ই-পেপার | রবিবার , ৫ মে, ২০২৪
×

ইলিশ শিকারে সাগরে নামার অপেক্ষায় জেলেরা

৬৫ দিন পর উঠছে সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। ইলিশ শিকারে সর্বাত্মক প্রস্তুতি আর স্বপ্ন নিয়ে সাগরে নামার প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলেরা। এতদিন ধারদেনা করে চললেও নিষেধাজ্ঞা উঠার সময়ে ফের কর্মব্যস্ততা ফিরে এসেছে তাদের মধ্যে। তাদের চোখে মুখে ঝাকে ঝাকে ইলিশসহ নানান প্রজাতির মাছ ধরার স্বপ্ন। রবিবার সকালে কর্মব্যস্ততা দেখা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের সমূদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। দক্ষিণ কাট্টলী ও উত্তর কাট্টলী সাগর পাড় এলাকায় ছেড়া জাল বুনে নিচ্ছেন জেলেরা। কেউ কেউ ট্রলারে তুলে নিচ্ছেন বাকি সরঞ্জাম। একই চিত্র দেখা গেছে নগরের অভয় মিত্র ঘাট এলাকায়। অন্যদিকে সমান তালে বরফের উৎপাদনের কাজে ব্যস্ত সাধারণ শ্রমিক।

দক্ষিণ কাট্টলীর জেলে রাজু দাশ বলেন, সাগরে মাছ শিকারের প্রথম জোতে মাছের পরিমাণ বেশি থাকে। এই সময় মাছ আমরা শিকার করতে না পারলেও ভারত, মায়ানমারের জেলেরা বড় বড় জাহাজ নিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। আমরা ছোট খাটো ট্রালারের মাছ ধরি। গভীর সমুদ্রে যাওয়ার মতো ক্ষমতা আমাদের নাই। ফলে প্রতি বছর লোকসানে ভার আমাদের কাঁধে চড়ে বসে। ৬৫ দিন পর আমরা সাগরে নামছি, দেখি ভাগ্যে কি থাকে।

নিষেধাজ্ঞার সময় কমিয়ে আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ৬৫ দিন আমাদের জন্য লাভের তুলনায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি। ৫০তম দিনের ইলিশের প্রথম জো থেকে আমরা বাদ পড়ি।

একই প্রসঙ্গে অভই মিত্র ঘাট এলাকার জেলে সাইফুল ইসলাম বলেন, বাপ দাদা সময় থেকে জেনে আসছি ইলিশের প্রথম জোর সময় মাছের পরিমাণ বেশি থাকে। লাভের অঙ্ক এই সময় বেশি থাকে। তবে গত কয়েক বছর টানা ৬৫ দিনের কারণে আমাদের লাভের অঙ্ক অনকেটা কমে গেছে।

চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী বলেন, টানা ৬৫ দিন পরে সাগরে নামার নিষেধাজ্ঞা উঠছে। ৬৫ দিন সরকারের পক্ষ থেকে জেলে সম্প্রদায়কে নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।