ই-পেপার | বুধবার , ৮ মে, ২০২৪
×

ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি করে বৈমাত্রেয় বোনের হিস্যা আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানবাজারস্থ দিদার মার্কেটের স্বত্বাধিকারী ও প্রতিষ্ঠাতা মরহুম দিদারুল আলম চৌধুরীর প্রথম স্ত্রীর একমাত্র সন্তান মৃত সামছী কমর চৌধুরীর ন্যায্য পৈত্রিক হিস্যা তার বৈমাত্রেয় ভাই শাহরিয়ার ইবনে দিদার, মৃত শাহনেওয়াজ ইবনে দিদারের পরিবারবর্গ ও শাহজাদ ইবনে দিদার নামের ব্যক্তিরা মিলে সম্পত্তি আত্মসাত ও নানান অপতৎপরতার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সামছী কমর চৌধুরীর ওয়ারিশগন

১৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার),সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম পেসক্লাবস্থ সুলতান আহমদ মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৯২ ইং সনে দিদারুল আলম চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানগণ তাদের অগ্রজ একমাত্র বৈমাত্রেয় বোন সামছী কমর চৌধুরীকে অস্বীকার করে। তারা আত্মীয়তার সম্পর্ক ও সম্পত্তির হিস্যা দিতে অস্বীকার করে। সেমতে তারা একটি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে দিদারুল আলম চৌধুরীকে নিয়ে প্রেরিত শোকবাণীতে ৫ বোনের স্থলে ৪ বোন উল্লেখ করে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দুইজন ওয়ার্ড কমিশনার পেয়ার মোহাম্মদ ও চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের বৈমাত্রেয় বোন সামছী ক্বমর চৌধুরীকে ওয়ারিশ না দেখিয়ে দুই ওয়ার্ড থেকে দুটি মিথ্যা ওয়ারিশ সনদ জাল করে।এই মিথ্যা ওয়ারিশ সনদের ভিত্তিতে তারা জমি বিক্রি থেকে শুরু করে জমি রেজিস্ট্রেসন, নামজারী পর্যন্ত সম্পন্ন করে ফেলে।

তারা পিতার মৃত্যুর ১০ বছর পর পিতাকে জীবিত দেখিয়ে জমি বিক্রয় করে। এই জাল দলিলের ভিত্তিতে ক্রেতার নামে নামজারিও করে। এইভাবে তারা ক্রেতা ও ভূমি অফিসকে প্রতারিত করে। বোনদের অসম্মতিতে শুধুমাত্র তিনভাইয়ের নামে অন্যায় অন্যায্য দানপত্র তৈরী করে।

তাদের একমাত্র বৈমাত্রেয় বোন সামছী কমর চৌধুরীর সম্মতি ছাড়া অন্যায়ভাবে অন্যায্য অংশনামা তৈরী করে। তারা তিন ভাই গোপনে ১০টির বেশি দলিলের মাধ্যমে জমি বিক্রয় করে। আদালতে মিথ্যা লিখিত বক্তব্য প্রদান করে। তারা দাগ জামিন বা ভিন্নদাগে এবাদতখানা স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়ে মূল এবাদতখানার ভূমিও আত্মসাত করে।

একটি সুনির্দিষ্ট দাগ ও সীমা উল্লেখ করে জমি বিক্রয় করার পর ক্রেতাকে অন্য দাগে জমির দখল প্রদান করে অনাকাংখিত বিরোধ ও জটিলতা তৈরী করে। নামজারি হওয়ার বাইশ বৎসর পর অন্যায্যভাবে দাগ নম্বর সংশোধনের ঘোষণাপত্র প্রদান করে। দীর্ঘ ত্রিশ বৎসরের অধিককাল তাদের অগ্রজ বৈমাত্রেয় বা সৎবোন সামছী কমর চৌধুরীর ন্যায্য হিস্যা আত্মসাতের অভিপ্রায়ে তারা নিজেদের অধিকারে রাখে। মিথ্যা ওয়ারিশসনদেও অন্য দাগে ক্রেতা রফিক গং কর্তৃক সামছী কমর চৌধুরীর জীবদ্দশায় নিযুক্ত আমমোক্তার মো. নাছির উদ্দীনকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, গ্রেফতার, প্রাণনাশের হুমকী প্রদান।

তাদের এ সমস্ত অপকর্মের মাধ্যমে ভূমি অফিসে দীর্ঘ অনিয়মের বিশৃঙ্খলা তৈরী হয়। এতে বিভিন্ন দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার উৎপত্তি হয়। অংশীদার ও ক্রেতাগণ হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হয়। তারা সরকারি কর্মচারী, জনপ্রতিনিধিদের ও আদালতের বিপুল কর্মঘন্টা নষ্ট হয়। প্রকৃত সত্য উদঘাটনে বিড়ম্বনা তৈরী হয়। এতে ভূমি অফিসের কার্যক্রম ও কর্মক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। প্রকৃত উত্তরাধিকারীগণ ভূমির দখল পেতে ও নামজারী করতে ব্যর্থ হয়।

ভুক্তভোগীরা এমতাবস্থায় গণমাধ্যমের সহযোগীতায় স্থানীয় প্রশাসন, ভূমিমন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মৃত সামছী কমর চৌধুরীর সন্তানগণের মধ্যে মোহাম্মদ আলতাফ-উল আলম, ড. মোহাম্মদ আরশাদ-উল আলম,মোহাম্মদ সাজ্জাদ, জাওয়াদ-উল-আলম চৌধুরী প্রমুখ।

এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত রিপোর্ট