ই-পেপার | শনিবার , ২০ এপ্রিল, ২০২৪
×

‘সমস্যা সমাধানে অলোচনা সর্বউৎকৃষ্ট পন্থা’

যেকোন সমস্যা সমাধানে অলোচনাই সর্বউৎকৃষ্ট পন্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন বান্দরবান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ। রবিবার (২৮ মে) বান্দরবান সেনা রিজিয়নের আয়োজনে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় একথা বলেন।

তিনি বলেন, “দেশ ও জনগনের কল্যাণে কাজ করতে কোন পেশদারিত্বের প্র‍য়োজন হয় না। যার যার অবস্থান থেকে দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করলেই দেশপ্রেমিক ভাব প্রকাশিত হয়। সাংবাদিক ও দেশের সকল সরকারি কর্মচারি সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দেশ ও জনগনের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে”।

কুকি-চিন বা কেএনএফ নিয়ে চলমান অস্থিতিশীলতার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিন্দু মাত্র কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সুবিধা বঞ্চিত’র দোহায় দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া কোন সমাধানের পথ নয়।অস্ত্র শুধু রক্ত ঝরাতে পারে ও স্বজন হারা করতে পারে। একমাত্র আলোচনাই অনেক বড় বড় সমস্যা সমাধান করতে পারে”।

“পার্বত্য এলাকায় এরুপ ঘটনা আগেও দেখেছি। এতে সাধারণ জনগনের দূর্ভোগ বাড়ে পক্ষান্তরে ওই সংঘটনের উচ্চ স্থানীয় কিছু লিডারের সুবিধা প্রাপ্তি ঘটে। এরই মধ্যে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় কেএনএফের হামলায় বেশকজন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈনিক নিহত হয়েছেন। কয়েক জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ও রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে কোন ভাবেই তাদের ছাড় দেয়া সম্ভব নয়”।

“তবে স্থানীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের উদ্দ্যোগ নিলে উর্ধতন কতৃপক্ষের অনুমতির প্রেক্ষিতে বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়া কোন নাগরিকের দাবি মেনে নেওয়া সেনাবাহিনীর কাজ নয়।এটা সরকারের বিষয়।ন্যায্য দাবি হলে সরকার অবশ্যই মেনে নেন। তবে তা সময় স্বাপেক্ষ”।

এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি হওয়ার পর থেকে সরকার বিভিন্ন ভাবে চুক্তি বাস্থবায়নে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। চুক্তি বাস্থবায়নে যারা যথাযথ ভাবে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত তাদের জন্য স্থিতিশীল নিরাপত্তা প্রয়োজন। স্থিতিশীল নিরাপত্তা বাস্থবায়ন করতে না পারলে চুক্তি বাস্থবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই স্থিতিশীল নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা একান্ত প্রয়োজন। তবু্ও পার্বত্য জেলার প্রতি সরকারের আন্তরিকতা আছে বিধায় শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ব্যাবস্থাসহ সামগ্রিক ভাবে অভূত পূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

উক্ত আলোচনা সভায় সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের মেজর জিটুআই শায়েখ উজ-জামান, মেজর এএসএম মাহামুদুল হাসান পিএসসি,প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।