ই-পেপার | শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
×

বেশ্যার খদ্দের রাশেদা বেগম ১৯ বছর পর গ্রেপ্তার

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভাড়া বাসায় আটকে রেখে জোরপূর্বক যৌন কাজে বাধ্য করার অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রাশেদা বেগম (৪৫) নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ১৯ বছর ধরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। সোমবার (২২ মে)চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানার শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার- রাশেদা বেগম চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মধ্যম খিরাম এলাকার মো. জামানের স্ত্রী। র‌্যাব জানায়, রাশেদা বেগম নগরের পাঁচলাইশ এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক ও অনৈতিক কাজে জড়িত ছিল। সে বিভিন্ন এলাকা হতে উঠতি বয়সী মেয়েদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচলাইশ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক যৌন কাজে বাধ্য করত। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে এক ভিকটিমকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে যৌন কাজে বাধ্য করে। পরে সুযোগ পেয়ে ওই ভিকটিম তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বাদী হয়ে রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এর পর আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছ থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন, আদালত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আসামির অনুপস্থিতিতে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ০২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তাকে গ্রেপ্তার করতে আমরা গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখি। গোপন সূত্রে জানতে পারি, আসামি নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার শান্তিনগর এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তার এড়াতে ১৯ বছর ধরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে বলে আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।