ই-পেপার | শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
×

জামালখানে বইপ্রেমীদের বইয়ের বদলে বই

অগ্রহায়ণ প্রায় শেষ। শীতের আমেজ নগরীতে। স্কুলের সমাপনী পরীক্ষাও কোথাও শেষ আবার কোন কোন স্কুলে শেষের পথে। এমন সময়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ভিড় করছে নগরের জামালখান এলাকায় বই বিনিময় উৎসবে। বই বিনিময় করে নিচ্ছে একে অপরের সাথে। বিভিন্ন হাত ঘুরে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে ঘরের কোণে পড়ে থাকা সেই পুরোনো বইগুলো।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সমাগমে মেতে উঠেছে বন্দর নগর জামাল খান মোড় এলাকায়। ‘বই নয়, জ্ঞানের বিনিময়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজন করেছে শীতকালীন বই বিনিময় উৎসব ২০২২। এ নিয়ে একই বছরের দ্বিতীয়বার এই উৎসবটি আয়োজন করেছে স্টোরি টেলিং প্লাটফর্ম ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজ।

এই উৎসবে ঘুরতে আসা বছর ১২ এর নৈপুর্ণা বলে, ‘পরীক্ষা শেষ, বই বিনিময় উৎসব হচ্ছে জেনে পুরণো বইগুলো নিয়ে এসেছি, যেগুলো আমি পড়ে ফেলেছি, সেগুলোর বিনিময়ে অন্য বই নিয়ে যাবে। এটা ভালো একটি উদ্যোগ।’

অন্যদিকে, ৫ বছরের মেয়েকে নিয়ে উৎসবে আসা মো. ইব্রাহিম বলেন, এই উৎসব জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সর্ব সাধারণ মানুষের কাছে। ডিজিটাল যুগে এমন উৎসব প্রশংসনীয়। এই আয়োজন বাড়তে পারে বই পড়ার আগ্রহ। আর, যার কাছে নতুন বই কেনার সামর্থ্য নেই; সেও তার পুরোনো বই দিয়ে নিতে পারছে পছন্দ মত বই।

এবারের উৎসবে স্টল বসেছে মোট ১১টি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধর্মতত্ত্ব, কথা সাহিত্যিক (জাফর ইকবাল সমগ্র ও হুমায়ন সমগ্র), দর্শন, ক্যারিয়ার ও বিজ্ঞান, শিশুতোষ, কবিতা, ইতিহাস ও রাজনীতি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের আত্মজীবনী, একাডেমিক ও ট্যাবলয়েড।

নিয়ম অনুযায়ী যে কেউ পাঁচটি বই জমা দিয়ে নিতে পারবে পছন্দের অপর ৫টি বই। তবে বেঁধে দেওয়া আছে নিয়ম। যে ক্যাটাগরি বই দিবে; ঠিক সেই ক্যাটাগরিরই বই নিতে পারবে। তবে ছাড় দেওয়া আছে একাডেমি সম্পর্কিত বইয়ের ক্ষেত্রে। নেই কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা। দিতে ও নিতে পারবে অসংখ্য বই।

উৎসবের আয়োজক মাহিন আজরফ সিভয়েসকে বলেন, চলতি বছরের মার্চ মাসে সাড়া পেয়ে ২য় বার আমরা বই বিনিময় উৎসবের আয়োজন করেছি। আমরা যখন ছোট ছিলাম শীতের সময় লেপের নিচে পা গুজিয়ে বই পড়ার একটা আনন্দ ছিল। কিন্ত এই ডিজিটাল যুগে অনেকে মোবাইয়ে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই শীতের অবসর সময়ে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বই পড়ার আমেজে ফিরিয়ে আনতে চাই।