ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২ মে, ২০২৪
×

‘আসামি হার্টের প্যাশেন্ট ছিল, থানায় আনার পর অসুস্থ বোধ করলে হাসপাতালে মৃত্যু হয়’-সিএমপি উপ কমিশনার

দুদকের সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যু

চট্টগ্রাম চান্দগাঁও থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক এক উপপরিচালক মারা গেছেন। তার নাম ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লা। নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল পার্কভিউতে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। তবে শহীদুল্লার স্বজনদের দাবী, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, সিআর মামলায় উনার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। আমাদের ফোর্স তাকে থানায় নিয়ে আসলে তিনি দুদকের সাবেক কর্মকর্তা পরিচয় দেন এবং হার্টের প্যাশেন্ট বলে দাবী করেন। তখন তাকে আর হাজতে নেওয়া হয়নি, ওসির রুমেই বসানো হয়েছে। তার পিছন পিছন পরিবারের সদস্যরা এসে থানায় উপস্থিত হয়েছেন। কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ বোধ করলে থানা থেকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। কিন্তু শহীদুল্লার ভাইয়েরা সিএনজি অটোরিকশা যোগে উনাকে পার্কভিউ হসপিটালে নিয়ে যান, সঙ্গে আমাদের ফোর্স ছিল। সেখানে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।

শহীদুল্লার স্বজনদের দাবী, জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। মামলার বিষয়তে তারা কিছু জানেন না। রাত ১১টার দিকে চান্দগাঁও থানার দুজন এএসআই গিয়ে শহীদুল্লাকে থানায় নিয়ে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে স্বজনরা থানায় যান। উনি হার্টের পেশেন্ট; উনার ইনহেলার আর মেডিসিন লাগে সবসময়। তাকে থানায় নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফটক বন্ধ করে দেন। ইনহেলার ও মেডিসিনও তার কাছে পৌঁছাতে দেয়নি। পরে ১২টার দিকে বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

এই ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত। কী ধরণের আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বয়স বিবেচনায় পরিবারের সদস্যরা আমাদের কাছে ময়না তদন্ত ছাড়া দাফনের জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু যেহেতু আমাদের হেফাজতে আনার পর তিনি অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে সেখানে মারা গেছেন তখন কিছু আইনি বিষয় এসে যায়। আইন অনুযায়ী ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট স্যার অথবা তাঁর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সূরতহাল হবে। ময়না তদন্ত হবে। পরবর্তীতে সব কিছু নিষ্পত্তিতে ওই প্রতিবেদন দরকার হবে।

চান্দগাঁও থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, একটা সিআর মামলায় শহীদুল্লার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। উনাকে গ্রেপ্তারের পর খারাপ লাগছে বলে জানান। তখন আমার কক্ষে এনে বসিয়েছি। উনাকে থানায় আনার সঙ্গে সঙ্গে উনার ভাই-স্বজনরা এসেছেন। পরে তার ভাইদের সঙ্গে উনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।