ই-পেপার | সোমবার , ৬ মে, ২০২৪
×

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সিসি ক্যামেরা বসছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে

স্টাফ রিপোর্টার ::

প্রথমবারের মতো ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন’ সিসি ক্যামেরা বসছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। ২৫০ কিলোমিটার জুড়ে স্থাপন করা হবে অত্যাধুনিক এ ক্যামেরা।কাজটি দ্রুত গতিতে চলছে। এটি চালু হলে সুফল মিলবে বলে আশা যাত্রী ও চালকদের।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ফেনী মহিপাল হাইওয়ে থানা প্রাঙ্গণে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি মো. শাহাবুদ্দিন খান।  

হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান, পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, কমিউনিটি পুলিশিং কুমিল্লা রিজিয়নের সভাপতি জাফর উদ্দিন, ফেনী জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম নবী প্রমুখ।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিপাল হাইওয়ে থানা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

জানা গেছে, হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এর কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের জুনে। ক্যামেরাগুলো চীনের হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠানের তৈরি।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এসব ক্যামেরা যেকোনো ধরনের অপরাধ শনাক্ত করতে এবং কন্ট্রোলরুমে তাৎক্ষণিক সতর্ক সংকেত পাঠাতে সক্ষম।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার এলাকায় ৪৯০টি পোলের মাধ্যমে এক হাজার ৪২৭টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১১০০ টির বেশি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এসব ক্যামেরার কন্ট্রোল স্টেশন থাকবে হাইওয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে। এছাড়া আরও চারটি সাব স্টেশনও বসানো হবে।

মহাসড়কে চলাচল করা গাড়ি ও যাত্রীদের নিরাপত্তা ছাড়াও দুর্ঘটনা ও অপরাধ কমাতে এসব ক্যামেরা সহায়ক হবে বলে আশা সবার। এ বিষয়ে সভায় স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, এখানে প্রায়ই ছিনতাই ও নাশকতার মতো ঘটনা ঘটে। এসব ক্যামেরা লাগানোর কারণে অপরাধ কমবে।

আরেকজন বলেন, এখন রাজনৈতিক ঝামেলা চলছে। যেকোনো সময় নানা অঘটন ঘটতে পারে। মানুষের চোখ ফাঁকি দেওয়া গেলেও অপরাধীরা ক্যামেরার চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না। এটি খুবই ভালো উদ্যোগ।

যানবাহন থেকে পণ্য চুরি, ডাকাতি ও নাশকতা কমবে বলে জানিয়েছেন চালক ও শ্রমিকরা। এ বিষয়ে এক চালক বলেন, গাড়ি থেকে পণ্য চুরি বা ছিনতাই হলে সহজেই প্রশাসনের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করা যাবে। এতে আমাদের নিরাপত্তা বাড়বে।

সভায় হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, অত্যাধুনিক এসব ক্যামেরা স্থাপনের ফলে মহাসড়কে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আরও সহজ হবে।