ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২ মে, ২০২৪
×

প্রোটিয়া কিংবদন্তি মাইক প্রক্টর আর নেই

ক্রীড়া প্রতিনিধি :

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ফাস্ট বোলার, সাবেক কোচ ও আইসিসির ম্যাচ রেফারি মাইক প্রক্টর (৭৭) মারা গেছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ খবর জানানো হয়েছে। 

প্রক্টরের স্ত্রী মারিয়ানা দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েবসাট ‘নিউজটোয়েন্টিফোর’-কে জানিয়েছেন, সম্প্রতি অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল তার। এরপর থেকেই নানা রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। সেই জটিলতা আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।  

প্রক্টর প্রোটিয়াদের জার্সিতে ৭টি টেস্ট খেলেছেন। তবে বর্ণবাদ ইস্যুতে ১৯৭০ সালে আইসিসি দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিষিদ্ধ করলে সেখানেই থামে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে মাঠে গড়ানো ওই ৭ টেস্টের ৬টিতেই জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। প্রতিপক্ষ ছিল একমাত্র অস্ট্রেলিয়া। ৭ ম্যাচে ১৫.০২ গড়ে ৪১ উইকেট নিয়েছিলেন প্রক্টর।

দেশের জার্সিতে ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত না হলেও কাউন্টি ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ ছিলেন প্রক্টর। ১৪ মৌসুম খেলেছেন গ্লুচেস্টারশায়ারের হয়ে। এ সময়ে নিজেকে তিনি নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে ৪০১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৪১৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি; বোলিং গড় ১৯.৫৩। আর ৩৪৪টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে তার উইকেটসংখ্যা ৩৪৪টি।

গ্লুচেস্টারশায়ারের জার্সিতে জিলেট কাপ ও বেনসন অ্যান্ড হেজেস কাপ জেতার স্বাদ পেয়েছেন প্রক্টর। দ্বিতীয়টি জিতেছেন অধিনায়ক হিসেবে। কাউন্টি ক্রিকেটে বিশেষ অবদান রাখায় ২০২০ সালে সর্বকালের সেরা বিদেশি খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি।

পরে দক্ষিণ আফ্রিকা নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হলে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পান প্রক্টর। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত প্রোটিয়াদের দায়িত্ব সামলান তিনি। ১৯৯২ সালে তার অধীনে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। কোচিং ছাড়ার পর আইসিসির ম্যাচ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

প্রক্টরের সবচেয়ে বিখ্যাত সিদ্ধান্ত ছিল ২০০৬ সালে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যকার টেস্টে। সেবার বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল পাকিস্তান দলের বিরুদ্ধে। যে কারণে চা বিরতির পর মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানায় পাকিস্তানিরা। যে কারণে পরে ইংল্যান্ডজকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে ২০০৮ সালে সেই ম্যাচের ফলাফল ড্র ঘোষণা করে আইসিসি। কিন্তু ২০০৯ সালে ফের সিদ্ধান্ত বদলে ইংল্যান্ডকেই বিজ্যো ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া ২০০৮ সালে সাবেক ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিংকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করে হইচই ফেলে দেন প্রক্টর। ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়াত অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসকে উদ্দেশ্য করে হরভজন বর্ণবাদী মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে পরে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল।