ই-পেপার | শনিবার , ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
×

আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৭৭ রানের বড় জয়

আইরিশদের উড়িয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজে ইতিহাস হয়েছে, রেকর্ড হয়েছে বেশ কয়েকটা। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজেও নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পাওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু কুর্তিস ক্যাম্ফার শেষদিকে ঝোড়ো এক ফিফটিতে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের। তবে ব্যবধানটাই যা কমিয়েছেন, বড় হার এড়াতে পারেনি আইরিশরা। ৭৭ রানের বড় জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিজেদের করে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টি ৮৪ রানের। ২০২১ সালের অক্টোবরে আল আমেরাতে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে এই ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা। আজকের জয়টি বড় হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে।

চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বৃষ্টির কারণে ওভার কমে আসে। ১৭ ওভারের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ছিল ২০৩ রানের। টাইগারদের বোলিং তোপে শুরু থেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে, লড়াইটাও করতে পারেনি।

রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। তাসকিন আহমেদ সাজঘরের পথ দেখান আইরিশ অধিনায়ক পল স্টারলিংকে। শরীরের বাইরের বলে চালাতে গিয়ে স্টারলিং (০) হন উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ।পরের ওভারে সাকিব আল হাসানেরও প্রথম বলে উইকেট। এবার স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন লরকান টাকার (৬)। ৭ রানে ২ উইকেট হারায় আইরিশরা।

মাঝে নাসুম আহমেদের ওভার থেকে ১৪ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু পরের ওভারে এসে সাকিব হানেন জোড়া আঘাত। ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন রস অ্যাডায়ারকে (৬), শেষ বলে লিটনকে ক্যাচ দেন গ্যারেথ ডেলানি (৬)।

নিজের পরের ওভারে এসে ফের জোড়া শিকার সাকিবের। ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ করেন জর্জ ডকরেলকে (২), ষষ্ঠ বলে সেট ব্যাটার হ্যারি টেক্টরকে করেন বোল্ড (১৬ বলে ২২)। এতে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ফাইফারও হয়ে যায় সাকিবের।

৮৬ রানে ৮ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। তবে এরপর কুর্তিস ক্যাম্ফার ঝোড়ো এক ফিফটি করে (২৯ বলে) পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমান। ৩০ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৫০ করা ক্যাম্ফারকে বোল্ড করেন তাসকিন। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২৫ রানে থামে আইরিশরা। সাকিব আল হাসান ২২ রানে নেন ৫টি উইকেট। ২৭ রানে ৩ উইকেট শিকার তাসকেনের।