প্রোজ্জ্বল পাঠাগার সাহিত্য পুরস্কার সম্পন্ন

খবর বিজ্ঞপ্তি

সমাজ-বাস্তবতা সাহিত্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিম। ৭ অক্টোবর ( শনিবার ),সন্ধ্যায় নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউট হলে প্রোজ্জ্বল পাঠাগার সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বৃষ্টি চক্রবর্তী ও রনি চক্রবর্তীর জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন উমাসিং মারমা উর্মী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রোজ্জ্বল পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কবি প্রদীপ প্রোজ্জ্বল।

লেখক- গবেষক ড.শামসুদ্দীন শিশির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি- সাংবাদিক রাশেদ রউফ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফরিদ ফারুক।
কবি রাশেদ রউফ বলেন, আজকে যারা পুরস্কার পাচ্ছেন, আমি মনে করি এর পেছনে যারা ছিলেন তারা সঠিক মানুষই নির্বাচন করেছেন। ড. ফরিদ ফারুক পুরস্কারপ্রাপ্ত সকলের সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। প্রোজ্জ্বল পাঠাগার সাহিত্য পুরস্কার-২৩ পেয়েছেন শিশুসাহিত্যে বিপুল বড়ুয়া, কথাসাহিত্যে বিশ্বজিৎ চৌধুরী, কবিতায় হাফিজ রশিদ খাঁন, প্রবন্ধে ড. মহিবুল আজিজ, তরুণ হিসেবে কথাসাহিত্যে আরমানউজ্জামান ও কবিতায় জয়ন্ত জিল্লু।

সভাপতির বক্তব্যে ড. শামসুদ্দীন শিশির পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দিত করেন ও উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পুরস্কার হিসেবে নির্বাচিত ছয় লেখকের প্রত্যেককে উত্তরীয়, ক্রেস্ট, সনদ, চেকের রেপ্লিকা ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
বিপুল বড়ুয়া অনুভূতি প্রকাশকালে বলেন, আজকের পুরস্কার আমার দায়-দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের নাম দেখে বেদনাহত হয়েছি কিন্তু প্রোজ্জ্বল পাঠাগার সাহিত্য পুরস্কার আমাকে আনন্দ দিয়েছে। আমি প্রথমে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছিলাম কিন্তু অন্যান্য নাম দেখে তাদের আর ফেরাতে পারিনি। হাফিজ রশিদ খান বলেন, আমাকে এই চট্টগ্রাম থেকে আজ প্রোজ্জ্বল পাঠাগার যে পুরস্কার দিয়েছে তাতে আমি মুগ্ধ হয়েছি, আনন্দ পেয়েছি।

মুহিবুল আজিজ বলেন, আমার কাছে আজকের পুরস্কারটা খুবই প্রাসঙ্গিক কারণ যাদের সাহিত্যপুরস্কার দেয়ার কথা তারা পুরস্কার দিচ্ছেন না আর যার এসবে না থাকার কথা তিনি এ পুরস্কার দিচ্ছেন বলে। তরুণ ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত আরমানউজ্জামান ও জয়ন্ত জিল্লু দুজনেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে পুরস্কারপ্রাপ্তদের জীবন ও কর্ম নিয়ে “প্রোজ্জ্বল” নামক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।