ই-পেপার | বুধবার , ৮ মে, ২০২৪
×

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করে সন্ত্রাসী কায়দায় ক্ষমতায় আসা যাবে না-কাউন্সিলর জসিম

‘যখনই জাতীয় নির্বাচন আসে শুরু হয় আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র। উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়ে এই দেশের মানুষ যখন সুখ-শান্তিতে বসবাস করছে ঠিক তখনই দেশদ্রোহী সন্ত্রাসীরা নৈরাজ্যবাদ ও অরাজকতা সৃষ্টি করছে।এদেশের উন্নয়ন আর সমৃদ্ধি তাদের আর সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি রুখে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। আর বিএনপি-জামাত এর ফায়দা নিতে ঘাপটি মেরে বসে আছে। আপনারা দেখেছেন ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিএনপি জামাত যে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। সে বিএনপি ঠিক একই কায়দায় যে তারুণ্যের সমাবেশে’র নাম দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ঐতিহাসিক জামাল খান মোড়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিসহ জাতীয় কবি কাজী নজরুল,বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ও প্রথিতযশা মনীষীদের যে ম্যুরাল ভাংচুর করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে এর আমরা তীব্র মিন্দা জানাচ্ছি। বিএনপি ঘুঘু দেখেছে ফাঁদ দেখনি’।

‘বিএনপি শুধু বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করেনি জাতির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান যে স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় এসেছিলো এর পুনরাবৃত্তি হতে দেবো না। সৎ সাহস থাকলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। সন্ত্রাসী কায়দায় নয়। বিএনপি যে দমবাজি করছে তারা ২০২৪ সালে ক্ষমতায় আসবে। ক্ষমতায় আসা দূরের কথা গন্ধও পাবে না বিএনপি। এদেশের মাটি ও মানুষের নেতা জননেতা শেখ হাসিনা ইনশাল্লাহ পুনরায় ক্ষমতায় আসবে’।

‘বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আমাদের ঐক্যের বিকল্প নেই। তাই আমাদের আকবরশাহতে কোন ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলবে না। পাড়ায়-মহল্লায় আমাদের এই বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ,যুবলীগসহ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে’।

গত (১৭ জুন) শনিবার বিকাল ৪ টায়, আকবরশাহ মোড়ে, ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ( বি-ইউনিট) ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল, ছবি ভাংচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি আকবরশাহ হয়ে ফয়েজলেক এলাকা প্রদক্ষিণ করে ইউএসটিসির সামনে গিয়ে শেষ হয়।

৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড (বি ইউনিট) আওয়ামী লীগ সভাপতি জুলফিকার আলী মাসুদের সভাপতিত্বে,বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন,বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরকারীদের রাজপথেই দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মুস্তফা কামাল বাচ্চু ,৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য জসিম উদ্দিন,৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ (সি ইউনিট) সভাপতি হারুন গফুর ভুইয়া,(বি ইউনিট) সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নয়ন, আঃলীগ নেতা নুরুল ইসলাম , মো. সেলিম, ফারুক, খোকন শীল, শামীম আহমেদ সুমন, মো. সেলিম বাদশা, মো. ফাহিম, গিয়াস উদ্দিন তুহিন, আব্দুল্লা আল মামুন, যুবলীগ নেতা আনিছ চৌধুরী রাজন, ফারুক শেখ, ওয়াসীম, বেলাল উদ্দিন জুয়েল, পাপ্পু, মোহাম্মদ আলী, আরিফুল হক, শামীম, আরজু, বাপ্পি দাস, শাহ নেওয়াজ স্বাধীন, পিন্টু, জাফর ইকবাল সিপন, মাহবুব ইসলাম বাবু, পিন্টু, সেচ্চা সেবক লীগ নেতা আবু নোমান নাহিদ, ছাত্রলীগ নেতা নেওয়াজ খান, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়েশা আকতার, রুকসানা সেলিম, কাউসারা বেগম, লায়লী বেগমসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ চলার সময় জামাল খান মোড়ে সড়কের পাশে দেয়ালজুড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্মের আলোকচিত্র নিয়ে তৈরি ম্যুরাল ভাঙ্চুর হয়। এই ভাঙ্চরের জন্য বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদলকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগ। ভাংচুরের ঘটনায় ছাত্রদল-যুবদলের মোট ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, ইতোমধ্যে মামলাও হয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিকে ‘মাঠ ছাড়া’ করতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার ‘মিথ্যা মামলা’ দিচ্ছে।

সে প্রসঙ্গ ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, “এর দায় দলটির নেতারা কোনভাবেই এড়াতে পারে না। যারা তাদের (ভাংচুরকারী) নেতা, যারা তরুণদেরকে এধরনের নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে, এবং এগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা দায় এড়াতে পারে না। তাদেরকেও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।’’

এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত রিপোর্ট