লাভ বাংলাদেশ পার্টির নির্বাহী সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম উল্লাহ’র উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় এক হামলাকারীকে জনতা ধৃত করে চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
১৩ আগস্ট (শনিবার), সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন কোর্ট বিল্ডিং এর নীচে ‘হোটেল ব্রীজে ‘র সামনে পৌঁছালে হামলার পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে উৎপেতে থাকা ৫/৬ জন সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউপির ৮ ওয়ার্ডের মৃত্যু মৌলানা হাবিবুর রহমান এর ছেলে লাভ বাংলাদেশ পার্টির নির্বাহী সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ সেলিম উল্লাহকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
এতে একপর্যায়ে সেলিম উল্লাহ মাটিতে লুটে পড়লে তার আর্ত চিৎকারে পথচারীরা আগাই আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে, তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ফটিকছড়ির ভোজপুরের বাইনজুরী ইউপির নারায়ণ হাট এলাকার মুন্সি পাড়ার মৃত্যু আলেক মিয়ার পুত্র মোঃ গিয়াস উদ্দিন (১৯)কে জনতা ধৃত করে। পরে ধৃত গিয়াস উদ্দিনকে কোতোয়ালি থানা পুলিশে সোপর্দ করে । পরে গুরুতর আহতবস্থায ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্যে ভিকটিম সেলিমকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী সেলিম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে একটি মহল,এরই প্রেক্ষিতে শনিবার দিবাগত রাতে বাসায় ফেরার পথে কোর্ট বিল্ডিং এলাকার হোটেল ব্রীজের সামনে পৌঁছলে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের ১ জনকে জনতা ধৃত করে থানা পুলিশে দিয়েছে। এবিষয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছি, মামলায় ধৃত আসামী গিয়াস উদ্দিনসহ আরো ৫ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন,মূলত আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমার উপর হামলা চালানো হয়েছে,তাই আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী ও ইন্ধনদাতা কে বা কারা,তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সেলিম।
হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক জুড়ে। এছাড়াও হত্যা চেষ্টায় হামলার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মূল পরিকল্পনাকারী, ইন্ধনদাতা কারা তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে লাভ বাংলাদেশ পার্টির নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মহল।
এব্যাপারে মামলার কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা নওজেশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়, হামলার পরপরই গিয়াস উদ্দিন নামে এক আসামীকে আটক করা হয়,তাকে কোর্ট চালান দেয়া হয়েছে এবং আসামীর রিমান্ড হেয়ারিং করা হয়, রিমান্ড মঞ্জুর হলে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যান্য আসামীদের চিহ্নিত করে আটক করা হবে।
