ্রাম আয়কর আইনজীবীরা চট্টগ্রাম সরকারী কার্যভবন-১ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সিজিও বিল্ডিং-২, পিএইচপি বিল্ডিং ও রহিম ম্যানশনে অবস্থিত কর অঞ্চল- ৪ এ গিয়ে প্রদক্ষিণ করে কর্মসূচীর সমাপ্ত ঘোষণাকরে।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন,চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতি’র প্রাক্তন সভাপতি আলহাজ্ব কাজী মহসীন চৌধুরী, আলহাজ্ব মোহাম্মদ আখতার উদ্দিন, আলহাজ্ব আবদুল ওয়াহাব,অ্যাডভোকেট জয়শান্ত বিকাশ বড়ুয়া, মোঃ মাহফুজুল হক (মনি), মোস্তফা কামাল মনসুর, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সালাহউদ্দিন চৌধুরী (শাহীন),অ্যাডভোকেট মোঃ আবদুল বারী, অ্যাডভোকেট মোঃ জাহাংগীর আলম, মোঃ আনিছুর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির সিনিয়র সদস্য মোঃ আবু তাহের, মোঃ নুরুল আনোয়ার, মোঃ শাহাদাত হোসেন, হাসান মিয়া, মোঃ সরওয়ার আলম ভূঁইয়া (শিমুল) প্রমুখ।