ই-পেপার | শুক্রবার , ৩ মে, ২০২৪
×

এবার চট্টগ্রামের বিমানবন্দরে স্ক্যানারের সামনে মিলল বিড়ালের মল ও ইদুর: কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার :

এবার চট্টগ্রামের বিমানবন্দরে স্ক্যানারের সামনে মিলল বিড়ালের মল ও ইদুর: কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার অভিযোগ।

বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে রোগ প্রতিরোধে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে (শাহ আমানত এয়ারপোর্ট) থার্মাল স্ক্যানার বসালেও তার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মঙ্গলবার সৌদি  আরবগামী এক যাত্রীর ক্যামেরায় তোলা স্ক্যানারের সামনে ইদুরের ছুটোছুটি এবং বিড়ালের মল পড়ে থাকার  অবিশ^াস্য দৃশ্যের ছবি এসেছে আমাদের কাছে। 
উল্লেখ্য গত ৩১ জানুয়ারী শাহ আমানত বিমানবন্দরে স্থাপিত থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়। এর আগে ২০১৪ সালে স্থাপিত স্ক্যানারটি মাসকে মাস অকেজো অবস্থায় পরে থাকার পর নতুন করে স্ক্যানার স্থাপন করা হয়।  
সাম্প্রতিক সময়ে ৪১ হাজার  ৬৩১ জন আন্তর্জাাতিক রুটের যাত্রীর স্বাস্থ্য পরিক্ষা করা হওয়ার দাবী করা হলেও অভিযোগ রয়েছে দায়সারা গোছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডাক্তার সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত থাকলেও বাস্তবে ভিন্ন চিত্র বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। উপরন্তু স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত ডা. এজেড শরিফ নামক এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোনার বার সহ আটক হওয়ায় তাদের স্বাস্থ্য সেবার বদলে সার্বক্ষনিক অন্যকাজে নিয়োজিত হওয়ার অভিযোগ নতুন করে সামনে এসেছে।   
 ২০১৯ সালে বিমান ছিনতাই চেষ্টার পর থেকে অদ্যাবধি তেমন কোন বাস্তব পদক্ষেপ নেয়া হয়নি মর্মে সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানিয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিনব পন্থায় সোনা চোরাচালান বেড়েছে মর্মে একাধিক সুত্র জানিয়েছে।  
সৌদিগামী যাত্রি জানান,মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) স্ক্যানার মেশিনের সামনে বিড়ালের মল এবং ইদুরের উপস্থিতি সামগ্রিকভাবে গোটা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার নগ্মরূপই প্রকাশ পেয়েছে। আশপাশের অনেক যাত্রী স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিশাল সাইনবোর্ড এবং তার সামনেই পড়ে থাকা মল নিয়ে নানান কটুক্তিও হাস্যরস করছিলেন। 
এই প্রতিবেদক কর্তৃক বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও সন্তোষজনক কোন জবাব মেলেনি। সরকারী পরিসেবার কোন কোন ফোন নম্বর বন্ধ ছিল।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ বিমানবন্দরে নিরাপত্তা এবং নুন্যতম আন্তর্জাাতিক পরিসেবা নিশ্চিত করা সময়ের দাবী।