ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২ মে, ২০২৪
×

৭ মার্চের ভাষণ শুনেই মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে নিউক্লিয়াস -চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দেওয়ার সাথে সাথে নিউক্লিয়াসের সদস্যরা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রম শুরু করে বলে মন্তব্য করেছেন ।

আজ নগরীর থিয়েটার ইনষ্টিটিউট হলে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ডকুমেন্টারী প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন পুস্পস্তবক অর্পণ ও সভায় অংশনেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, আবুল হাসনাত বেলাল, মোঃ শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধান সহ  সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি জাহিদুল আলম চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোহাং ইয়াছিন চৌধুরী, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র আরো বলেন, যদিও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে সংগঠিত হয়, তবে ১৯৬২ সাল থেকেই বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় তৎকালীণ ছাত্রলীগ কর্মীরা নিউক্লিয়াস নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য গোপনে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে থাকেন। নিউক্লিয়াসের একজন সদস্য হিসেবে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের নেতা থাকাকালে আমি রাজনৈতিক সহকর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রামে গোপনে সংগঠিত হতে থাকি।

সেসময় নিউক্লিয়াসের স্লোগান ছিল ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, জয় বাংলা, ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা, মেঘনা, যমুনা’। এসময় আমাদের কার্যক্রম চলতো একদম গোপনে। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা শুনেই বুঝতে পারি যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। আমরা গোপনে সশস্ত্র অভিযানের জন্য মাঠে নেমে পরি। আর সাধারণ জনগণ মূলত ২৫ মার্চের কালোরাত্রির পর যুদ্ধে অংশ নেয়।

যারা রাজনৈতিক সচেতন তারা ৭ই মার্চের ভাষণেই স্বাধীনতা আন্দোলনের ইঙ্গিত পান, যা চূড়ান্ত রূপ পায় ২৬ মার্চ। ৭ই মার্চের ভাষণ শুনলেই যে কেউ বুঝতে পারবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক নি:সন্দেহে বঙ্গবন্ধু।” এসময় তিনি নিউক্লিয়াসের মুছে যাওয়া ইতিহাসকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সাতই মার্চের ভাষণ মুক্তির মহাকাব্য। বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্রগঠনের আকাঙ্খার অভিব্যক্তি সাতই মার্চের ভাষণ। বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীন দেশ আমাদের উপহার দিয়েছেন তা রক্ষা ও উন্নয়নের করতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বর্ণিল আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস উদযাপন শুরু হয় বাটালি হিলস্থ  নগর ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের যুগান্তকারী ভাষণের স্মারক হিসেবে দিনটি অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। এবারের সাতই মার্চের আয়োজনে আরো থাকছে  গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় ও আইল্যান্ডে বঙ্গবন্ধুর ছবি-ইতিহাস সংবলিত ৪টি ড্রপ ডাউন ব্যানার প্রদর্শন, আন্দরকিল্লা পুরানো নগর ভবন পার্কিং লট ও জামালখানে এল.ই.ডি’র  মাধ্যমে ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার, নগর ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে আলোকসজ্জা, ফোয়ারা এবং তোরণ নির্মাণ। এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ৭ই মার্চ এর ভাষণের উপর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।