ই-পেপার | বুধবার , ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
×

২০ লক্ষ টাকা লুটের অভিযোগ তোলে ১ অবলার সংবাদ সম্মেলন

নগরীর সদরঘাট এলাকায় পুরুষ শূন্য এক ভাড়াঠিয়ার বাসায় দিনদুপুরে স্বর্ণলংকার, নগদ অর্থসহ আসবাবপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা দুর্বৃত্তদের সে সময় বাধা দেওয়ায় শ্লীলতাহানী ও লুটতরাজের অভিযোগ তুলে এক সংবাদ করে।

৯ মে (মঙ্গলবার),বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এতে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার ঊর্মী।

লিখিত বক্তব্যে আয়েশা আক্তার ঊর্মী বলেন,’গত ৮ মে (সোমবার ), বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে সদরঘাটের দারোগারহাট রোডস্থ আপন আঙ্গিনা বিল্ডিং’র ৭ম তলায় মালিক ইমরুল হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বিনা অনুমতিতে আমাদের বাসায় ঢুকে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে।

এসময় তারা বাসার সমস্ত আসবাবপত্র লুট করে বাসার নিচে নিয়ে যায়। আমার ছোট বোন সাদিয়া সুলতানা ও আমি তাদের বাঁধা দিলে তারা আমাদের উপর শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি চেষ্টা করে। আমাদের কাছে আমার বাবার (আবু কায়সার) দুবাই থেকে আনা দুইটি আই ফোন ও একটি স্যামসাং ফোন আবু তারেক রনি কেড়ে নেয়। পরক্ষণে অন্য একটি মোবাইল দিয়ে বাথরুম ঢুকে ৯৯৯ এ ফোন করলেও ঘটনাস্থলে জরুরি সেবা পাইনি, প্রায় ১ঘন্টা পর পুলিশ উপস্থিত হয়।

পুলিশ আসার আগেই আমার আসন্ন বিয়ের জন্য ঘরে গচ্চিত থাকা নগদ ২০ লক্ষ টাকা,প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার তারা লুট করে নিয়ে যায়। অনেক গুলো নামিদামি আসবাব পত্রও নিয়ে যায়। সবচেয়ে অবাক লাগার বিষয় যে,মাত্র দুই’শ গজের মধ্যে সদরঘাট থানা থাকা সত্ত্বেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এখানে আসতে এক ঘন্টা সময় লেগেছে’।

উর্মি আরো বলেন, ‘কিছু আসবাব পত্র নিচে পড়ে থাকে, পুলিশ উপস্থিত হয়ে সেই আসবাবপত্র গুলো আমাদের ঘরে উঠিয়ে দেয় এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার কিংবা আটক না করে বরং তাদেরকে নিরাপদে সরিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। পুলিশের এহেন অবস্থা দেখে আমরা আরও সঙ্কিত হয়ে পড়ি, চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি’।

সংবাদ সম্মেলনে রাহাজারি স্বরে তিনি আরো বলেন,’আগামী ২৬ মে আমার বিয়ের দিন-তারিখ ধার্য্য হয়। এমন সময়ে আমাদের অর্থ লোট, স্বর্ণালংকার লুটের ফলে আমাদের মানইজ্জত সবই শেষ হয়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় আমার শশুরবাড়ীর লোকজন জানলে আমার বিবাহও ভেঙ্গে যেতে পারে। আমারও আত্মহত্যা ছাড়া আর বিকল্প থাকবে না’।

আয়েশা আক্তার ঊর্মী ও তাদের পরিবারের এবং নিজের নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে এতবড় জঘন্য সন্ত্রাসী ও লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও থানা আমাদের কোন অভিযোগ গ্রহণ করেনি। উল্টা আমাদেরকে তাদের সাথে সমঝোতা করার প্রস্তাব দেন স্বয়ং ওসি।

ওটা কেন জানতে চাইলে তিনি আমাদের দক্ষিণের উপ কমিশনার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে পাঠান, তিনিও সমঝোতার কথা বলেন আমাকে এবং আমার বাবা আবু কায়সারকে। এখন উপায় না দেখে মাননীয় পুলিশ কমিশনার বরাবর এলাকার ইমরুল হাসান চৌধুরী,খলিলুর রহমান নাহিদ,মাসুদের রহমান মাসুদ,শাহরিয়ার হাসান ও পারভীন আক্তারের নামে একটি চিঠি দিয়েছি। আইনের উর্ধ্বে কেউ নেই, তদন্ত করে তিনি অপরাধীদের বিচার করবেন আশা করি।