ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ৯ মে, ২০২৪
×

বলৎকারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন,শিক্ষক বলছে অভিযোগ বানোয়াট

একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও দারোয়ান কর্তৃক একাধিকবার বলৎকারের (ধর্ষণ) বিষয়ে আদালতে অভিযোগে দেয়া হলে তা তুলে নিতে হুমকি ও থানা পুলিশের আইনী সহযোগিতা না পাওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার। ২৫ জুন (রবিবার) বিকাল ৩ টায়,চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ভবনের এস.রহমান হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বলৎকারের স্বীকার শিক্ষার্থীর জননী পারভিন আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘২০২২ সালে আমার ১৩ বছর বয়সী একমাত্র সন্তান মুহাম্মদ ইব্রাহিমকে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানার সেগুন বাগান একটি মাদরাসায় হাফেজী বিভাগে ভর্তি করায়। সেখানে আমার সন্তান আবাসিক ছাত্র হিসেবে থাকত। মাদরাসাটির শিক্ষকদের সম্পর্কে প্রথমে আমাদের ভালো ধারণা থাকলেও ছেলেকে ভর্তি করানোর কয়েক মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি এ মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্রদের শিক্ষক, কর্মচারী ও পরিচালকরা নানা কৌশলে বলৎকার, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন করেন। প্রথমে অভিভাবকদের তথ্য বিশ্বাস না হলেও ছেলের ভর্তির দুই মাস না যেতেই আমার সন্তানের উপরও শুরু হয় এরকম পাষবিক যৌন নিপীড়ন।আমার সন্তান ইব্রাহিমের উপর মাদরাসার নির্বাহী পরিচালক আজহার উদ্দিনের যৌন নিপীড়নের কারণে সে (ইব্রাহিম) হেফজখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা চালায়। আমি তাকে দেখতে মাদরাসায় আসলে সে মাদরাসাটিতে আর পড়বেনা বলে কান্না কাটি করতে থাকে। কি কারণে সেখানে পড়বে না জানতে চাইলে সে চুপ করে থাকে’।

তিনি আরো বলেন, ‘মাদরাসায় ভর্তির কয়েকমাস পর ছেলের এমন অস্বাভাবিক অনীহার কারণ জানতে চাইলে ইব্রাহিম আমাদের জানান, গত বছরের ২৮ মার্চ রাত ১টায় আজহার উদ্দিন আমার ছেলেকে জোর করে তার কক্ষে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ মে রাত ১২ টায় মাদরাসার দারোয়ান আমার ছেলেকে ভয় দেখিয়ে শিক্ষক আজহার উদ্দীনের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে আমার নিষ্পাপ ছেলেটির উপর যৌন নির্যাতন চালায়। বিষয়টি পরদিন আমার ছেলে আমাদের জানালে আমরা মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়বসহ সংশ্লিষ্টদের জানায়। তারা আমাদের কোন আইনী পদক্ষেপ না নিতে ভয়ভীতি দেখায়।

এই বিষয়ে উক্ত মাদ্রাসার নির্বাহী পরিচালক আজহারউদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অভিভাবকের অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। শিক্ষার্থীটি স্মার্ট ফোন চুরির ঘটনায় সাব্যস্ত হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার ছাত্রত্ব বাতিল করে। এই ভদ্রমহিলা এই ঘটনার ক্ষোভের ভস্মীভূত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে আনছে। মেডিকেল রিপোর্টেও বলাৎকারের প্রমাণ মিলেনি। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠি স্বার্থান্বেষী হয়ে মাদ্রাসার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই সব করাচ্ছে। এই বালক-বালিকা মাদ্রাসা ২৫ বছর ধরে সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে, গত বছরের ৪ এপ্রিল থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত আমি,মদ্রাসার পরিচালক ও খোদ মাদ্রসার বিরুদ্ধে অজ্ঞাত নামা কিছু লোক এই এলাকায় পোস্টারিং,লিফলেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা,বানোয়াট, মানহানিকর ভুয়া তথ্য অপপ্রচার করে আসছে। এই বিষয়ে খুলশি থানায় তাদের বিরুদ্ধে গত ২০ জুনে একটি সাধারণ ডায়েরীও করেছি। বিষয়টি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠির অপপ্রচারের শিকার ছাড়া আর কিছুই নয়।

One attachment
• Scanned by Gmail

এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত রিপোর্ট